চাপ সামলে মুমিনুল-লিটনের ফিফটি
তৃতীয় দিনও ব্যাটিং দাপট অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ দল। চা বিরতি পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩০৭ রান। মুমিনুল হক ৬১ ও লিটন দাস ৫১ রানে ব্যাট করছেন। লাঞ্চ থেকে চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ দল কোনো উইকেট হারায়নি। যোগ করে ৮৭ রান। প্রথম সেশনে রান উঠেছিল মাত্র ৪৫। উইকেট হারিয়েছিল ২টি।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ যে দাপট শুরু করেছিল, তা টানা তৃতীয় দিনও ধরে রাখাটা নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের জন্য বিরল! দ্বিতীয় দিন নিউ জিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে আটকে দিয়ে বাংলাদেশ দল পাল্টা আঘাত এনেছিল ব্যাট হাতে। দিন শেষ করেছিল ২ উইকেটে ১৭৫ রানে। তৃতীয় দিন কিছুটা শঙ্কা ছিল এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে কি না। কারণ দিনের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের পেস আক্রমণ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। একেবারে কঠিন না হলেও বাংলাদেশ দল বেশ বিপাকেই ছিল। প্রথম সেশনে তারা ২ উইকেট হারায়। এ সময় রান যোগ করে মাত্র ৪৫। নিউ জিল্যান্ডের পেসারদের বিপক্ষে খেলা সত্যিই খুব কঠিন হয়ে উঠেছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য। এর মাঝে নতুন বল নিয়ে আরও আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেছেন পেসাররা। মুমিনুল দুইবার জীবনপান। একবার ক্যাচ ফেলে দিলে। আরেকবার আউট হয়েও নো বলের কারণে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান।
আগের দিন ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই তিনি ধৈর্য্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখেন। ২১১ বলে অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। তার ব্যাটিং শৈলী সবাইকে মুগ্ধ করে। এই মুগ্ধতা থেকেই সবাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, আজ তিনি তিন অংকের মালা গাঁথবেন। কিন্তু না, সবার সে আশা আশাই থেকে গেছে। মাহমুদুল কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেননি। দিনের শুরুতেই তৃতীয় ওভারেই তিনি আউট হয়ে যান। ঘাতক সেই ওয়েগনারই। যিনি নিজেও আগের দিন মাহমুদুলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছিলেন। তার ক্যাচ ধরেন নিকোলাস। এ সময় দলের যে ৯ রান যোগ হয়েছিল তার ৮ রানই করেন তিনি। ২২৮ বলে খেলে ৭ চারে ৭৮ রান করেন মাহমুদুল। তবে এ দিন মাহমুদুল ছিল বেশ অস্থির। আগের দিনের ধৈর্যশীলতা ছিল না। বারবার শট খেলার জন্য চেষ্টা করেছেন। কখনও জায়গায় দাঁড়িয়ে, কখনও অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল। আউটও হয়েছেন তার খেসারত দিয়ে। ওয়েগনারের অফ স্ট্যাাম্পের বাইরে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়েছিলেন।
মাহমুদুল আউট হওয়ার পর মুশফিকও বেশি সময় টিকতে পারেননি। বোল্টের প্রথম শিকার হন ব্যক্তিগত ১২ রানে। এরপর মুমিনুল ও লিটন মিলে লাঞ্চের বাকি সময় পার করে দেন। সেই সময়কে তারা নিয়ে যান চা বিরতি পর্যন্ত। মুমিনুল ১৪৭ বলে ও লিটন দাস ৯৩ বলে নিজেদের ফিফটি তুলে নেন। এটি মুমিনুলের ১৫তম ও লিটনের ১১তম ফিফটি।
এমপি/টিটি