আফগানিস্তানকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিশোধ
টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হলেও এর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাই। শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। সেই শ্রীলঙ্কা আসর শুরু করেছিল আফগানিন্তাানের কাছে বাজেভাবে হেরে। সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচেই ৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচে আফগানিস্তান টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করেও রক্ষা পায়নি। শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়ে করে ১৭৯ রান। জয়সূচক রান আসে চামিকা করুনারত্নের ব্যাট থেকে চারে।
গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে ১০৫ রানে অলআউট করে ম্যাচ জিতেছিল মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০.১ ওভারে। এবার শ্রীলঙ্কা টস জিতে আফগানরদের ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। যেমনটি তারা জানিয়েছিল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশকে টস জিতে ব্যাটিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৮৭ রান করেও নিজেদের বাঁচাতে পারেনি। শ্রীলঙ্কা সেই রান টপকে গিয়েছিল ১৯.২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে। এবার আফগানিস্তা ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করেও বাঁচতে পারেনি।
গ্রুপ পর্বে আফগানদের মাত্র ১০.২ ওভারে ম্যাচ জেতার চিত্রনাট্য তৈরি করা রহমতউল্লাহ গুরবাজ এই ম্যাচেও ছিল দুর্বার। মাত্র ৪৫ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে দলের রানকে হৃষ্টপুষ্ট করতে মূখ্য ভুমিকা পালন করেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি ছক্কা ও চারটি চার। তিনি যতক্ষন ক্রিজে ছিলেন আফগানদের রান দুইশ অতিক্রম করার আভাসব ছিল। কিন্তু দলীয় ১৫.৩ ওভারে আশিতা ফার্নান্ডোর হাসারাঙা ডি সিলভার হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। এ সময় ওভার প্রতি সংগ্রহ ছিল ৯.২০ করে। তিনি আউট হওয়ার পর বাকি ৪.৩ ওভারে সংগ্রহ হয় ৩৬ রান। ওভার প্রতি সংগ্রহ হয় ৮.৩৭ করে। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ইব্রাহীম জাদরানের ৩৮ বলে ৪০ রান। লঙ্কানদের হয়ে দিলশান মাদুশঙ্কা ৩৭ রানে নেন ২ উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা কখনো রান সংগ্রহের চাপে পড়েনি। এই চাপে তাদের পড়তে দেননি বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ বার জীবন পেয়ে ৬০ রানের ইনিংস খেলা ম্যাচে রাজা বনে যাওয়া কুশাল মেন্ডিস। পাথুন নিশাঙ্কাকে নিয়ে তিনি উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান এনে দেন। পাওয়ার প্লেতেই রান আসে বিনা উইকেটে ৫৭। মাত্র ১৯ বলে ৩ ছক্কা ২ চারে ৩৬ রান করে কুশাল আউট হওয়ার পর পাথুন ২৮ বলে ৩৮, দানুশকা গুনাতিলকে ২০ বলে ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ৩৩ রান করে দলকে ম্যাচে রাখেন। শেষ ৬ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৫৭ রানের। এ সময় অধিনায়ক দাসুন শানাকা আউট হয়ে লঙ্কানদের জন্য শাপেবর হয়ে উঠে। কারণ ভানুকা রাজাপাকসে ক্রিজে এসেই যে মারমুখি ব্যাটিং শুরু করেন তাতে করে লঙ্কানদের আস্কিং রেট তরতর করে কমে আসতে থাকে। তার সঙ্গে তাল মেলান হাসারাঙ্গা ডি সিলভাও। দুই জনে পঞ্চম উইকেটচচ জুটিতে ১১ বলে ২৩ রান যোগ করেন। রাজাপাকসে মাত্র ১৪ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৩১ রান করে আউট হওয়ার সময় লঙ্কানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৯ বলে মাত্র ২ রানের। সেই রানা তারা করে পরে ৪ বল খেলে। আফগানিস্তানের পক্ষে মুজিবুর রহমান ৩০ ও নাবিন-উল-হক ৪০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
ম্যাচ সেরা হয়েছে আফগানিস্তানের রহমতউল্লাহ গুরবাজ। শ্রীলঙ্কার পরের খেলা ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে। আগানিস্তান তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে তার পরের দিন পাকিস্তানের বিপক্ষে। দুইটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে।
এমপি/এএস