ওয়ানডেতে ভালো করে সাব্বির টি-টোয়েন্টি দলে!
দেশের ক্রিকেটের স্ট্রাকচার যে কতটা দুর্বল আর ঘুণে ধরা তার প্রমাণ সাব্বির রহমান রুম্মানের আবার টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা। পাইপ লাইনে কী পরিমাণ খেলোয়াড় ঘাটতি থাকলে কোনো রকম পারফরম্যান্স ছাড়াই জাতীয় দলে ফেরা যায় সাব্বির তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সাব্বির জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে। আর সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার আগে শেষ ছয় ইনিংসে তার রান ছিল ৩০, ৪,০,৪,০,১। ওয়ানডেতে শেষ ৬ ইনিংসে করেছিলেন ০, ০, ৩৬, ৬০, ১১, ৭। আর টি-টোয়েন্টি থেকে বাদ পড়ার আগে খেলেছিলেন ৭৭, ০, ১৩, ১৫, ২৪, ১ রানের ইনিংস।
আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও কাটেনি সেই দৈন্যদশা। বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ৬ ম্যাচে রান করেন মাত্র ১০৯। একসময় সেরা একাদশে জায়গাও হারান। এরপর ডিপিএলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে শুরুতে ভালো করতে না পারলেও শেষের দিকে কয়েকটি ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছিলেন। তার শেষ পাঁচটি ইনিংস ছিল ১২৫, ২৬, ৩৮, ৯০, ৩৬। এই রানই তাকে এশিয়া কাপের দলে বিবেচনা করতে নির্বাচকদের উদ্ভুদ্ধ করেছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
তিনি বলেন, ‘সাব্বির অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তার খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই দলে নেওয়া হয়েছে। আমরা টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সাব্বিরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিছু কিছু জায়গায় কিছু খেলোয়াড়কে এভাবে চিন্তা করতে হয়। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দেখতে হয়। যেহেতু এবার আমাদের ইনজুরির সংখ্যা বেশি সেদিক থেকে একজন বাড়তি মিডল অর্ডার ব্যাটার দরকার। আর সাব্বিরকে ‘এ’ দলের হয়ে উইন্ডিজে পাঠিয়েছি সেখানে খেলে সে আন্তর্জাতিক আবহ আরেকটু পাবে। সেটা সে জাতীয় দলে কাজে লাগাতে পারবে। সাব্বির ডিপিএলে খুব একটা খারাপ খেলেনি। এরপর তো সে নার্সিংয়ে আছে টাইগার্সে, এরপর ‘এ’ দলে। এই অভিজ্ঞতা তার জন্য বিরাট পাওয়া। এগুলো কাজে লাগিয়ে সে জাতীয় দলে অবশ্যই ভালো করবে।’
এনামুল হক বিজয় ডিপিএলে ভালো করে জাতীয় দলে ফিরেন এবং তিন ফরম্যাটেই। কিন্তু তিনি সুযোগ পান টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে। সেখানে চরমভাবে হন ব্যর্থ। কিন্তু ওয়ানডেতে আর খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। অবশেষে জিম্বাবুয়ে সফরে তিনি ওয়ানডে সিরিজে খেলার সুযাগ পেয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেন। সাব্বিরের ক্ষেত্রেও একই রকম অবস্থা হওয়ার শঙ্কা আছে। কারণ তিনি বিপিএলে রান পাননি। রান পেয়েছেন ৫০ ওভারের ডিপিএলে। তাও শেষ কয়েকটি ম্যাচে।
এ প্রসঙ্গে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘এ জায়গাটায় একটা প্রশ্ন আছে। কিন্তু আপনারা দেখছেন না যে ক্রিকেটারদের কয়েক জায়গায় দেখা হচ্ছে। যেহেতু এখন ঘরোয়া ক্রিকেট নেই আমরা ক্রিকেটারদের বিভিন্ন ক্যাম্পে দেখছি। ওখান থেকে বিবেচনা করেই দল তৈরি করা হচ্ছে।’
এমপি/এসজি/