সবারই সামর্থ্য আছে পাওয়ার হিটিং করার
টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার ফুলঝরি। রানের ফোয়ারা। কিন্তু এখানেই মারাত্মক ঘাটতি লাল সবুজের বাংলাদেশ দলে। চার-ছক্কা মারতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। সীমনা আর পার করানো হয় না। তার আগেই ক্যাচ দিয়ে বাজে বিদায় ঘণ্টা। পাওয়ার হিটিংয়ের এই ঘাটতির কারণেই স্কোর বোর্ডে রানও খুব বেশি জমা হয় না। আগে কোনো দল ১৬০/৭০ রান করলে বাংলাদেশ দলের পক্ষে সম্ভব হয় না তা অতিক্রম। আবার নিজেরা আগে ব্যাট করলে সংগ্রহকে আকাশ ছোঁয়া করা সম্ভব হয় না। শত রানের নিচে কিংবা ১২০/৩০ রানের পূঁজি জমা হয়। এতে নির্ঘাত হার লেখা হয়ে যায়।
জয়-পরাজয়ের চেয়েও এখন বাংলাদেশ দলে বড় সমস্যার নাম পাওয়ার হিটিং। এবারে এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে সাকিব-মুশফিকের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা আলাদা করে চার-ছক্কা মারার অনুশীলন করেছেন। কিন্তু দলের ওপেনার এনামুল হক বিজয় মনে করেন বাংলাদেশ দলে পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়েও বড় প্রয়োজন পরিকল্পনা।
তার মতে, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ আছে। শুক্রবার বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় দুবাইয়ে তিনি বলেন, ‘কেউই বলতে পারবে না এখানে কেউ ছয় মারতে পারে না, কেউ চার মারতে পারে না। বা কোয়ালিটি নেই। যারা ন্যাশনাল টিমে আসে, তাদের কোয়ালিটি অবশ্যই শতভাগ করে তারপর বাংলাদেশ টিম খেলতে আসে। আমার কাছে মনে হয় সবারই কোয়ালিটি আছে পাওয়ার হিটিং করার। সবারই কোয়ালিটি আছে চার-ছক্কা মারার। আমি মনে করি যে এটা আমাদের প্লানিংয়ের বিষয়, কোন বোলারটা পিক করব, কোন প্লেয়ারটাকে আমরা সিঙ্গেলস রোটেশন করব। কোন সময় মারা উচিত, কোন সময় মারা উচিত না।’
এনামুল হক বিজয় জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেললেও ঘরোয়া আসর বিপিএলে খেলছেন শুরু থেকেই। নিজের এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘আমি বেশ অনেক দিন থেকেই টি-টোয়েন্টি বিপিএল খেলেছি। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছি, আমরা যে রকম ট্যালেন্টেড প্লেয়ার, যেভাবে পরিশ্রমী প্লেয়ার, এখানে আমার কাছ মনে হয় প্লানিংটা জরুরি পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়েও। এটা আমাদের প্লানিংয়ের বিষয় কোন বোলারটা পিক করব, কোন প্লেয়ারটাকে আমরা সিঙ্গেলস রোটেশন করব। কোন সময় মারা উচিত, কোন সময় মারা উচিত না।
তিনি বলেন, ‘উপর থেকে প্রতিটি ব্যাটসম্যানকে ধরেন, আটটা/দশটা ব্যাটসম্যান থাকে দলে। সবাই দেখেন কম-বেশি মারতে পারে। আমার মনে হয় সবাইকে নিজস্ব সময় দেওয়া উচিত ১০ বল, পাঁচ বল, তিন বল , চার বল, তারপর এক্সিকিউশন করলে আমার মনে হয় প্রতিটি প্লেয়ারেই ক্ষমতা আছে চার-ছয় মারার।’
খেলোয়াড়দের হতাশ হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটারদের কাছে মনে হয় হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অনুশীলনের মাধ্যমে এটা অবশ্যই ইম্প্রুভ করা সম্ভব। এই কোচের আন্ডারে, সাকিব ভাইয়ের আন্ডারে যথেষ্ট ইম্প্রুভ করব পাওয়ার হিটিংয়ে।এটা কন্টিনিউ প্রসেসের বিষয়। একদিনে হয়ে যাবে না। অবশ্যই তিন মাসে হবে, ছয় মাসে হবে। আমাদের প্রতিটি প্লেয়ার যারা আছে তারা অবশ্যই চেষ্টা করবে ইম্প্রুভ করার।
নিজের কথা উল্লেখ করে এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি। আসলে অবশ্যই ছয় মারতে খুবই ভালো লাগে। সেটাই এক্সিকিউশন কোন সময় করব। কতটা টিমের জন্য উপকার হবে।’
এমপি/এসএন