শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘জাগো বাহে, কোনঠে সবায়?’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল যেন সৈয়দ শামসুল হকের ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’ কাব্যনাট্যে! ২২ গজে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সবাই যেন দেবী সিং। নুরুলদীনের কাব্য নাট্যে ব্রিটিশদের শোষন আর লুন্টনের সহযোগী ওয়ারেন হেস্টিংসের প্রিয়জন দেবী সিংয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সবাইকে জাগিয়ে তুলে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন নুরুলদীন। ২২ গজে আজ একই অবস্থা বাংলাদেশেরও।

দেবী সিং নামক প্রতিপক্ষের কাছে হারছে তো হারছেই! এর শেষ কোথায়? হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর পেছনে যাওয়ার উপায় নেই। হয় রুখে দাঁড়াতে হবে, না হলে অস্তিস্ত বিপন্ন বা হুমকির মুখে পড়বে? কে হবেন এখানে নুরুলদীন? কে করবে বিদ্রোহ? নুরুলদীন পেরেছিলেন। সাকিবরা কী পারবেন ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’।

বাংলাদেশের সামনে আজ দেবী সিং হয়ে আছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে অত্যাচার করার জন্য অস্ত্র ধার দিচ্ছেন রশিদ খান, মুজিবুর রহমান, ফজল হক ফারকী, হযরতউল্লাহ জাজাই, মোহাম্মদ নবী, রহমতউল্লাহ গুরবাজরা। কিন্তু বাংলাদেশের অস্ত্রগুলো ভোতা হয়ে গেছে। সেগুলোকে নতুন করে শান দেওয়া হচ্ছে। কামার হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে শ্রীধরন শ্রীরামকে।

তিনি মোস্তাফিজ, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, নাসুম, এনামুল, মিরাজদের শানিত করে তুলার জন্য সময় পেয়েছেন মাত্র এক সপ্তাহ। যতটুকু ধারাল হবে তাই দিয়ে আঘাত হানতে হবে। গড় তুলতে হবে প্রতিরোধ। সবাইকে এক সুতোয় গাঁথার জন্য উদ্দীপনা যোগাতে নেতৃুত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞতায় ঝুলিতে ভরপুর থাকা সাকিবের কাঁধে।

টি-টোয়েন্টিতে এমনিতেই বাংলাদেশ খুব ভালো খেলতে পারে না। কিন্তু এই জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর বিষয়টি যেন খুব মোটা দাগে সামনে চলে আসে। এতদিন পায়ের তলার মাটি ছিল,তবে নড়বড়ে। জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর থেকে সেই মাটিও সরে গেছে। শূন্যে ভাসছে বাংলাদেশ। যে কারণে এশিয়া কাপের শেষ দুই আসরের (২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০১৮ সালে ওয়ানডে) যেখানে বাংলাদেশ রানার্সআপ, সেখানে এবার তারা সুপার ফোরে খেলারও নিশ্চয়তা দিয়ে যেতে পারেনি।

অধিনায়ক সাকিব সুপার ফোরে খেলা উচিত বলে দেশ ছাড়ার আগে জানিয়ে গেছেন। তাই বাংলাদেশের প্রয়োজন এখন পায়ের নিচে মাটি জোগাড় করা। আফগানিস্তানকে দিয়েই শুরু করতে হবে সেই কাজ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফগানিস্তান যে দুর্দান্ত নৈপুন্য দেখিয়েছে, তাতে করে বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার মতোই হয়ে উঠেছে। আফগানরা যে ঢেউ তুলবে, সেই ঢেউ সাঁতার কাটা কী সম্ভব হবে সাকিব বাহিনীর? দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে আবার এগিয়ে আফগানরাই। ৮ বারের মাঝে তাদের জয় পাঁচটিতে। বাংলাদেশ জয় পেয়েছে তিনটিতেই। কিন্তু এ সব পুরোনো হিসেব বাদ দিয়ে জয় পেতে মরিয়া লাল-সবুজের সৈনিকেরা।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বড় দূর্বলতার নাম রান খরা। গত বছর এই মরুর বুকেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ব্শ্বিকাপের মূল পর্বে গিয়ে জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। শেষ দুই ম্যাচে আবার শতরানের নিচে অলআউট হয়েছিল। এবারের এশিয়া কাপেও দেখা যাচ্ছে রান খরা। যে দুইটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছ তাতে আগে ব্যাট করা দল করেছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ১০৫ ও পাকিস্তান ১৪৭।

দুই দলই অলআউট হয়েছে। আবার দুই ম্যাচেই পরে ব্যাট করা দল জয়ী হয়েছে। দুইটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুবাইতে। আজকের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শারজাহতে। যেখান থেকে শুরু হয়েছিল মরুর বুকে ক্রিকেটে পদচারণা। যদিও শারজাহ এখন মরুর বুকে ক্রিকেটের জন্য অপাংক্তেয় হয়ে উঠেছে। খেলা হয় কালে-ভাদ্রে। ২০১৮ সালের ওয়ানডে এশিয়া কাপে কোনো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়নি শারজাহতে।

বাংলাদেশ দল দুবাই যাওয়ার পর অনুশীলন সেখানেই করেছে। পিচ আর কন্ডিশন বুঝতে সোমবার বিকালের দিকে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন গিয়েছিলেন শারজাহতে। সেটা দেখে তারা কী বুঝতে পেরেছেন তা বুঝা যাবে আজ?

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলা ম্যাচে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও হাসান মাহমুদ ইনজুরি ও ফর্মের কারণে দলেই নেই। তাই বাংলাদেশের সেরা একাদশে আজ অনেক ওলট-পালট হতে পারে। তিনটি পরিবর্তন তাই অবধারিত। চারটিও হতে পারে। সাকিব-মুশফিকের সঙ্গে মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের যেকোনো দুই জনের খেলার সম্ভাবনা বেশি।
পরিবর্তনের শুরুটা ওপেনিং জুটি দিয়ে। এনামুল হক বিজয় আর মোহাম্মদ নাঈম শেখ, না অন্য কেউ এ নিয়ে বেশ মাথা ঘামাতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। আফগান বোলিং আক্রমণের কথা বিবেচনা করে এক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকা পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ঝুঁকি নেওয়ার সম্ভাবনা কমই।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনে ব্যাটিং করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি এবার দলেই নেই। তিনে ব্যাট করবেন সাকিব। পিচ না দেখার কারণে বাংলাদেশের সেরা একাদশে পেসার তিনজন, না স্পিনার তিনজন তার ধারনা পাওয়া যায়নি। হাসান মাহমুদের পরিবর্তে মোস্তাফিজের সঙ্গে হাত ঘুরাতে পারেন এবাদত ও তাসকিনের যে কেউ। স্পিনার তিন জন খেলালে সাকিবের সঙ্গে নাসুম আর মোসাদ্দেকে। প্রয়োজনে হাত ঘুরাতে দেখা যেতে পারে মাহমুদউল্লাহকে। এমন কি আফিফকেও।

এমপি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার