নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে কিছুই মনে করেন না সাকিব
উইন্ডিজ সফরে ফিরে পেয়েছিলেন টেস্ট নেতৃত্ব। এশিয়া কাপের আসর দিয়ে ফিরে পেলেন টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বও। কিন্তু এখনো জয়ের মুখ দেখেননি। উইন্ডিজ সফরে দুইটি টেস্টেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার এশিয়া কাপটি-টোয়েন্টি আসরেও ম্যাচ হারের সংখ্যা দুই।
এশিয়া কাপের গত দুই আসরের রানার্সআপ বাংলাদেশ দল এবার গ্রুপ পর্বই পাড়ি দিতে পারেনি। অবশ্য এ রকম যে হবে তা অনুমিতই ছিল। কারণ দেশ ছাড়ার আগে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন অন্তত সুপার ফোরে খেলা উচিত। তিনি কিন্তু নিশ্চয়তা দেননি।
দুইটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ নিজেদের মুঠোয় থাকা ম্যাচটি। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেননি। মাত্র ১২৭ রান তুলে দিয়েছিলেন বোলারদের হাতে। তাই নিয়ে বোলাররা তুমুল লড়াই করেছিলেন। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা ১৮৩ রান তুলে দিয়েছিলেন। এবার বোলাররা ভালো করতে পারেননি।
দুইটি ম্যাচে হারের কারণ দেখলে মোটা দাগে দেখা যায়, প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা, পরের ম্যাচে বোলাররা ভালো করতে না পারার কারণেই বাংলাদেশের এমন হার। কিন্তু শুধু কী এই দুইটিই কারণ? আর কিছু নেই? ফিল্ডিংয়ের কথাও কেউ কেউ বলবেন। কিন্তু সাকিবের নেতৃত্ব কী আপ টু দ্যা মার্ক ছিল। তার সিদ্ধান্তগুলো দলের জন্য কল্যাণকর ছিল।
দুইটি ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে শেষের দিকে গিয়ে। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বেসামাল বোলিং করেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে এবাদত। সঙ্গে কিছুটা হলে শেখ মেহেদী হাসান। এখানে কী সাকিব বোলিং করতে পারতেন না। তার মতো অভিজ্ঞ বোলার বোলিং করলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারত। কিন্তু তিনি অনেক আগেই নিজের কোটা শেষ করে ফেলেন। দুইটি ম্যাচেই তিনি ১২ ওভারের তার কোটা শেষ করেন। কেন তিনি এমনটি করলেন সেটা তার নিজস্ব ভাবনা। যেহেতু তিনি অধিনায়ক। অন্য কোনো অধিনায়ক হলে এভাবে সাকিবকে দিয়ে এত আগে তার কোট শেষ করাতেন না বলে প্রথম ম্যাচ শেষে জানিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাব্কে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিব। সেখানে তার নেতৃত্ব আপ টু দ্যা মার্ক ছিল কি না- এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু সাকিব তার সরাসরি কোনো জবাব দেননি। তিনি বলেন, ‘কিছুই মনে করি না। আপনি জাজ করতে পারেন আপনার মতো করে।’
এমপি/এসএন