শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
পাকিস্তান-ভারত আবারও শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ। টানটান উত্তেজনা। আবারও শেষ ওভারে সমাপ্তি। এবার হাসেনি ভারত। হেসেছে পাকিস্তান। জিতেছে ৫ উইকেটে। ভারতের ৭ উইকেটে করা ১৮১ রানের জবাব পাকিস্তান দিয়েছে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯.৫ ওভারে ১৮২ রান করে। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের এটি ছিল সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়।
পাকিস্তান-ভারত আবারও শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ। টানটান উত্তেজনা। আবারও শেষ ওভারে সমাপ্তি। এবার হাসেনি ভারত। হেসেছে পাকিস্তান। জিতেছে ৫ উইকেটে। ভারতের ৭ উইকেটে করা ১৮১ রানের জবাব পাকিস্তান দিয়েছে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯.৫ ওভারে ১৮২ রান করে। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের এটি ছিল সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়।
সুপার ফোরে শুরু হয়েছে প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। আগের দিন আফগানিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা নিয়েছিল গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ।এবার নিল পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ও পাকিস্তান ৫ উইকেটে হেরেছিল। ভারতের পরের ম্যাচ ৬ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। পাকিস্তান ৭ সেপ্টেম্বর খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
পাক-ভারত ম্যাচ যদি উত্তেজনা না ছড়ায়, তাহলে কী আর সেটি চির প্রতিদ্বন্দ্বির ম্যাচ হয়। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৭ রানের। হাতে ৬ উইকেট। আগের ওভারে ক্রিজে আসা দুই নতুন ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ ও আসিফ আলী ১৯ রান নিয়ে ম্যাচকে পাকিস্তানের মুঠোয় নিয়ে আসেন। কিন্তু তাতে কী। দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বির ম্যাচ কী এতটা সহজেই শেষ হতে পারে। তাইতো ৬ বলে ৭ রান করার মাঝেও লুকিয়ে ছিল উত্তেজনার রসদ। প্রথম ২ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৫ রান নিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচকে শেষ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ ৪ বলে জমে উঠে নতুন করে উত্তেজনার বারুদ। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে বোলার আর্শদীপ সিং কোনো রান না দিয়ে আসিফ আলীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এই আসিফ আলী শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন রবি বিষ্ণুর বলে আর্শদীপ সিং সহজ ক্যাচ ফেলে দিলে। পরে তিনি খেলেন ৮ বলে ১৬ রানের কার্যকরি ইনিংস। যা দলের জয়কে তরান্বিত করে।
আসিফ আলীয় আউট হওয়ার পাকিস্তানের প্রয়োজন পড়ে ২ বলে ২ রান। এই না হলে কী আর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। যদি পঞ্চম বলে ১ রান আসে তাহলে স্কোর সমান। শেষ বলে হবে নিষ্পত্তি। আর কোনো রান না নিতে পারলে শেষ বলে প্রয়োজন পড়বে ২ রানের। এ রকম অবস্থায় ক্রিজে আসেন নতুন ব্যাটসম্যান ইফতেখার আহমেদ। কিন্তু তিনি আর শেষ বলের নাটকীয়তা রাখতে চাননি। স্ট্রেট ডাইভ মেরে ২ রান নিয়ে শূন্যে ভেসে উঠেন। তার সঙ্গে তখন ১১ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত খুশদিল শাহ।
তার আগে পাকিস্তানকে ম্যাচে রেখেছিলেন আসরের সেরা ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এক প্রান্ত আগলে রেখে তিনি ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। ২ ছয় ও ৬ চারে ৫১ বলে ৭১ রান করে তিনি যখন আউট হন, তখন পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৯ বলে ৩৫ রানের।
এখানে নাম আসবে মোহাম্মদ নেওয়াজের। তিনি দুইশরও উপরে স্ট্রাইক রেটে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ২০ বলে করেন ৪২ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুই জনে যোগ করেন ৬.৫ ওভারে ৭৩ রান। যেখানে ৪২ রানই ছিল নেওয়াজের। এই জুটির রানই পাকিস্তানের বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান কমিয়ে আনে।
১৮২ রানের টার্গেট। শুরুতেই বিপর্যয়। যথারীতি বিদায় ঘন্টা বাজে অধিনায়ক বাবরের। আসরে টানা তৃতীয় ম্যাচেট তিনি ব্যর্থ হন। আগের ২ ম্যাচে ১০ ও ৯ রান করার পর এবার করেন ১৩ রান। এরপর ফখর জামানকে নিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫ ওভারে যোগ করেন ৪১ রান। ফখর জামান ১৫ রান করে আউট হওয়ার সময় পাকিস্তানের রান ছিল ৮.৪ ওভারে ৬৩।
এরপর গড়ে উঠে রিজওয়ান ও নেওয়াজের সেই জুটি। যার সমাপ্তি আসে খুশদিল ও ইফতেখারের ব্যাটে।রিজওয়ান ৩৭ বরে তুলে নেন আসরের দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি। আগের ম্যাচে তিনি হংকংয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ৫৭ বলে অপরাজিত ৫৮ রান। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ তাই দুইশর উপরে স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বল হাতে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করে ২৫ রানে ১ উইকেট নিয়ে। ভারতের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার,আর্শদীপ সিং, রবি বিষ্ণুই, হার্দিক পান্ডিয়া ও যুবেন্দ্র চাহাল।
এমপি/এসআইএইচ/এমএমএ/