হারের কারণ দ্রুত উইকেট হারানো

টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব। তার মানে সহজ ভাষায় ধরে নিতে হবে উইকেট ব্যাটিংবান্ধব। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর সাকিব বলেছিলেনও সেই রকমই। স্কোর বোর্ডে রান করে আফগানদের চাপে রাখা। যাতে করে সে রান তাদের পক্ষে অতিক্রম করা কঠিন হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল কী? নিজেদের জালে নিজেরাই আটকা পড়েছে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে নেই তিন উইকেট। ৭ ওভারে নেই ৪ উইকেট। এরপর আর থাকে কী? কোনোরকম ২০ ওভার খেলে যতটা সম্ভব স্কোর বোর্ডে রান করে মান সম্মান রক্ষা করা।
বাংলাদেশ করতে পেরেছিল ৭ উইকেটে ১২৭ রান। আফগানদের করতে হবে ১২০ বলে ১২৮ রান। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার করা ১০৫ রান তারা যেভাবে ১০.১ ওভারে অতিক্রম করেছিল, তাতে করে বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা কত ওভার হাতে রেখে অতিক্রম করে সেটাই ছিল দেখার বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের অসম্ভব রকমের ভালো বোলিং বাংলাদেশকে জয়ের আশাই দেখাচ্ছিল। ১৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ বাংলাদেশের দিকেই ছিল। এরপর মরুর বুকে উঠে আফগান ঝড়। যে ঝড়ের নাম ছিল নজিবুল্লাহ জাদরান।
লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন। এভাবে ম্যাচ জেতাতে আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিয়েছেন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক সাকিব ও সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সাকিব বলেন, ‘শুরুর দিকেই আমরা বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৭ ওভারের মাঝে আপনার ৪ উইকেট চলে যায়, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তারপরও আমাদের বোলাররা ভালো বোলিং করেছে। নজিবুল্লাহ ভালো ব্যাটিং করেছে। তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
মোসাদ্দেক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনি যদি তাড়াতাড়ি উইকেট হারান, পাওয়ার প্লেতে ২/৩ উইকেট চলে যায়, তাহলে আবার ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যাটিং ছাড়া আমাদের বাকি সবই ভালো ছিল। আমরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। নাজিবুল্লাহ খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা ভালো খেলেছে।’
এমপি/এসএন
