ভারতের টিকে থাকার পথে কাঁটা শ্রীলঙ্কা
এশিয়া কাপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এর চেয়েও বড় আকর্ষণ এই দুই দেশের ফাইনাল। কিন্তু গত চৌদ্দটি আসরে একবারও দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হতে পারেনি। প্রতিবারই হয় শ্রীলঙ্কা, না হয় বাংলাদেশ পথের কাঁটা ছিল। কখনো বাদ পড়েছে ভারত, কখনো পাকিস্তান। সবচেয়ে বেশি বাদ পড়েছে পাকিস্তান। আর সবচেয়ে বেশি পথের কাঁটা ছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ পথের কাঁটা হয়ে উঠে ২০১২ সাল থেকে। শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই। এবার বাংলাদেশ আগেই বিদায় নিয়েছে। সুপার ফোরেই আসতে পারেনি। যথারীতি হুংকার দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং তা বেশ জোরালোভাবেই। এই হুংকারের গর্জন এমনই ভয়ংকর যে আজই বিদায় ঘণ্টা বেজে যেতে পারে ভারতের।
ভারতকে এমন মৃত্যুকূপে পড়েছে প্রথম ম্যাচে হেরে। বিপরীতে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল তাদের প্রথম ম্যাচ। ভারত হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে। শ্রীলঙ্কা জিতেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে।
পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে নিজেদের এগিয়ে রেখেছে। শ্রীলঙ্কারও তাই। আজ ভারত জিতলে ফাইনালের যাওয়ার লড়াই জমে উঠবে। আর ভারত হেরে গেলে সুতোয় ঝুলবে তাদের ফাইনালে খেলা। সেক্ষেত্রে তাদের আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচ জেতার পাশাপাশি নেট রান বাড়িয়ে রাখতে হবে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের দুইটি ম্যাচেই হার কামনা করতে হবে। তবে আজ হেরে গেলে এত সব ‘যদি’র মিলন ঘটানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। তার চেয়ে অনেক সহজ আজকের ম্যাচ জেতা। দুই দল এখন পর্যন্ত ২৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারতের জয়ের পাল্লা অনেক ভারী। তারা জয় পেয়েছে ১৭ বার। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৭ বার। একবার খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে।
পয়েন্ট টেবিলের অবস্থানে শ্রীলঙ্কার মনোবল চাঙা। অথচ আসর শুরু করেছিল খুবই বিবর্ণভাবে। আফগানিস্তানের কাছে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়ে হার মেনেছিল ৮ উইকেটে। আর এই রান তাড়া করতে আফগানরা ওভার খেলেছিল মাত্র ১০.১টি। কিন্তু এরপরই শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়ায়। সুপার ফোরে উঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ১৮৩ রান তারা অতিক্রম করে ৪ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে। সুপার ফোরে আফগানিস্তানের ৬ উইকেটে করা ১৭৫ রানকেও আমলে নেয়নি। ৪ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখে পাড়ি দেয়। সঙ্গে নেয় প্রতিশোধও।
ভারতের সূচনা ছিল শ্রীলঙ্কার বিপরীত। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৫ উইকেট হারিয়ে আসর শুরু করেছিল। পরের ম্যাচে হংকংকে হারিয়েছিল ৪০ রানে। কিন্তু সুপার ফোরে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে ভারত পড়ে যায় খাদের কিনারায়। সেখান থেকে আজ তাদের উত্তরণের পথ।
এমপি/এসজি