পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করবেন জেমি সিডন্স
সামনেই টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ। এরপর নিউ জিল্যান্ডে তিন জাতির একটি টি-টোয়েন্টি আসর খেলে অস্ট্রেলিয়া যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে। কিন্তু এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই বাজে। হারের বৃত্তেই বন্দী। জয় আসে মাঝে মাঝে ঝড়ের মধ্যে কুড়িয়ে পাওয়া আমের মতো। এই না পারার অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত রান করতে না পারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম আদর্শ পাওয়ার হিটিং। এই পাওয়ার হিটিং নেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে। শারীরিক গড়ন এর অন্যতম কারণ। শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে মেরেও দেখা গেছে বল সীমনা পার করা যাচ্ছে না! এই সমস্যা সমাধানে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ আনার কথা ভাবছিল বিসিবি। কিন্তু ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের পরামর্শে বিসিবি আর সেই পথে এগোয়নি। তার কাছেই ন্যস্ত করা হয়েছে এই দায়িত্ব।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) মিরপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ নিয়ে বলেন, ‘যেহেতু এশিয়া কাপে দল যাচ্ছে। যাওয়ার আগে জেমি ইতোমধ্যেই চলে এসেছে, ওর সঙ্গে বসেছিলাম। শুনলাম এখানে প্র্যাক্টিস হচ্ছে, কয়েকজন করছে। কী করছে, না করছে, পাওয়ার হিটিংয়ের উপর কাজ করছে, এসব নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা চিন্তা করছিলাম পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য বাইরে থেকে বিশেষ কাউকে নিয়ে আসব। এখানে পাওয়ার হিটিংয়ের কোনো বিকল্প নাই। ১৩০-১৪০ রান করে হয়তো একটা জিতে যাব একদিন, কিন্তু এটা আমাদের হতে পারে না। আমাদের ১৮০-১৯০, ২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রেখেই আমাদের খেলতে হবে। আমাদের যে প্ল্যান এখন চলছে এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। খেলার মধ্যেও দেখি না। সেজন্য কী করা যায় এটা নিয়ে আলাপ করছিলাম। তখন জেমি এসে বলল ও নাকি এটাতে খুব আগ্রহী।’
জেমি সিডন্সকে এই দায়িত্ব দেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘কদিন আগে জিমি আমার বাসায় এসেছিল। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই তবে টি-টোয়েন্টির ভাবনাটা পরিবর্তন করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই। ১৩০ করে হয়তো একটা ম্যাচ জিততে পারবেন। এটা তো হতে পারে না। আমাদের ১৮০-২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে। এখন আমাদের যে পরিকল্পনা সেটা করার কোনো লক্ষণই দেখছি না। এটাকে নতুন করে কী করা যায় এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে না পারার কারণ হিসেবে বিসিবি সভাপতি পাওয়ার হিটিংয়ের অভাবের পাশাপাশি মাইন্ড সেটেরও সমস্যা দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘মূল সমস্যা আমরা যেটা দেখি টি-টোয়েন্টিতে প্লেয়ার ঠিক আছে, প্লেয়ার যে আমাদের নেই, তা না। সমস্যাটা হচ্ছে মাইন্ড সেট চেঞ্জ করতে হবে। মাইন্ড সেটে পুরো বদল আনতে হবে। টি-টোয়েন্টি অ্যাপ্রোচটা আলাদা থাকতে হবে যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই।।’
এমপি/এসজি/