বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ‘এ’ দলের সিরিজের ফয়সালা ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া
বাংলাদেশ-উইন্ডিজ ‘এ’ দলের সিরিজ ফয়সালা ম্যাচে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। তাই হয়নি ফয়সালা। তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে গেছে ১-১ সমতা। চার দিনের দুই ম্যাচেও একইভাবে বৃষ্টির কারণে ড্র হয়েছিল। শনিবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে উইন্ডিজ ৯ উইকেটে ২৩৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ১৫.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৬১ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হলে পরে আর খেলা হয়নি।
ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও সৌম্য সরকারে জন্য আফসোস হয়ে থেকে গেছে। কারণ দীর্ঘ রান খরা কাটিয়ে তিনি এই ম্যাচে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ৪২ বল খেলে ম্যাচ থেমে যাওয়ার আগে তিনি ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল চারটি।
সৌম্যর এই ফেরা ছিল দলের ক্রান্তিকালে। যথারীতি বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বিপর্যয় দিয়ে। দলীয় ৭ রানেই ফিরে যান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ নাঈম শেখ (৩) ও ওয়ান ডাউনে নামা সাইফ হাসান (২)। এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে পেয়ে সৌম্য সরকার দলের বিপর্যয় রোধ করার চেষ্টা করেন। জুটিতে ১২.৩ ওভারে ৫১ রান যোগ করে কিছুটা স্বস্তিও এনে দেন তারা। এ সময় মিঠুন ২০ রান করে ফিরে যান। শাহাদাত এসে সৌম্যর সঙ্গে জুটি বাঁধার পর খেলা আর বেশি দূর এগোতে পারেনি। উইন্ডিজের শেরমন লুইস ১৬ রানে দুইটি ও সামার স্প্রিঙ্গার এক রানে নেন একটি উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ভালোই সূচনা করেছিল। কিন্তু সেই সূচনা তারা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা দারুণভাবে খেলায় ফিরে এলে। একপর্যায়ে তাদের রান দুই উইকেটে ছিল ১৫৪। সেখান থেকে তারা পরে হারায় আরও সাত উইকেট। রান যোগ করে ৮৪। রেজাউর রহমান রাজা ৫০ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী দুই উইকেট নিতে খরচ করেন ৪৩ রান। একটি করে উইকটে নেন রকিবুল হাসান ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
উদ্বোধনী জুটিতে টেগেনারায়ন ও অধিনায়ক জসুয়া ডি সিলভা ১৪.৪ ওভারে ৬৭ রান এনে দেন। জসুয়া ২৩ রান করে রেজাউর রহমান রাজার বলে ফিরে যাওয়ার পর টেগেনারায়নও ফিরে যান ৪৩ রান করে রকিবুলের বলে। এরপর টেডি বিশপ ও জাস্টিন গ্রেভেস জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় বাংলাদেশের বোলাররও দারুণ বোলিং করতে থাকেন। উইকেট না পেলেও তারা রান আটকে রাখেন। যে কারণে জুটিতে ৭৪ রান এলেও ওভার ব্যবহার হয়েছিল ১৬.৫টি। বিশপ ৬০ রান করে ফিরে যান রেজাউরের বলে। জাস্টিনকেও আউট করেন রেজাউর। এই দুইজনের মাঝে তিনি আউট করেন এলিক আথানেজকেও। তার কারণেই স্বাগতিকদের রান ২ উইকেটে ১৫৪ থেকে পরিণত হয় ৬ উইকেটে ১৯৫। পরে সামার স্প্রিঙ্গার ছাড়া আর কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। সামার করেন ২৩ রান।
এমপি/এসএন