ওপেনার ছিলেন মুশফিক!
মুশফিকুর রহিমকে যারা চিনেন, তারা জানেন তিনি একজন স্বীকৃত উইকেট কিপার কাম মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু তিনি যে ওপেনার ছিলেন এই কথা কজন জানেন বা জানতেন?
বুধবার (১৭ আগস্ট) সেই অজানা তথ্যটিই দিলের মুশফিক-সাকিবের গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম। আজ মিরপুরে সাকিব-মুশফিকের অনুশীলন দেখতে আসা নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘ও (মুশফিক ) যখন খেলা শুরু করেছিল, বিকেএসপিতে ওপেনার হয়েই এসেছে এটা আমি জানি ব্যক্তিগতভাবে। পরে ক্যারিয়ারের কারণে ও মিডল অর্ডারে চলে এসেছে। অবশ্যই ও মিডল অর্ডারের একজন ব্যাটার, ওপেন করাটা সবসময় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমি জানি না ও নিজেকে কতটা প্রস্তুতি করতে পারবে। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। যদি দরকার হয় মুশফিক ও অন্যরাও আছে।’
ক্যারিয়ারে মুশফিক একবারই ওপেন করেছিলেন। ২০১৯ সালে মিরপরে তিন জাতির আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। রান করেছিলেন পাঁচ। আসরের অপরদল ছিল জিম্বাবুয়ে।
মুশফিককে হঠাৎ ওপেনিং করা নিয়ে কথা উঠেছে এশিয়া কাপকে সামনে রেখে। এই তথ্য প্রথম প্রকাশ করেন দলের টিম ডিরেকক্টর খালেদ মাহমুদ।দলে মাত্র দুই জন ওপেনার। যদি প্রযোজন হয়, কিংবা এরা ব্যর্থ হন, সে ক্ষেত্রে বিকল্প কে হবে-এই ভাবনা থেকেই মুশফিকের নাম বেশ জোরেসুরেই সামনে চলে আসে। সাকিবের নামও আসে।কিন্তু এগিয়ে যেন মুশফিকই।
আজ মিরপুরে বেশ কিছু সময় পাওয়ার হিটিংয়ের অনুশীলন করেছেন। তার পাওয়ার হিটিং নিয়ে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমার মনে হয় মুশফিকের ক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী। আশা করেছিলাম জিম্বাবুয়েতে পাওয়ার হিটিংয়ের সুযোগ নেবে। নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেছিল। এমন একটা জায়গায় ছিল পাওয়ার পাওয়ার হিটিং করতে পারতো। কেন সুযোগটা নেয়নি আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় ও নিজেও আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে পাওয়ার হিটিংটা কী।
আজকেও দেখলাম কিছু ভালো শট খেলেছে। আমি নিশ্চিত সামনে আর দু চারদিন অনুশীলন করলে আরও বেশি আয়ত্বে আসবে। ও হয়তো আরও এফেক্টভলি ওভার দ্য টপ খেলতে পারবে। টি-টোয়েন্টিতে চার ছক্কা মারার যে ব্যাপার, সেটা সফল হবে।’
মুশফিবের ইনিংস ওপেন করা নিয়ে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আসলেই করবে কি না জানি না। কারণ দুজন স্বীকৃত ওপেনার আছে আমাদের দলে। আলোচনাটা যদি মুশফিককে নিয়ে বেশি করি, ওই দুজন খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। আমার মনে হয় দুজনকেই ব্যাক করা উচিত, যেন ওরা ভালো করতে পারে। সেটা পারলে সেরা হবে। যদি ওদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ বা অসুস্থ হয় তাহলে হয়তো মেক শিফট অপশনের ব্যাপার আসবে। সেখানে বোধ হয় অনেক অপশন আছে আমাদের হাতে যারা নরমালি নিচে খেলে কিন্তু প্রয়োজনে ওপেন করেছে। মুশফিকও হতে পারে।
মিরপুরে আসার মুশফিক-সাকিবের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে জানতে চাওয়া হলে নাজমুল আবেদীন ফাহিমত বলেন, ‘ বিশেষ কিছু না। ওরা ব্যাট করছে। ওদের কোচের সঙ্গে ওরা কাজ করছে। সামনে একটা বড় টুর্নামেন্ট আছে। সেটার প্রস্তুতি চলছে। এমনিতেই ডাকা। যেহেতু এখানে আছি, তাই এসে দেখা করা। বিশেষ কিছু না। ওদের সঙ্গে আমি আগেও কাজ করেছি। কাজ নিয়ে যে খুব একটা আলাপ হয়েছে তেমন না, অন্য বিষয়ে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো কথাবার্তা তো হয়ই। দেখতে পাচ্ছিলাম যে ভালো বল হিট করছিল। সেটা নিয়েই একটু আলাপ হচ্ছিল। খুব বিশেষ কিছু না। যেহেতু ওদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা একটু ভিন্ন ধরনের। এগুলো নিয়ে সবসময় আলাপ হয়। ভালো করলে সেটা বলা যে ভালো হচ্ছে, ভালো না করলে কোন জায়গায় একটু ভালো করার সুযোগ আছে, এটা নিয়ে আলাপ করা। যেহেতু ওদের ইন্টিলেন্সটা আমি জানি। কোথায় একটু পরিবর্তন হয়েছে, মনে করিয়ে দেওয়া।’
এমপি/এমএমএ/