সাকিবের নেতৃত্ব ভালো হয়নি: লিপু
জয়-পরাজয় খেলারই অংশ। কিন্তু কখনো কখনো কোনো কোনো হার নিয়ে পোস্ট মর্টেম চলে। কারণগুলো খোঁজার চেষ্টা করা হয়। এবার যেমনটি হয়েছে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসরে আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হারের পর।
এই আসরের আগে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের কাছেও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও হেরেছিল। সেগুলো নিয়েও বিস্তার সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু সেখানে হারা কোনো ম্যাচই বাংলাদেশ জয়ের ক্ষেত্র রচনা করতে পারেনি।এবার যেমনটি পেরেছিল আফিগানিস্তানের বিপক্ষে।
আফগানিস্তানের ইনিংসের ১৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের ড্রাইভিং আসনে ছিল বাংলাদেশ। এ সময় ২৪ বলে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রানের। সেই রান তাড়া করে মাত্র ১৫ বলে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সেরা একাদশে একজন স্পিনার কম, রান কিছুটা কম হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি সাকিবের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন ডেথ ওভারে মোস্তাফিজকে বোলিং করা নিয়ে। নেটে কী মোস্তাফিজ ডেথ ওভারের মতো পরিবেশ তৈরি করে বোলিং অনুশীলন করে।
আফগানদের রান করতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে মূখ্য ভুমিকা পালনে করেন সাকিব। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। কিন্তু তিনি তার এই ৪ ওভার করে ফেলেন ইনিংসের ১২ ওভারের মাঝেই। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
তিনি বলেন, ‘সাকিব পাওয়ার প্লেতেই ৩ ওভার করে ফেলে। ১২ ওভারের মাঝে কোটা শেষ করে। এখানে সে নিজের একটা ওভার রেখে মোসাদ্দেককে নিয়ে আসতে পারতে। কিন্তু নিজের কোটা শেষ করে নিজেকে সেইফ সাইডে রেখেছে।’
দলে একজন স্পিনার বেশি রাখার সুবিধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উইকেটে স্পিন ধরাতে সাকিব ১২ ওভারে মাঝে ৮ ওভারই স্পিনারদের (সাকিব ৪ ওভার শেখ মেহেদি ও মোসাদ্দেক করেন ২ ওভার করে) দিয়ে করিয়েছে। এরপর স্পিনারদের দিয়ে আর দুই ওভার করানো হয়েছে। এখানে আরেকজন স্পিনার থাকলে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা নিতে পারতো।’
ডেথ ওভারে মোস্তাফিজের বোলিং মার খাওয়া নিয়ে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘মোস্তাফিজকে আনা হয়েছিল যদি উইকেট তুরে নিতে পারে কিংবা রান চেক দিতে পারে। কিন্তু সে কিছুই পারেনি। তার বোলিং দেখে মনে হয়েছে, সে যে ডেথ ওভারে বোলিং করছে, নেটে কী তাকে সে রকম অনুশীলন করানো হয়। ৯০ বল বা ৯৬ বল পরে পুরানো বলে অনুশীলনের কথা বলছি আমি। না নতুন বলেই অনুশীলন করে থাকে। এখানে যাার দায়িত্বে আছেন তারা ভালো বলতে পারবেন।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে মনে হয়েছে দলে একটা অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা দল ভালো করতে না পারার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে ভালো করা যায় সে ভাবনা থেকে কাকে রেখে কাকে খেলানো হবে এ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার কাছে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে খেলানো ছিল ‘বিগ সারপ্রাইজ’। তার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলের মাঝে ‘পেনি ‘কাজ করেছে। যেটি আবার আফগানদের মাঝে হয়নি। তারা প্লানওয়াইজ ক্রিকেটে খেলে ম্যাচ বের করে নিয়েছে। নজিবুল্লাহ জাদরানকে খুব ভালো মানের ব্যাটসম্যানও নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু সে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। সেটি কাজ লাগিয়েছে।
গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো
অলরাউন্ডারক ৯ নম্বারে ব্যাট করানোটাও পছন্দ করেননি। তাকে আরও উপরে খেলানো উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। তার হাতের কাজ ভালো। পেশীতে শক্তি আছে। অনেক সময় তার মিছ টাইমিংও ছক্কা হয়ে যায় বলে জানান তিনি।
এমপি/এমএমএ/