সুপার ফোরে খেলা উচিত!
এশিয়া কাপের শেষ চার আসরের তিনবারই বাংলাদেশ খেলছে ফাইনালে। কিন্তু একবারও জিততে পারেনি শিরোপা। যার দুইটি ছিল ওয়ানডে আসর, একটি টি-টোয়েন্টি।
২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি আসর। ফাইনালে ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। হেরেছিল ৮ উইকেটে।
এক সময় এশিয়া কাপ ওয়ানডে ফরম্যাটে হলেও ২০১৬ সাল থেকে সেখানে পরিবর্তন আসে। আইসিসির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল রেখে এশিয়া কাপের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে ২০১৬ সালের আসরে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা ছিল অনেক বড় সাফল্য।
এরপর এবার আবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যােেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ তাই বর্তমান রানার্সআপ। আবার ২০১৮ সালে যে ওয়ানডে ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ আসর, সেই আসরেও বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছিল। হেরেছিল ভারতের কাছে।
বর্তমান রানার্সআপ হিসেবে এবার কিন্তু বাংলাদেশ ভালো কিছু আশা করছে না। নতুন অধিনায়ক সাকিব দুই দিন আগে একটি প্রতিষ্ঠারে পণ্যের দুত হওয়া অনুষ্ঠানে এশিয়া কাপ নিয়ে জানিয়েছিলেন তার তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই। এর কারণ বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের খুবই দুর্দশা চলছে। তাই বর্তমান রানার্সআপ হওয়ার পরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার টার্গেট ঠিক করা অনেক দূরের কথা, ফাইনালে খেলার আশাও করছে না।
সোমবার (২২ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সুপার ফোরে খেলা উচিত বলে মত প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সুপার ফোরে খেলা উচিত। আমরা প্রতিবারই ব টার্গেট নিয়ে যাই। প্রতিবারই তা এচিভ করতে পারি না। তখন আপনারাই বলা শুরু করেন বড় বড় কথা বলে গেলাম, কাজটা করতে পারলাম না। আমাদের টার্গেট, আমাদের প্লান আমাদের কাছেই থাক।
‘আমরা আমাদের ড্রেসিং রুমে জানি আমরা কি করতে চাই। আমরা সেভাবেই আমাদের কাজগুলো করব। আমার মনে হয় না ওগুলো খুব বেশি একটা আলোচনা করার দরকার আছে,’ যোগ করেন তিনি।
এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরে আবার টানা হারের মাঝে আসলে উন্নতি বঝায় না বলে মনে করেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘টার্গেট আসলে উন্নরিত করা। এশিয়া কাপে ফাইনালে খেললেন, চ্যাম্পিয়নও হলেন। ওয়ার্ল্ড কাপে গিয়ে ভালো করনে না। খুব একটা যে উন্নতি করলাম সেটা কিন্তু না। আমরা এখন থেকে যদি উন্নতির একটা ধারা রাখতে পারি। আপনি হয়তো দেখবেন যে ২০২৪ সালের বিশ্বকাপে আমরা অন্যতম সেরা দল। ২০২৬ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ যখন হবে, তখনো আমরা ভালো একটা দল হিসেবে থাকব, টপ ফোরে যাওয়ার মতো। ওটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘এ ছাড়া এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলাম। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সব ম্যাচ হেরে গেলোম। ওয়ার্ল্ড কাপে সব ম্যাচ হেরে গেলাম আবার একটা সিরিজ জিতে গেলাম। ওরকম হওয়ার চেয়ে এ রকম হওয়া অনেক ভালো। ভারত ২০০৭ সালের পর আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। কিন্তু প্রতিবারই তারা ফেভারিটের তালিকায় থাকে। এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।’
এমপি/এমএমএ/