দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা গর্বের: সাকিব
২২ গজের সাকিবকে নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। সেখানে তিনি রাজা। যত বিতর্ক মাঠের বাইরে। তেমনি সাকিবের কথার সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুব কমই পাওয়া যায় । বাংলাদেশের হয়ে খেলে তিনি সাকিব হয়ে উঠেছেন। পেয়েছেন বিশ্বব্যাপী পরিচিতি।
আবার সেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে তিনি যখন-তখন অনিহা প্রকাশ করেন। কখনো আইপিএলে খেলতে যাওয়ার কারণে, কখনো কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডর হওয়ার জন্য। এ রকম উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে।
এইতো উইন্ডিজ সফরে তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও ওয়ানডে সিরিজ খেলেননি। একইভাবে তিনি জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সেই সাকিব সব সময় বলেন দেশের হয়ে খেলা গর্বের। সেই কথা তিনি আজ আবার বলছেন এক প্রতিষ্ঠানের পণ্যের দূত হওয়া অনুষ্ঠানে।
তিনি বলেন, ‘দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সব সময়ই গর্বের বিষয় ।’
জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তার গোপন করার কারণে আইসিসি সাকিবকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলে সাকিব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিনি আবার ফিরে এলেও নেতৃত্ব আর ফিরে পাননি। তবে সম্প্রতি তিনি টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন। এখন পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব। নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাই আমি খুবই আনন্দিত, এক্সাইটেড এবং নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেকে প্রস্তুত মনে করি ।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ পিছিয়ে স্বীকার করে সাকিব বলেন, ‘দেখুন এমন একটা সংস্করণ যেখানে আমরা বোধহয় প্রথম খেলি ২০০৬ সালে৷ এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খুব বেশি একটা ভালো ফল নেই, শুধু এশিয়া কাপে ফাইনাল বাদে। সে জায়গা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি এই সংস্করণে। তাই আমাদের নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই। আর একটা বাচ্চা যখন চলা শুরু করে তার স্টেপগুলো খুব কঠিন হয়, আস্তে আস্তে জিনিসগুলো সহজ হতে থাকে। আশা করি ছোট একটা বাচ্চার মতো আমরা স্টেপ বাই স্টেপ চলা শুরু করতে পারব এবং আস্তে আস্তে দৌড়ানোর জায়গাতে পৌঁছাতে পারব।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভগ্ন দশা কাটাতে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মিশন শুরু হবে এশিয়া কাপ দিয়ে। আপতত তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না খুব বেশি কিছু এক্সপেক্ট করার আছে এখানে। যেহেতু সে (শ্রীরাম) অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে ৫ বছর ছিলেন, আর আমাদের বিশ্বকাপটাও অস্ট্রেলিয়াতে। তার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে আসবে। এই টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে কতটুকু আসবে বলাটা মুশকিল। খুবই সল্প সময়। কিন্তু আমি যেটা বললাম যে এখানে আমাদের সবার একটা দায়িত্ববোধ আছে যার যার জায়গা থেকে, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ, বিসিবি, মানুষ, আপনারা সবাই যদি একসাথে কাজ করতে পারি। তাহলে আমার কাছে মনে হয় যে একটা পথযাত্রা শুরু হবে।’
এমপি/এমএমএ/