মোস্তাফিজ আর অটো চয়েজ নেই!
মোস্তাফিজ কী ক্রমেই দলের জন্য ভাবনার হয়ে উঠছেন? যে মোস্তাফিজ এক সময় ছিলেন অবিচ্ছেদ্য অংশ, সাফল্যের কাণ্ডারি, সেই মোস্তাফিজ এখন আর নেই। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরুতে যেখানে প্রথম ১০ ম্যাচে তিনি উইকেট নিয়েছিলেন ১৩টি। তার চেয়েও বড় কথা ইকোনমি রেট ছিল চোখে পড়ার মতো। এই ১০ ম্যাচের সাতটিতেই ইকোনমি রেট ছিল ওভার প্রতি পাঁচের নিজে। সেই মোস্তাফিজের সর্বশেষ খেলা ১০ ম্যাচে অবস্থা বেহাল। উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৭টি। তারচেয়েও বড় কথা তার ইকোনমি রেট খুবই বেহিসাবি। মাত্র তিনটিতে ছিল পাঁচের নিচে ইকোনমি রেট। দশের উপরে ছিল তিনটিতে।
এক সময় মোস্তাফিজের উপর ভরসা করা হতো ডেথ ওভারে। সেই আস্থার জায়গা হারাচ্ছেন ক্রমেই। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বালাদেশের মুঠোয় থাকা ম্যাচ বের হয়ে গেছে এই মোস্তাফিজের কারণেই। শেষ ৪ ওভারে আফগানদের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রানের। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৭ নম্বরটি তুলে দেন মোস্তাফিজের হাতে। সেই মোস্তাফিজ রান দেন ১৭। ব্যস এতেই আফগান ব্যাটসম্যানরা আগ্রাসী হয়ে উঠে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা পরের ওভারে ২২ রান নিয়ে টার্গেটকে তারা ১২ বলে ৪ রানে নামিয়ে আনেন। এভাবেই মোস্তাফিজ দলকে ক্রমেই শুধু হতাশা উপহার দিয়ে চলেছেন। যে কারণে এক সময় মোস্তাফিজ যেখানে ছিলেন অটো চয়েজ, সেখানে দল তাকে আর অটো চয়েজ ভাবছে। এমনটি জানিয়েছেন দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
তিনি বলেন, ‘অটো চয়েজ বলে কিছু নেই। তারপরও এই ফরম্যাটে আমরা সবসময় ওকে এগিয়ে রাখি, ওর অভিজ্ঞতা, আইপিএলে খেলে, সব কিছু মিলিয়ে এই সংস্করণে আমাদের ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে মোস্তাফিজই। ওই হিসেবে তাকে এগিয়ে রাখা হয়।’
তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজই ভালো করেনি তা নয়। তবে গত ২ বছর সে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছে না। এটা আমাদের সবার জন্য উদ্বেগের ব্যাপার। তবে আমি বিশ্বাস করি, ফর্ম ইজ টেম্পরারি, ক্লাস ইজ পারমানেন্ট। আমি এখনও বিশ্বাস করি মোস্তাফিজই এখান থেকে বের হয়ে আসবে, দলকে আবার ম্যাচ জেতাবে।’
এমপি/এসএন