ড্রেস রিহার্সেল ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয়
ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কা তাদের ড্রেস রিহার্সেলটা ভালোভাবে সেরে নিলেও পাকিস্তানের জন্য মোটেই ভালো হয়নি। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ড্রেস রিহার্সেল ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানকে মাত্র ১২১ রানে আটকে রেখে তারা সেই রান অতিক্রম করে ১৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে। দুই দলই এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ফাইনালে মুখোমুখি হবে ১১ সেপ্টেম্বর (রবিবার)। ফাইনালে শ্রীলঙ্কা উঠেছে সুপার ফোরে শতভাগ জয় নিয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে থেকে। পাকিস্তানের পয়েন্ট ৪।
এবারের এশিয়া কাপে অলিখিত সূত্র হয়ে উঠেছে টস জেতা মানেই আগে বোলিং বেছে নেওয়া। ম্যাচের অর্ধেকটা পকেটে ভরে নেওয়া। আজকের ড্রেস রিহার্সেল ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শ্রীলঙ্কা টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রচণ্ডভাবে চেপে ধরে। পুরো ২০ ওভারও খেলতে দেয়নি। ১৯.১ ওভারে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
অবশ্য পাকিস্তান যে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়ে যাবে তার আলামত কিন্তু পাকিস্তানের ইনিংসে ছিল না। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান আসে ১ উইকেটে ৪৯। এবার আর বাবর আজম প্রথমে আউট হননি। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরে যান ১৪ রানে। দলীয় রান তখন ছিল ২৮। এরপর বাবর আজম ফখর জামানকে নিয়ে এগুতে থাকেন। দলীয় ৬৩ রানে ফখর জামান ১৩ রান করে ফিরে যাওয়ার ৫ রান পর বাবর আজমও ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান করে ফিরে গেলে পাকিস্তান কিছুটা চাপে পড়ে। এই চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে ইনিংসে এগুনোর সঙ্গে সঙ্গে। দলীয় ৮২ রানে খুশদিল শাহ (৪) আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ইনিংসে মড়ক লাগা শুরু হয়। শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের উইকেটে আসা যাওয়া। একপ্রান্ত আগলে রেখে মোহাম্মদ নেওয়াজ ২৬ রান করেন। বাকিরা দুই অংকের ঘরেও যেতে পারেননি। পাকিস্তানের শেষ ৭ উইকেট পড়ে ৫.৪ বলে মাত্র ৩৯ রানে। শ্রীলঙ্কার হয়ে হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকটে নেন মহেশ থিকসানা ও অভিষিক্ত প্রমোদ মাদুসানা।
পাকিস্তানের ইনিংসের শুরু দেখে যেমন বোঝা যায়নি তাদের ইনিংসে এভাবে অল্প রানেই গুটিয়ে যাবে, ঠিক তেমনি শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরু দেখেও বোঝা যায়নি তারা এতটা সহজে ম্যাচ জিতবে। প্রথম ২ ওভারের মাঝেই ২ রানে তারা হারায় ২ উইকেট। ২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর তারা বেশ চাপে পড়ে যায়। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩৭। কিন্তু এই চাপ সামলানোর দায়িত্ব তুলে নেন ওপেনার পাথুন নিশানকা। বাভুমা রাজাপাকসেকে নিয়ে তিনি ৫১ রান যোগ করেন ৬.৩ ওভারে। বাভুমা রাজাপাকসে ১৯ বলে ২ ছক্কায় ২৪ রান করে আউট হওয়ার সময় শ্রীলঙ্কা অনেকটা চাপ মুক্ত হয়ে যায়। জয়ের জন্য ওভার প্রতি রান রেট নেমে আসে ছয়ের নিচে। অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে নিয়ে পাথুন ৪.৫ ওভারে ৩৩ রান যোগ করে দলের জয়কে সহজ করে তুলেন। শানাকা ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৬ বলে ২১ রান করে ফিরে যাওয়ার পর জয়ের বাকি কাজ পাথুন সারেন হাসারাঙ্গা ডি সিলভাকে নিয়ে। পাথুন নিশানকা ৪৮ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি তিনি তুলে নেন ৪১ বলে। এবারের আসরে এটি ছিল আবার তার টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। পাথুনের সঙ্গে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ১৯ ও মোহাম্মদ হাসনাইন ২১ রানে নেন ২টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হন হাসারাঙ্গা ডি সিলভা।
এমপি/এসজি