হংকংকে উড়িয়ে সুপার ফোরের শেষ দল পাকিস্তান
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের আশা পূর্ণ হয়েছে। আবার দেখা যাবে ভারত-পাকিস্তান লড়াই। পাকিস্তান ১৫৫ রানে হংকংকে উড়িয়ে দিয়ে সুপার ফোরে। আবার মঞ্চস্থ হবে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ৪ সেপ্টেম্বর। ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আজ শুক্রবার সারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৯৩ রান করে। জবাব দিতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে হংকংয়ের ব্যাটিং লাইন। মাত্র ১০.৪ ওভারে ৩৮ রানে অলআউট হয় তারা। এই গ্রুপ থেকে ভারত শতভাগ জয় নিয়ে সুপার ফোর আগেই নিশ্চিত করে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে উঠেছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। হংকংয়ের সঙ্গে বাদ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপ থেকে গত দুইবারের রানার্সআপ বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে টস জিতে হংকং বোলিং বেছে নিয়েছিল। কিন্তু ভারতের রানের চাকা আটকাতে পারেনি। ভারত ২ উইকেটে ১৯২ করেছিল। জবাব দিতে নেমে হংকংও লড়াই করে ৫ উইকেটে ১৫২ রান করে হেরেছিল ৪০ রানে। কিন্তু আজ তারা লড়াই-ই করতে পারেনি। আজও টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। পাকিস্তান করেছিল ভারতের চেয়ে ১ রান বেশি ১৯৩। উইকেট হারিয়েছিল ২টি।
হংকং শুরুতেই অবশ্য সফল হয়েছিল দলীয় ১৩ ও ব্যক্তিগত ৯ অধিনায়ক বাবর আজমকে ফিরিয়ে দিয়ে। কিন্তু এরপর তারা আর সহজে সফল হতে পারেনি। যদিও ভারতের মতো ১০ ওভার পর্যন্ত তারা পকিস্তানের রানও আটকে রেখেছিল। ১০ ওভার শেষে ভারতের রান ছিল ২ উইকেটে ৬৩, পাকিস্তানের রান ছিল ১ উইকেটে ৬৪। শেষ ১০ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ১ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান। ভারত করেছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২৮ রান। শেষ ৫ ওভারে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৭৮ রান। ভারতের সংগ্রহ ছিল ৮৭ রান।
১৩ রানে বাবর আজমকে হারানোর পর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩.২ ওভারে ১১৬ রান যোগ করেন। ফখর জামান ৪১ বলে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি করে ৫৩ রানে আউট হয়ে গেলেও রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ১ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৭৮ রান করে অপরাজিত থেকে হন ম্যাচ সেরা। ফখর জামানের এটি ছিল ১৪তম ফিফটি। শেষের দিকে ঝড় তুলেন খুশদিল শাহ। তিনি মাত্র ১৫ বলে ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রান করেন। আইজাজ খানের করা শেষ ওভারে তিনি ৪ ছক্কায় ২৯ রান আদায় করে নেন। পাকিস্তানের দুইটি উইকেটই নেন ইশান খান ২৮ রানে।
ভারতের বিপক্ষে বড় টার্গেটের পেছনে ছুটে হংকং পাওয়ার প্লেতে ৫১ রান করে ভালোই সূচনা করেছিল। কিন্তু এবার পাওয়ার প্লেতেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। কিন্তু চাপ আরও পাহাড় সমান হয়ে তাদের চাপা দেয় মোহাম্মদ নেওয়াজ ও শাদাব খান বল হাত তুলে নেওয়ার পর। দুই জনে মাত্র ৪.৪ ওভারে বাকি ৭ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। শাদাব খান ২.৪ ওভারে মাত্র ৮ রানে নেন ৪ উইকেট। মোহাম্মদ নেওয়াজ ২ ওভারে ৫ রানে নেন ৩ উইকেট। নাসিম শাহ ৭ রানে নেন ২ উইকটে। হংকংয়ের কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৮ রান করেন অধিনায়ক নিজাখাত খান।
এমপি/এসজি