শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

২২ গজে আজ ভারত-পাকিস্তান লড়াই

সীমান্তে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় সার্বক্ষণিক পাহারারত। আছে টানটান উত্তেজনা। যখনই রাজনৈতিক সম্পর্কে বারুদ লাগে, তার ঢেউ আছড়ে পড়ে সীমান্তেও। রাজনৈতিক সর্ম্পকটা অবশ্য মোটেই ভালো নেই দুই দেশের। এই দুই দেশ হলো ভারত আর পাকিস্তান। রাজনৈতিক বৈরিতার এই উত্তাপ ক্রিকেট বিশ্বের ‘প্রাণ’ পাকিস্তান-ভারত ম্যাচেও প্রভাব পড়েছে। ২২ গজে দুই দেশের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হয় না। এখানে পাকিস্তানের আগ্রহ থাকলেও ভারত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই দুই দেশের খেলা বলতে আইসিসি আর এসিসির আসর। আইসিসির ইভেন্টে দুই দেশের খেলা নির্ভর করে গ্রুপিং আর সূচির উপর। কিন্তু এশিয়া কাপ সেখানে অবারিত সুযোগ। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) যেন ইচ্ছে করেই দুই দেশকে একই গ্রুপে রাখে। আবার ফরম্যাটও এমনভাবে করে যাতে করে আবারও দেখা হয়। এমন কী ফাইনালেও দেখা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রচুর।

পাকিস্তান-ভারতের ম্যাচ মানেই বিশ্ব ক্রিকেটের নড়চড়ে বসা। সেখানে এশিয়া কাপের এক আসরে দুইবার, এমনকি তিনবারও হয়ে যেতে পারে। এ যেন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য ‘একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি’ পলিসির মতো। আর ফাইনালে দেখা হলে তা হবে আবার বাড়তি বোনাস। এশিয়া কাপের আসরের ফরম্যাট এভাবে সাজানো হয়েছে। বলা যায় আয়োজক চান দুই দলই যেন ফাইনালে খেলে। আর তা না হলে দুইবার দেখাতো হচ্ছেই। এটা আর ঠেকায় কে?

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে আজ এক কাতারে নিয়ে এসেছে এই এশিয়া কাপই। মরুর বুকে দুবাইয়ে আজ মুখোমুখি হবে দুই দল। আগুনের উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচ দিয়ে আবার দুই দেশের যাত্রা শুরু হবে আসরে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দুই দেশের মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতই থাকত সব সময় ফেভারিট। মাঠেও তার প্রমাণ রেখে তারা ম্যাচ নিজেদের করে নিত। যে কারণে ভারতেরই জয়ের পাল্লা ভারী। কিন্তু মরুর বুকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরে পাকিস্তান ভারতের গাম্ভীর্যে আঘাত হানে। নামিয়ে আনে মাটিতে। ম্যাচ জিতে ১০ উইকেটে। বিশ্বকাপে দুই দেশেরই এটি ছিল আবার প্রথম ম্যাচ। ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তান পরে গোটা আসরে দুর্দান্ত প্রতাপে খেলে পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে। যদিও সেমিফাইনালে তারা জিততে পারেনি। হার মেনেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। বিপরীতে ভারত পাকিস্তানের কাছে এই হারের ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি। সেমি ফাইনালেই যেতে পারেনি। তাই ভারতের কাছে আজ প্রতিশোধের পালা। অন্যদিকে পাকিস্তানের কাছে নিজেদের জয়ের সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পাকিস্তান সর্বশেষ মোকাবিলাতে জয়ী হলেও এর আগে চারটি ম্যাচেই তারা ভারতের কাছে হেরেছিল।

ভারত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব সময় ভালো খেললেও পাকিস্তানের ছিল উত্থান-পতন।কিন্তু গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই অবশ্য দুই দেশই সমান অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। সর্বশেষ খেলা ১০ ম্যাচে দুই দেশই আটটি করে ম্যাচ জিতে হেরেছে দুইটিতে। ভারত হেরেছে ইংল্যান্ড ও উইন্ডিজের কাছে। পাকিস্তানের হার ছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছেই দুইবার।

এশিয়া কাপে দুই দেশই এসেছে নিজেদের সেরা সব অস্ত্র নিয়ে। তবে সেই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে নেই আবার দুই দেশের অন্যতম সেরা অস্ত্র পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদী ও ভারতের যশপ্রীত বুমরা। দুইজনেই ইনজুরিতে কাবু। ইনজুরিতে আরও আছেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ও ভারতের হার্শাল প্যাটেল। তবে দুই দেশেরই মূল আকর্ষণ ব্যাটিং লাইন। এক সময় ভারতের ব্যাটিং লাইন ছিল বিরাট কোহলি কেন্দ্রিক। এখন কোহলি যেন অস্ত্রগামী সূর্য। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন পাক দলপতি বাবর আজম। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে সবার উপরে থাকা বাবর আজম। আবার দলগত র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে ভারত। তারা আছে সবার উপরে, পাকিস্তান তিনে।

ভারতের ব্যাটিং লাইন সমৃদ্ধ হয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি ছাড়াও দলে ফিরেছেন লুকেশ রাহুল। দারুণ ফর্মে আছেন সূর্যকুমার যাদব। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন সমৃদ্ধ হয়েছে বাবর আজমের সঙ্গে ফখর জামান, মোাহম্মদ রিজওয়ান, আসিফ আলী, ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে। দুই দলের আছেন বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার, যারা যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন। ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা ও দিপক হুদা এবং পাকিস্তানের সাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। 

বোলিংয়ে পাকিস্তানের পেস আক্রমণে আছেন ভারতের হয়ে এই দায়িত্ব পালন করবেন ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া, রভি বিষ্ণুই। স্পিনে ভারতের আছেন অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর যুবেন্দ্র চাওয়াল। পাকিস্তানের হয়ে বল ঘুরাতে দেখা যাবে পেসার হাসান আলী, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, স্পিনার সাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়া, ওসমান কাদিরকে।

দুই দেশ এখন পর্যন্ত ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ভারতের জয়ের পাল্লা ভারী। তারা জিতেছে ৭ বার। পাকিস্তানে জিতেছে ২ বার। এশিয়া কাপে দুই দেশ ১৪ বার পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে। এখানেও জয়ের পাল্লা ভারী ভারতের। তারা জিতেছে ৮টিতে, পাকিস্তান জিতেছে ৫টিতে। একটি ম্যাচ টাই হয়েছে। এশিয়া কাপে একটি ম্যাচ অবশ্য টি-টোয়েন্টি ছিল। ২০১৬ সালে মিরপুরে দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল। ভারত জিতেছিল ৫ উইকেটে।

এমপি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার