টস করেই সাকিবের সেঞ্চুরি
ফুটবলে খেলা শুরু হতে না হতেই গোল হওয়ার অনেক নজির আছে। এইতো সপ্তাহখানেক আগে লিগ ওয়ানে পিএসজিরে হয়ে ৮ সেকেন্ডে গোল করার নজির স্থাপন করেছেন এমবাপে।
কিন্তু ক্রিকেটে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করা এক কথায় অসম্ভব। তাও আবার খেলা শুরু হওয়ার আগে টস করেই! হ্যাঁ এ কাজটিই করেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস করেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। তবে সেই সেঞ্চুরি অবিশ্বাস্য নয়, তিন কাঠির খেলায় এ রক ঘটে থাকে মাঝে মাঝে। সাকিবের সেঞ্চুরি কিন্তু ২২ গজে হয়নি। টস করার পর ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে হয়েছে এই সেঞ্চুরি। আজ তিনি টস করেছেন শততম ম্যাচে। সাকিব হলেন তৃতীয় বাংলাদেশি। আর বিশ্বে ১৫তম।
সাকিবের আগে বাংলাদেশের হয়ে এই সেঞ্চুরি করেন প্রথম মাহমুদউল্লাহ। ২০২১ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। তখন তিনি দলের কাপ্তানও ছিলেন। ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫২ রানে। মাহমুদউল্লাহর বর্তমান ম্যাচ সংখ্যা ১১৯টি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শততম ম্যাচ খেলার গেরব অর্জন করেন মুশফিকুর রহিম। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রথম ম্যাচেই মুশফিক এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন। কিন্তু অনাকাঙ্খিত ইনজুরির কারণে তা আ্র সম্ভব হয়নি। মাহমুদউল্লাহর মতো মুশফিকও তার শততম ম্যাচে হারের নোনা স্বাদ নিয়েছিলেন ৮ উইকেটে ম্যাচ হেরে। এরপর মুশফিক উইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে দলে ছিলেন না।
উইন্ডিজ ৮ সফরে পবিত্র হজ করতে যাওয়ার কারণে ছুটিতে ছিলেন। জিম্বাবুয়ে সফরে তাকে বিশ্রওাম দেওয়া হয়েছিল। এবার সাকিবের পালা? সামনে সেই আফগানিস্তান। সাবিক কী পূর্বসুরিদের অনুসরণ করবেন, না নতুন করে কীর্তি গড়বেন।
শততম ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আয়ারল্যান্ডের তিনজন।এরপর দুইজন করে আছেন বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নিউ জিল্যান্ডের। একজন করে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও উইন্ডিজের। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের রোহিত শর্মা ১৩৩টি। এরপর পাকিস্তানের শোয়েব মালিক খেলেছেন ১২৪টি ম্যাচ।
এ ছাড়া নিউ জিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ১২৩ ম্যাচ, পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ১১৯ ম্যাচ, ইংল্যান্ডের ইয়ন মর্গান ১১৫ ম্যাচ, আয়ারল্যান্ডের পল স্টিরলিং ১১৪ ম্যাচ, কেভিন ও ব্রেইন ১১০ ম্যাচ,ডকরেল ১০৫ ম্যাচ, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ১০৪ ম্যাচ, নিউ জিল্যান্ডের রস টেলর ১০২ ম্যাচ উইন্ডিজের কাইরেন পোলার্ড ১০১ ম্যাচ ও ভারতের বিরাট কোহলি ১০০ ম্যাচ খেলেছেন।
এমপি/এমএমএ/