হারের পর সাকিব-মোসাদ্দেকের ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি ছড়া

ছোট ছোট বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য মা-দাদি-নানিরা ছন্দে ছন্দে ছড়া শুনাতেন,
ঘুমপাড়ানী মাসি পিসি,
মোদের বাড়ি এসো।
খাট নাই পালং নাই,
চোখ পেতে বোসো।
বাটা ভরা পান দেব,
গাল ভরে খেও।
খোকার চোখে ঘুম নাই,
ঘুম দিয়ে যেও। ‘
বাংলাদেশ দলও যেন হারের পর সবাইকে সেই ছড়ার মতো করেই শুনাতে থাকে ১০/১৫ বা ১৫/২০ রান নিজেরা ব্যাট করলে কম হয়ে গেছে, প্রতিপক্ষ ব্যাট করলে বেশি হয়ে গেছে। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের ৭ উইকেটে হারের পর এ রকমই ঘুম পাড়ানি মাসি ছড়া শুনিয়েছেন নিয়েছেন প্রথমে অধিনায়ক সাকিব, পরে ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘যে রকম উইকেট ছিল, তাতে করে আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি।’ পরে সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও বলেন একই কথা, ‘১০-১৫ রান আমরা কম করেছি।’
আচ্ছা ১০-১৫ রান বেশি করতে পারলে কী বাংলাদেশ জিততে পারত? বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ১২৭ রান আফগানরা পাড়ি দিয়েছে ৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। ২৪ বলে ৪৩ রানের প্রয়োজনীয়তাকে যেভাবে নজিবুল্লাহ জাদরান ১৫ বলে করে ফেলেছেন, তাতে কী মনে হয় ১০-১৫ রান বাংলাদেশ বেশি করতে পারলে বাংলাদেশ জিততে পারত! মোসাদ্দেক কিন্তু বলেই দিয়েছেন, ‘ম্যাচের সিনারি অন্যরকম হতো!’ হায় সেলুকাস
আসলে এটা যেন একটা অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ দল একটি করে ম্যাচ হারবে। আর ম্যাচ শেষে তোতা পাখির মতো এ রকম রান কম করার মুখস্থ বুলি আওড়াতে থাকবে? কখনো বলবে বোলাররা ভালো করতে পারেনি। কখনো বলবে ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। কখনো বলবে ফিল্ডিং ভালো হয়নি। কারণের শেষ নেই। এর শেষ কোথায়, তাও কেউ জানেন না ! শুধু এটুকু জানেন হারের পরও আবার নতুন মাঠে নামতে হবে, খেলতে হবে, হারতেও হবে?
এমপি/এসএন
