পেসারদের বোলিংয়ে উচ্ছ্বসিত গিবসন
নিউ জিল্যান্ডের সবুজ ঘাসে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দলপতি মুমিনুল হক। তার এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ করে তুলেন দলের তিন পেসার শরিফুল, তাসকিন ও এবাদত।
প্রথম দিন শেষে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দুই দলেরই সমান সমান। নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৮। পেসারদের এমন বোলিংয়ে কোচ অটিস গিবসন মনে করছেন পরিশ্রমের ফসল। নিজেকে গর্বিতও মনে করছেন।
নিউ জিল্যান্ড এসে যে কয়দিন সময় পেয়েছেন তাতেই তিনি যতটুকু সম্ভব পেসারদের ধার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কারণ, ঘরের মাঠে সবুজ জমিনের উইকেট পাওয়া যায় না।
আজ প্রথম দিন শেষে তিনি বলেন, ‘নিউ জিল্যান্ডে যেমন পিচ পাওয়া গেছে, বাংলাদেশে তেমন পাওয়া যায় না। তাই অনুশীলনও সেভাবে করা সম্ভব হয় না।’
এখানে আসার পর এমন পিচ পেয়ে তারা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বলের সুইং নিয়ে অনেক কাজ করছি। সব বোলাররা আজ সুইং পেয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চে আসার পর থেকেই আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি তার ফলও পেতে শুরু করছি। বাংলাদেশে অনুশীলনের সময় আমরা পেছনের লেন্থে বোলিং করি, যে কারণ সেখানে খুব একটা সুইং পাওয়া না। এখানে সেই সুযোগ পাচ্ছি আমরা।’
বোলাররা পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছে বলে উল্লেখ করে গিবসন বলেন, ‘আমাদের ফাস্ট বোলাররা আজ কঠিন পরিস্থিতিতে খুব ভালো বোলিং করেছে। নতুন বলেও আমরা দারুণ বোলিং করেছি। পিচের সঙ্গে মানিয়ে বোলিং করেছে, সুইং করেছে। ব্যাটসম্যানরা একাধিকবার পরাস্তও হয়েছে।’
নিউ জিল্যান্ডের আরও কয়েকটি উইকেট না পাওয়াতে তার কন্ঠে ঝরেছে আফসোস। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আরও কয়েকটি উইকেট পেতে পারতাম। ডেভন কনওয়ের খুব জোড়ালো একটা এলবিডব্লিউর আবেদন ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগুলো খুব ছোট ব্যবধান। তারপরও পেসাররা আজ যেভাবে লড়াই করেছে এবং গোটাদিন তা ধরে রেখেছে,তাতে আমি খুবই গর্বিত।’
শরিফুলের বোলিংয়ের উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করে গিবসন বলেন, ‘শরিফুল আজ খুব ভালো বোলিং করেছেন। এটাই টেস্ট ক্রিকেট। আমি তাকে বলেছি যে তুমি প্রতিদিন উইকেট পাবে না। তারপরও তোমার আগামীকাল সুযোগ আছে পাঁচটি উইকেট পাওয়ার। আজ রাতে বিশ্রাম নেওয়ার পর কাল সে হয়তো আরও তিন/চারটি উইকেট পেতে পারে।’
এমপি/এমএমএ/