এশিয়া কাপে সাকিব-মুশফিক ওপেনার!
জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে পাঁচজন ওপেনার ছিলেন। তারা ছিলেন মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়,পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
কিন্তু মিডল অর্ডারে আবার ছিল বিশাল গ্যাপ। যে কারণে নুরুল হাসান সোহান ইনজুরিতে পড়লে তার বিকল্প দলে ছিল না। ফলে ওয়ানেড দলের সঙ্গে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ‘হায়ার’ করা হয়েছিল। এবার এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসরে মিডল অর্ডারে আবার রাখা হয়নি কোনো ঘাটতি। কিন্তু স্বীকৃত ওপেনার রাখা হয়েছে মাত্র দুইজন এনামুল হক বিজয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। তবে এখানে সাকিব আল হাসান, এমন কি মুশফিকুর রহিমকেও ওপেনার হিসেবে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছে টিম ডিরেক্টর ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বীকৃত ওপেনার বিজয় ও ইমন। তবে অন্য অনেকেই আছে যারা লোকাল ক্রিকেটে ওপেনিং করেছে। মুশফিক হতে পারে, সাকিবও হতে পারে। মিরাজও হতে পারে। শেখ মেহেদীও ওপেনার হতে পারে। অনেক গুলো অপশন আছে আমাদের হাতে।’
সাকিব এখন পর্যন্ত ৯৯টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ওপেন করেছেন একটি মাত্র ম্যাচে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে তিনি মাত্র ৯ রান করে আউট হয়েছিলেন। এ ছাড়া মুশফিক এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচে ওপেন করেননি। শেখ মেহেদিও একটি ম্যাচে ইনিংসের উদ্বোধন করেছিলেন। ২০২১ সালে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি ১৩ রান করেছিলেন। পারভেজ হোসেন ইমনের অভিষেক হয়েছে জিম্বাবুয়ে সফরে শেষ ম্যাচে। বাকি থাকল এনামুল হক বিজয়। এই ফরম্যাটে তিনি আগে কখনো ভালো করতে পারেননি। এবার ফিরে এসেও একই অবস্থা। ফিরে আসার পর তিনি ওপেন করেছেন তিন ম্যাচে রান করেছেন ১৬, ৩ ও ১০। এই হলো বাংলাদেশের ভঙ্গুর ওপেনিং।
খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ভালো করছি না বলেই চেষ্টা করছি যে কীভাবে ভালো করা যায়। সাকিব ফিরেছে-এটা খুবই ইতিবাচক দিক। সবাই একবাক্যে স্বীকার করব যে, এই ফরম্যাটে সাকিব সবচেয়ে অভিজ্ঞ। এই ফরম্যাটে সে বিশ্বব্যাপী অনেক ক্রিকেট খেলে।’
এমপি/এমএমএ/