ফাইনালেও টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান
এশিয়া কাপের ফাইনালে আমূল পরিবর্তন। গত দুই আসরে (২০১৬ ও ২০১৮) ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ-ভারত। এবার সেখানে নেই কোনো দলই। আজ রবিবার ১৫তম আসরের ফাইনালের মঞ্চে অবতীর্ণ পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এই দুই দল আবার ২০১৪ সালের আসরেও ফাইনাল খেলেছিল। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
আজ কি শ্রীলঙ্কার আরও এগিয়ে যাওয়ার পালা, নাকি প্রতিশোধ নিয়ে নতুন করে রাজা হবে পাকিস্তান? শ্রীলঙ্কা জিতলে হবে ষষ্ঠবার আর পাকিস্তান জিতলে হবে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছে পাকিস্তান।
দুই দল ভালো খেলে ফাইনালে উঠে আসলেও এবারের আসরে ভালো খেলার চেয়েও টস ‘ভাগ্য’ ফলাফল প্রভাবক হয়ে উঠেছে। এবারের আসরে তিনটি ম্যাচ ব্যতীত বাকি সব ম্যাচেই টস জিতে পরে ব্যাটিং করা দলই জয়ী হয়েছে। শুধুমাত্র হংকং দুইবার ও আফগানিস্তান একবার টস জিতে পরে ব্যাটিং করে ম্যাচ জিততে পারেনি। তা হোক লো-স্কোরিং ম্যাচ কিংবা হাই-স্কোরিং ম্যাচ। বাংলাদেশের ১৮৩ রান যেমন শ্রীলঙ্কা পাড়ি দিয়েছিল ৪ বল হাতে রেখে, তেমনি আবার আফগানিস্তানের ১২৯ রানও পাড়ি দিতে হিমশিম খাওয়ার পরও পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছিল ৪ বল বাকি রেখে। এমনকি বাংলাদেশের ১২৭ রানে আফগানিস্তান প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৯ বল অবশিষ্ট রেখেই অতিক্রম করতে পেরেছিল। বিষয়টি পরিষ্কার টস জিতে পরে ব্যাটিং করার ক্ষেত্রে সাফল্য অনেকটাই নিশ্চিত। এখন দেখার বিষয় আজ পাকিস্তানের নেওয়া সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী হয়।
পাকিস্তান দলে ২টি পরিবর্তন থাকলেও শ্রীলঙ্কা দলে নেই কোনো পরিবর্তন। সুপার ফোরে দুই দলের নিয়ম রক্ষার ম্যাচে দলের সেরা একাদশের দুইজন করে খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। বিশ্রামে ছিলেন পাকিস্তানের শাদাব খান ও নাসিম শাহ এবং শ্রীলঙ্কা চারিথ আসালাঙ্কা ও আশিথা ফার্নান্ডো। সেরা একাদশে পাকিস্তানের দুইজনই শুধু ফিরেছেন। শ্রীলঙ্কা দলে কোনো পরিবর্তন না থাকায় এই দুইজন ফিরতে পারেননি।
ফাইনালের আগে পরস্পর একটা ড্রেস রিহার্সেল ম্যাচও খেলেছিল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই দুই দল ফাইনাল নিশ্চিত করাতে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ দুই দলের জন্য হয়ে উঠেছিল নিয়ম রক্ষার। সেই নিয়ম রক্ষার ম্যাচে পাকিস্তান পাত্তাই পায়নি শ্রীলঙ্কার কাছে। হেরেছিল ৫ উইকেটে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা সেই রান অতিক্রম করেছিল ১৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে। দুই দলের এটি হবে ২৩তম মোকাবিলা। দুই দলের লড়াইয়ে পাকিস্তান ১৩ বার ও শ্রীলঙ্কা ৯ বার জিতেছিল।
এমপি/এসজি