মিরাজ-সাব্বিরকে নিয়ে বাংলাদেশের বাজিতে অভিষেক এবাদতের
উঠেছে বৈশাখী ঝড়। লন্ডভন্ড সর্বত্র। চারদিক ঘোর অন্ধকার। প্রদীপ জ্বালানোর কেউ নেই? যার উপরই ভরসা করা হয় তিনিই ব্যর্থ হন। জ্বালাতে পারেন না প্রদীপ। এমনকি একটু আশার সলতেও না। এমন অবস্থায় এশিয়া কাপের এবারের আসরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বাংলাদেশের। আর পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। সামনে এগুতেই হবে। নতুবা বাজবে বিদায় ঘণ্টা। এই ঘণ্টা যাতে না বাজে সেজন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নতুন করে প্রদীপ জ্বালাতে ভরসা করা হয়েছে সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের উপর। সঙ্গে বাংলাদেশের ৭৭তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে পেসার এবাদত হোসেনের।
সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে বাংলাদেশ বড় ধরনের বাজিই ধরেছে বলা যায়। রির্টান টিকিট হাতে নিয়েই যখন খেলতে নামা, তখন এরকম বাজি ধরাই যায়। যদি জেতা যায়। সাব্বির রহমান জাতীয় দলে ফিরেছেন প্রায় তিন বছর পর। শেষ ম্যাচ তিনি খেলেছিলেন ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। তিনি এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৪৪টি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৮০ রান। মিরাজ সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন সাব্বিররেও আগে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর উইন্ডিজের বিপক্ষে। কিন্তু অন্য দুই ফরম্যাটে তিনি নিয়মিত খেলেন। জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট ও ওয়ানেড ম্যাচের সেরা একাদশে ছিলেন মিরাজ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার মিরাজের সমৃদ্ধ নয়। ১৩ ম্যাচ খেলে রান করেছেন মাত্র ৯০। এই দুজনকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কাজেই আজ নতুন উদ্বোধনী জুটি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। দুই জনই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের উদ্বোধন করবেন। মিরাজ অবশ্য ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংসের উদ্বোধন করেছিলেন।
বাংলাদেশ মিরাজ-সাব্বিরের পাশাপাশি ভরসা রেখেছে এবাদত হোসেনের উপরও। টেস্ট খেলোয়াড় এবাদত হোসেন বাংলাদেশের ইনজুরির মিছিলে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবুয়ে সফরে শেষ ম্যাচে। ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও তার অভিষেক হয়ে গেল বাংলাদেশের ৭৭তম ক্রিকেটার হিসেবে। তাকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শ্রীলঙ্কার একাদশে এসেছে একটি পরিবর্তন।
এদিকে টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নামবে। এখানে শুরুতেই একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। কারণ সাকিবের ইচ্ছে ছিল টস জিতলে বোলিং করার। টস হারের পর বলেছেন, আমরা বোলিং করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখানে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আমরা যদি উইকেট অক্ষত রাখতে পারি তাহলে শেষ ১০ ওভার ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারব।
বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এমপি/এসজি