মেয়েদের প্রথম এফটিপিতেই বাংলাদেশের ফিফটি
বাংলাদেশের নারী দল টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো আইসিসিরি এফটিপিতে ডুকেছে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত আইসিসি যে এফটিপি প্রকাশ করেছে, সেখানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলে মোট ৫০টি ম্যাচ খেলবে।
আইসিসিরি এই সূচিতে ১০টে দেশকে রাখা হয়েছে। প্রতিটি দলই চারটি করে হোম এন্ড অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে।
এ সময় মোট খেলা হবে ৩০১টি। যেখানে টেস্ট আছে সাতটি। ওয়ানডে ১৩৫টি ও টি-টোয়েন্টি ১৫৯টি। সাতটি টেস্ট খেলবে আবার মাত্র চারটি দেশ। ইংল্যান্ড খেলবে পাঁচটি। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া চারটি, দক্ষিণ আফ্রিকা তিনটি ও ভারত দুইটি টেস্ট খেলবে। বাংলাদেশ খেলবে ২৪টি ওয়ানডে ও ২৬টি টি-টোয়েন্টিট ম্যাচ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ছাড়া বাংলাদেশ প্রতিটি সিরিজেই তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ অর্ন্তভুক্ত। ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো হবে ২০২৫ সালের মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের অংশ। স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে আরও পাঁচ দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে বকি চার দল অন্য চার দলের বিপক্ষে খেলবে শেষ দুইটি স্থানের জন্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে বিবেচনা করা হবে।
বাংলাদেশের নতুন এফটিপি শুরু হবে ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ড সফর দিয়ে। খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ২০২৩ সালে নতুন বছরের শুরুতেই জানুয়ারি মাসে যাবে শ্রীলঙ্কা সফরে। সেখানেও আছে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
দেশের বাইরে দুইটি সিরিজ খেলে আসার পর বাংলাদেশের মেয়েরা ঘরের মাঠে পরপর দুইটি সিরিজ খেলবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। জুন-জুলাই মাসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আসবে ভারত। সমান সংখ্যাক ম্যাচ খেলতে অক্টোবরে আসবে পাকিস্তান।
ঘরের মাঠে পরপর দুইটি সিরিজ খেলার পর বাংলাদেশে আবার উড়াল দেবে। এবার ডিসেম্বরে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ খেলবে ঘরের মাঠে। মার্চে আতিথিয়েতা দিবে অস্ট্রেলিয়াকে। বছরের শেষের দিকে ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে খেলবে আয়ারল্যন্ডের বিপক্ষে। সিরিজে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ থাকলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে তিনটির পরিবর্তে পাঁচটি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে উইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশের এফটিপি।
এমপি/এমএমএ/