ভারতের পান্ডিয়া, আমাদের আছে সাকিব: শ্রীধরন
নাগালের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচ ভারত জিতে নিয়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের মুখের খাবার কেড়ে নিয়েছে ভারত। আর এটি সম্ভব হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে। এক ছক্কা আর চার বাউন্ডারিতে ১৭ বলে খেলেন অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস।
এর আগে বল হাতে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদেন জন্য দুর্বিসহ হয়ে উঠেন। বলা যায় ১০ মান পর মরুর বুকে দুই চরিপ্রতিদ্বন্দ্বির লড়াইয়ে ব্যবধান তৈরি করে দিয়েছেন এই হার্দিক পান্ডিয়াই। ২২ গজে বাংলাদেশও এমন বিপদে পড়ে এবং প্রায়ই পড়ে। কিন্তু কেউ আর হার্দিক পান্ডিয়া হয়ে উঠতে পারেন না।
আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশের নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের কাছে ছুটে গিয়েছিল এ রকম প্রশ্ন। জবাবে তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের আছে সাকিব আল হাসান।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অলরাউন্ডের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি প্রয়োজন। চার ওভার বোলিং করতে পারে আবার চারে কিংবা পাঁচে ব্যাট করতে পারে। ছক্কাও মারতে পারে। এটি অমূল্য। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া, বেন স্টোকসরা সব সময় আসে না। যে দলে আছে, তারা ব্যালেন্সড হয়।’
‘চাইলেই আপনি একজন বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান বেশি খেলাতে পানবেন। আমি যেন কোথায় পড়েছি ভারতীয় দলে ১২ জন খেলে। হার্দিক পান্ডিয়া থাকলে এমনটি ভাবাই যায়। আমাদেরও সাকিব আছে। যে ৪ ওভার বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংও করতে পারে। এটি দলের জন্য বাড়তি সুবিধা,’ তিনি বলেন।
অলরাউন্ডারের ভূমিকা তো টি-টোয়েন্টিতে অনস্বীকার্য। হার্দিক পান্ডিয়া, বেন স্টোকস তো বেশি আসে না। যে দলে আছে, ব্যালান্স রাখে। কখনো একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান খেলাতে পারবেন, কখনো বোলার। কোথায় যেন পড়লাম, ভারত দলে ১২ জন খেলছে। হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডার আছে বলে। আমাদেরও সাকিব আছে। ৪ ওভার করতে পারে, টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে।’
শ্রীধরন অধিনায়ক সাকিবের নেতৃত্ব আর চিন্তা-ভাবনার ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে সে দারুণ।সাকিব তার প্রত্যাশা পূরণে দুর্দান্ত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে তার চিন্ত-ভাবনা খুবই আধুনিক।’
সাকিবকে খুবই বুদ্ধিমান ক্রিকেটার হিসেবে উল্লেখ করে শ্রীধরন বলেন, ‘সে খুবই বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। আজ আপনি যদি আন্তর্জাতিক খেলা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান তবে আপনাকে আপনার খেলাকে আপডেট করতে হবে, উন্নত করতে হবে। সাকিবের মতো ক্রিকেটাররা দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। এর একমাত্র রহস্য হল তারা ধারাবাহিকভাবে তাদের খেলার বিকাশ ঘটাচ্ছে।’
দলের অন্য ক্রিকেটারদের পাথর্ক্য হিসেবে শ্রীধরন তুলে ধরেন সাকিবের ‘এক্সপোজার’ ।
তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হল এক্সপোজারের পরিমাণ। তিনি বিভিন্ন লীগে এবং বিভিন্ন কন্ডিশনে খেলেছেন। তিনি অনেক বছর ধরে আইপিএল খেলেছেন, সিপিএল খেলেছেন। সারা বিশ্বে খেলছেন। তার এক্সপোজারের সঙ্গে এটি একটি প্রধান পার্থক্য। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের এক্সপোজার দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, যাতে তারা দ্রুত শিখতে পারে।’
এমপি/এমএমএ/