টেস্ট ম্যাচের ‘ধৈর্য’ দেখেছেন মিঠুন
সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসান ১৪৬ রান করেছেন ৩৪৮ বল খেলে। উইকেটে ছিলেন ৪৯৪ মিনিট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান জাকের আলীর ৩৩। তিনি বল খেলেছেন ৮৬টি। উইকেটে সময় কাটিয়েছিলে ১৩৫ মিনিট। সাদমাস ইসলাম ২৫ রান করতে ১১৮বল খেলে ১৫৮ মিনিট পান করে দেন। এমন কী ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও ১৭ রান করতে ৪১ বল খেলে সময় নেন ৫৫ মিনিট। বল হাতে পেসার মৃত্যুঞ্জয় আর স্পিনার নাঈম হাসান প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগিয়েছেন। নাঈম ৪২.১ ওভারে মাত্র ৬৯ রান দিয়ে উইকেচ নিয়েছেন তিনটি।
মৃত্যুঞ্জয় ১৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। আরেক স্পিনার তানভীর ইসলামও নজর কেড়েছেন। ২৯ ওভারে রান দেন মাত্র ৫২। ইকোনমি ছিল ১.৭৯। শুধু পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ উইকেটও পাননি, রানও চেক দিতে পারেননি। কিন্তু প্রথম চার দিনের ম্যাচে আবার তিনি ৭২ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছিলেন দুইটি। সেই ম্যাচে দলের ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন করেছিলেন ৫০ রান।
এই ছিল সংক্ষিপ্তকারে উইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দুইটি চার দিনের ম্যাচে খেলোয়াড়দের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স। দুইটি ম্যাচই বৃষ্টির কারণে প্রচণ্ডভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে ফলাফল হয়নি। কিন্তু শিক্ষনীয় এই সফরে দুইটি ম্যাচ থেকে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন খেলোয়াড়দের মাঝে টেস্ট খেলার ‘ধৈর্য্য ’ দেখেছেন। আজ দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ শেষে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচে যে ধৈর্য দরকার, আমি ওদের মধ্যে সে ধৈর্য্যটা দখেছি। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় খুব ইম্প্রেসিভ। ওর বোলিং খুব ভালো লেগেছে। যতক্ষণ বোলিং করেছে, খুবই এফোর্ড দিয়ে বল করেছে। খালেদ চেষ্টা করেছে। ও হয়তোবা আরেকটু ভালো করতে পারত। কিন্তু সব মিলিয়ে ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে আমি খুশি।’
এই সফরে বাংলদেশ গিয়েছিল সিরিজ জিততে। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে একদম নতুন এক কন্ডিশন। এখানে সবকিছুই আমাদের বিপক্ষে ছিল। বাংলাদেশ থেকে আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম, অবশ্যই আমাদের জেতার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু পরিবেশটা ওরকম ছিল না। তারপরও সব মিলিয়ে আমি বলব আমরা যে লক্ষ্য নিয়েছি, পুরোপুরি পূরণ না হলে আমি খুব খুশি।’
রেজাল্ট না হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল বৃষ্টি। প্রথম ম্যাচে দুইদিনতো খেলাই হতে পারেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে কিছুটা বেশি খেলা হয়েছে। কিন্তু খেলা হলে কি রেজাল্ট হওয়া সম্ভব ছিল। অন্তত উইকেট কি সে রকম ছিল। দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে উইকেটের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে রেজাল্টা হওয়া, না হওয়া। বৃষ্টিতে যদিও ফুল খেলা হয়নি। খেলা হলে ড্রয়ের দিকেই যেত। যদি চারদিন পুরো খেলা হতো’ তাহলে উইকটে একটু ডিফারেন্ট হতে পারত। যেহেতু উইকেটের উপর খুব প্রেসার পড়েনি। উইকেটও ফ্রেশ ছিল। আমরা এক ইনিংস ব্যাটিং করেছি। ওরা এক ইনিংস ব্যাটিং করেছে। সে জন্য উইকেট থেকে খুব সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
আজ বাংলাদেশ দল শুধু বোলিংই করেছে। শেষ দিনের খেলা নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় সবমিলিয়ে আজকের দিনটা যেহেতু বোলিং ও ফিল্ডিং করেছি। ফিল্ডিং খুব ভালো হয়েছে। আমি ফিল্ডিংয়ে খুশি। সঙ্গে সঙ্গে বিশেষত স্পিনাররা। আমাদের দেশে তো স্পিনাররা সবসময় ভালো করে। আজকেও তারা খুবই দারুণ বল করেছে। উইকেটে স্পিনারদের জন্য খুব একটা সাহায্য ছিল না। তারপরও তারা যে ধৈর্য ধরে নির্দিষ্ট এক জায়গায় বল করেছে, সেটা তাদের ইকোনোমি দেখলেই বোঝা যায়। হয়তোবা স্কোরবোর্ড ওটা দেখা যাবে না তারা কত ভালো বল করেছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি তাদের বোলিংয়ে খুশি।’
এমপি/এমএমএ/