দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ
ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভালো করার ফসল
নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে বাংলাদেশের নেই কোনো সুখ স্মৃতি। আছে কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতির ঝলক। সেখানে এবার ভিন্ন এক বাংলাদেশ। দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই দিন শেষে ম্যাচে নেই স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রণ। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও দাপট দেখিয়ে ড্রাইভিং আসনে বসার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশন বিবেচনায় এমন অবস্থান বাংলাদেশের জন্য বিরল। আগামীকাল তৃতীয় দিন অনেকটা পরিস্কার হয়ে যাবে ম্যাচের গতিপথ।
নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের ব্যর্থতার মূলে রয়েছে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। তারা ইনিংস লম্বা করতে পারেন না বলে বোলারদের করনীয় থাকে না কিছু। এক ইনিংসের বেশি বোলিং করার সুযোগ তাদের কম হয়ে থাকে। আবার সেই এক ইনিংসেও তারা আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি। কিন্তু এবার সেই বোলাররা জ্বলে উঠেছেন। পেস আর স্পিনের সম্মিলনে নিউ জিল্যান্ড ৩২৮ রানে গুটিয়ে গেছে। স্পিনারদের দখলে ৫টি, পেসারদের দখলে ৪টি। একটি হয়েছে রান আউট। ৩টি করে উইকেট আছে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও পেসার শরিফুলের। ২টি উইকেট আছে অবিশ্বাস্যভাবে দলপতি মুমিনুলের। একটি পেয়েছেন পেসার এবাদত। বোলারদের এমন আশা জাগানিয়া বোলিং পরে ব্যাটসম্যানদেরও করেছে উদ্ভুদ্ধ। তাইতো তারাও ভেঙ্গে পড়েনি স্বাগতিকদের দুর্ধর্ষ পেস অ্যাটাকের বিপক্ষে। সাদমান-মাহমুদুলের উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৪৩ রান। ওভার খেলা হয়েছিল ১৮.১টি। মাহমুদুল-নাজমুলের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০৪ রান এসেছে ৩৯.৫ ওভারে। মাহমুদুল-মুমিনুল তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৭ রান যোগ হয়েছে ৯ ওভারে। এভাবেই বোলার আর ব্যাটসম্যানরা মিলে দিনটি নিজেদের করে নিয়েছেন। আর তাইতো দিন শেষে কথা বলতে এসে মেহেদী হাসান মিরাজের কন্ঠে ঝরেছে প্রশংসা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম শুরু করেছিলাম আমাদের ৫ উইকেট নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের বোলাররা কাল ও আজ ভালো করেছে। ব্যাটসম্যানরাও খুব ভালো করছে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বোলারদের মধ্যে শরিফুল টিউন সেট করে দিয়েছে। ৩ উইকেট নিয়েছে। ওর উইকেটগুলো ক্রশিয়াল ছিল। জয় আর শান্তর জুটিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলের জন্য খুব ভালো হয়েছে। দেখেন বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের উপর থেকে কোনো জুটি হচ্ছিল না। এই জুটিটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দিবে। এখনো আমাদের অনেক কিছু বাকি আছে।’
নিজের বোলিং নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘এই কন্ডিশনে স্পিন বল করা কঠিন ছিল। আমি পুরোটা সময় ধৈর্য্য রাখতে চেয়েছি। ঠিক জায়গায় বল ফেলেছি। তিন রানের নিচে রাখতে চেয়েছি। এটাই হচ্ছে বিষয়।'
এমপি/এসআইএইচ