বিপিএল নিয়ে হতাশ সাকিব
বিসিবির পক্ষ থেকে সব সময় বেশ জোর গলায় বলা হয়ে থাকে আইপিএলের পরই বিপিএল। কিন্তু সেই বিপিএল নিয়ে রীতিমতো হতাশ সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশে ঘরোয়া আসরে একমাত্র বিপিএল আয়োজন নিয়ে বিসিবির সর্বস্তর থেকে যে রকম ঝাঁপিয়ে পড়া হয়, ঘরোয়া আর কোনো আসর নিয়ে এ রকম ডামাডোল হয় না।
সবচেয়ে বেশি অবহেলিত বলা যায় ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। কিন্তু সেখানেই সবচেয়ে বেশি জমজমাট লড়াই হয়। আর ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থানও বেশ মজবুত।
বিপিএল বিসিবির আচে সুদূর প্রসারী চিন্তা-ভাবনা। আগামী তিন বছরের সূচি তারা করে ফেলেছেন। কিন্তু তারপরও আগামী আয়োজন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে আরও দুইটি ফাঞ্চাইজি আসরের কারণে। একই সময় এই দুইটি আসরও অনুষ্ঠিত হবে।
বিপিএলের এখন পর্যন্ত আসর হয়েছে আটটি। কিন্তু জাতীয় দলে নিজেদের ধরে রাখার মতো ক্রিকেটার সাকিবের কথাকে সত্য প্রমাণ করে দিয়েই ‘নেই’। বিপিএলে ভালো করে অনেকেই এসেছেন ।কিন্তু তারা আসন পাকাপোক্ত করতে পারেননি। সর্বশেষ দৃষ্টান্ত মুনিম শহরিয়ার। সাকিব বলেছেন দুইজন ক্রিকেটার শেখ মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কথা। এর বাইরে আছেন আফিফ হোসেন ধ্রবও। সাকিবের হতাশাটা সেখানেই।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে বিপিএল থেকে এটলিস্ট প্র্রতি বছর দুটো করে প্লেয়ার আসবে। আমার দেখা মতে সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী ছাড়া তেমন কাউকে দেখিনি বিপিএল থেকে এসেছে। এটা একটা হতাশার জায়গা। ৮/৯টা বিপিএল হয়েছে। প্রতি বছর দুজন করে আসলেতো অনেক। সাত আটটা কিংবা দশটা প্লেয়ার তো সবসময় থাকেই।’
নতুনরা জায়গহা করে নিতে না পারা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন আমাদের তো আর কোনো অপশন ছিল না এগুলো বাইরে থেকে কিছু একটা করার। কারণ বিপিএল একমাত্র ঘরোয়া টুর্নামেন্ট, যেখানে আমরা দেখতে পারি টি-টোয়েন্টিতে কী রিসোর্স আছে। ওখানে যারা পারফরমার, এর বাইরে কেউ নেই। মানে আপনি যদি নাম বলতে চান, একটা-দুটো বলেন। সত্যি কথা, আমি অন্তত খুঁজে পাই না। এর বাইরে ওরকম কোনো পারফরমার ছিল।’
এখন যা আছে তা দিয়েই টি-টোয়েন্টির বৈতরণি পার হতে হবে সাকিবকে। এখানে পূঁজি হবে তার অভিজ্ঞতা। কিন্তু তিনি এসেই বদলে দেবেন এমনটি আবার মনে করেন না এই নাম্বার ওয়ান।
সাকিব বলেন, ‘আমি এসেই কিছু বদলে দেব, আমার মনে হয় না এটা একটা ঠিক চিন্তা। একটা সংস্থা যখন একজনকে দায়িত্ব দেয়, তার নির্দিষ্ট কিছু কাজ থাকে। সেই কাজগুলো করার চেষ্টা থাকবে। এটা না যে পরিবর্তন করতে হবে। এখানে যা আছে আমার মনে হয় না পরিবর্তন করতে হবে। এগুলোকেই কিভাবে ভালোভাবে ব্যবহার করে ভালো রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট পেতে পারি, সেটাই আমার চিন্তাা।’
সাকিবকে অধিনায়ক করা হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট পর্যন্ত। তার ভাবনাও সেই পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পন্তই আমার পরিকল্পনা। এর পর কোনো পরিকল্পনা নেই।’
এমপি/এমএমএ/