২৫০ রানকে ২০০ মনে হয়েছে তামিমের
সবগুলো খেলাই হারারেতে। প্রথম দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল একই উইকেটে। শেষ ম্যাচ অন্য উইকেটে। তবে ধরন একই ‘ব্যাটিং বান্ধব’। এমন উইকেটে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ৩০৩ রান করেও লড়াই করতে পারেনি। হেরেছিল পাঁচ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচ ১৩ রান রান কম করেছিল উইকেট হারিয়েছিল ৯টি। এবারও লড়াই করতে পারেনি। হার সেই পাঁচ উইকেটেই। পরপর দুই হারে সিরিজ খোয়া যায়। শেষ ম্যাচ সান্ত্বনার। একই সঙ্গে বাংলাদেশের চারশতম ওয়াানডে ম্যাচ। একদিকে মান বাঁচাতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো, অন্য দিকে মাইলফলকের ম্যাচে জয়। এমন একটি ম্যাচে বাংলাদেশ যথারীতি টস হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রিত হয়ে করে ৯ উইকেটে মাত্র ২৫৬। উইকেটের বিবেচনায় এটি মাত্রই। তামিম ইকবালের কাছে মনে হয়েছে আরও কম ২০০। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ আমরা ৩০০ রান করেও ম্যাচ হেরেছিলাম। তাই আজকে ২৫০ (হবে ২৫৬) রান করার পর মনে হয়েছে ২০০ রান করেছি আমরা। কিন্তু আমাদের ভাগ্য ভালো ছিল যে কারণে আমরা দ্রুত পাঁচ উইকেট তুলে নিতে পেরেছিলাম। এটি আমাদের ম্যাচ জিততে অনেকত উপকারে এসেছে।
বাংলাদেশ আজ ২৫৬ রান করলেও এক সময় মনে হয়েছিল এই রানও করা সম্ভব হবে না। দলের ২৫৬ রান এসেছে মাত্র তিন জন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। আফিফের অপরাজিত ৮৫, এনামুল হক বিজয়ের ৭৬ ও মাহমুদউল্রাহর ৩৯ রান। দলীয় ৪২ ওভারে ২০৬ রানে মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল বাংলাদেশ ২৫০ রানও করতে পারবে না। কারণ বাকিরা সব টেল এন্ডার। তাইজুল-তাসকিন-মোস্তাফিজ-এবাদত সবাই এক বলের ব্যাটসম্যান। সে কথার যর্থাথতা হলো তাইজুল ছাড়া বাকি তিনজনের নামের পাশই কোনো রান নেই। এবাদত যদিও অপরাজিত ছিলেন। সেখানে ২৫৬ পর্যন্ত যাওয়ার মূল কারিগর ম্যাচে রাজা আফিফ। পরে যোগ হওয়া ৫০ রানের মাঝে মাত্র ৩৯ রানই ছিল আফিফের। এ সময় তিনি তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। আফিফের এ রকম ব্যাটিংয়ের ভুয়সি প্রশংসা করেছেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘এক সময় আমরা রান করতে পারছিলাম না, ভুগছিলাম। কিন্তু আফিফের ব্যাটিং দেখে তা মনে হয়নি। সে দারুণ ব্যাটিং করেছে। টাইমিং ছিল চোখে পড়ার মতো। দেখতে চমৎকার লেগেছে।’
আফিফের ব্যাটিং যদি হয় জ্বালানি, তাহলে এবাদতের বোলিং ছিল পথ প্রদশর্ক। অভিষেকেই বাজিমাত করেছেন নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক। ৮ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দুইটিই মহা মূলবান। একটি ওয়েসলি মাধেভেরের, অপরটি সিকান্দার রাজার। সিকান্দার রাজার উইকেটটিকে আলাদা করে রাখতেই হবে দুইটি কারনে।
এক. টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে অবিসংবাদিত রাজা। ব্যাটে-বলে বিশেষ করে ব্যাট হাতে একাই হারিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টিতে পরপর দুই ম্যাচ ফিফটি করার পর ওয়ানডেতে পরপর দুই ম্যাচেই অপরাজিত সেঞ্চুরি। সেই সিকান্দার রাজাকে প্রথম বলেই আউট করেন এবাদত।
দুই. এবাদত যেভাবে সিকান্দার রাজাকে আউট করেন তা ছিল দেখার মতোন। তার দুইটি স্ট্যাম্পই চুর্নবিচুর্ন করে দেন। এভাবে স্টাম্প উপড়ে ফেলে সচরাচর দেখা যায় না। এবাদতের বোলিং নিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই আমরা এবাদতকে ওয়ানডে দলের সঙ্গে নিয়ে ঘুরছি। কিন্তু তাকে খেলানো হয়নি। এটা অবাক করার মতো ছিল। আজ আমরা তাকে সুযোগ দিয়েছি। সে খেলেছে। ভালো বোলিং করেছে। তার প্রতিদান দিয়েছে।’
এমপি/এএস