সাকিবের দৃষ্টি এবার সম্মুখের পানে
এশিয়া কাপ দিয়ে সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আবার নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা শুরু করেছেন। তার সঙ্গে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামও তার নতুন দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। তারা নতুন করে প্ল্যানিং শুরু করেছেন বলে জানান সাকিব।
নিজের নতুন নেতৃত্ব এবং নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামকে নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি নতুন করে টি-টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন্সি পেলাম। এই দুইটা ম্যাচ দিয়ে। আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ ছিল। শ্রীরামের জন্যও প্রথম ম্যাচ ছিল। আমাদের যখন নতুন করে শুরু করতে হয় অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। এত সহজ না। সব যদি পুরোনো থাকত কিংবা আরও ৪-৫টা ম্যাচ বা ৪-৫টা সিরিজ থাকত তাহলে আগে থেকে পরিকল্পনা করতে পারতাম। এখন থেকে আমাদের প্ল্যানিংটা শুরু হয়েছে। সেটা ছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে। কিছু সঠিক হবে, কিছু ভুল হবে। এখানে ভুল বা সঠিক সিদ্ধান্তের বিষয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এক্সজেটলি জানি যে আমরা কী করছি। আমাদের একটা প্ল্যান আছে যেটা আমি দেশ থেকে আসার আগেও বলে এসেছি। আমাদের একটা গোল আছে। আমরা সে দিকেই এগুচ্ছি। আমি আরও বলতে চাচ্ছিলাম যে আমরা ধীরে ধীরে একটা জায়গায় যেতে চাই। আমাদের প্রথম ম্যাচ কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচ দেখেন আমাদের অ্যাটিটিউড এবং মাঠের চিন্তা-ভাবনা, ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ প্রথম ম্যাচে সেরকম ছিল না। উইকেটই সেরকম ছিল। যদি আমরা ১০-১৫ রান বেশি করতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো হতো। যদি আমি দুই ম্যাচ ধরি আমার মনে হয় যে আমরা যে রকম খেলছিলাম ২,৩, ৪ সিরিজ আগে, সেখান থেকে অনেক বড় একটা ইম্প্রুভমেন্ট। এখান থেকে শুধু আমরা সামনের দিকে এগোতে পারি বলেই আমি মনে করি।’
মেহেদী হাসান মিরাজকে আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে উদ্বোধন করানো যেত কি না জানতে চাওয়া হলে সাকিব বলেন, ‘মিরাজ সব সময় চিন্তায় ছিল আমাদের ওপেনিংয়ে। সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মিলেই নেই। আগের ম্যাচে আমার সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। নিলেই যে সে রান করতে পারত এমন না। এই ম্যাচে সাব্বির ও মিরাজ যে শুরুটা করেছে, তা যদি না হতো তখন সেটা নিয়েও কথা হতো। এ বিষয়গুলো থাকবেই।’
এশিয়া কাপের যে দল আছ, সেই দলের বাইরে আরও ৫-৭ জন খেলোয়াড় আছে। যাদের ভেতর থেকে বিশ্বকাপের দল গড়া হবে বলে জানান সাকিব। তিনি বলেন, ‘দেখুন এর বাইরে যে খুব বেশি প্লেয়ার আছে তা না। হয়তো ৩-৪ জন প্লেয়ার এখানে থাকতে পারত। আমাদের জন্য এটা একটা ভালো অভিজ্ঞতা হলো, আমরা আরও কিছু প্লেয়ার দেখতে পারলাম। তো আমরা ধারণা এখানকার বাইরে আরও ৫-৭ জন প্লেয়ারই আছে যাদের ভেতর থেকে আমরা বিশ্বকাপের জন্য দলটা বাছাই করতে পারি। সেক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডে আমাদের চারটা ম্যাচ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে। কারণ কন্ডিশন একই থাকবে। ওখানে আমরা আরও ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে বিশ্বকাপে যেতে পারব।’
এমপি/এসজি