মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শেষ ম্যাচে চেনা রূপে বাংলাদেশ

গত দুই ম্যাচে ৩০৩ ও ২৯০ রান করে যেখানে ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। হার মেনেছিল সহজেই। সেখানে ২৫৬ রান করে ম্যাচ জেতার কথা চিন্তাও করা যায় না। আগেই সিরিজ হারানো বাংলাদেশের সামনে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা।

কিন্তু এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার ২৫৬ রানেই নির্ভরতা খুঁজে পেয়েছে। দাপুটে জয়ে উড়তে থাকা জিম্বাবুয়েকে নামিয়ে এনেছে মাটিতে। সিরিজ হারিয়ে বিলম্বে হলেও বাংলাদেশ ফিরেছে চেনারূপে। যে চেনা রূপের সামনে পড়ে ছারখার হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের সামনে।

হার মেনেছে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ৯ উইকেটে ২৫৬ রানের জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়ের্ছে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে।

তাদের হারের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। কিন্তু শেষ উইকেট জুটিতে এনগারাভা ও নিউয়াচি জিম্বাবুয়ের হয়ে যে কোনো দেশের বিপক্ষে রেকর্ড ৬৮ রান করলে দলীয় শতরান অতিক্র করার পাশাপাশি হারের ব্যবধানও কমিয়ে আনে। এই জয়ে আগেই সিরিজ হারানো বাংলাদেশ ব্যবধান কমিয়ে আনল ২-১ এ। একই সঙ্গে ৪০০তম ম্যাচে জয়ও পেল বাংলদেশ।

মাইলফলকের একশ ও দুইশতম ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ। হেরেছিল তিনশতম ম্যাচে। কিন্তু চারশতম ম্যাচে কী হবে? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই দাঁড়াতেই না পারা বাংলাদেশ যখন আগে ব্যাট করে আফিফের অপরাজিত ৮৫, এনামুল হক বিজয়ের ৭৬ ও মাহমুদউল্লাহর ৩৯ রানে ভর করে ভাণ্ডারে মাত্র ২৫৬ রানের পূঁজি সংগ্রহ করেছিল, তখন ৪০০তম ম্যাচের ললাটে হারই লেখা হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু যে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের অন্য রকম চুড়ায় নিয়ে গেছে, সেই বাংলাদেশের বাজে সময় যেতেই পারে। তাই বলে সব সময়? এটা কী হতে পারে। এটা হওয়া মানে অবস্থানের পতন। কিন্তু বাংলাদেশ তা হতে দেয়নি। নিজেদের জাত চিনিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটে ব্যাটসম্যানদের সংগ্রহ ভালোই ছিল।

কিন্তু বোলাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তাই হারতে হয়েছিল অনায়েতে পাঁচ উইকেটে দুই ম্যাচেই। মান রক্ষার ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা আবার খুব একটা ভালো করতে পারেননি। কিন্তু বোলাররা নিজেদের ফিরে পেলে ২৫৬ রানই নির্ভরতা এনে দেয়।

প্রথম দুই ম্যাচকে কার্বন কপি বানিয়ে জিম্বাবুয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছিল। তৃতীয় ম্যাচও ছিল অনেকটা সে পথেই। টস জয় থেকে শুরু করে জিম্বাবুয়ে বোলিং বেছে নেওয়া। বাংলাদেশকে আরও কম ৯ উইকেটে ২৫৬ রানে আটকে রাখা। তারপর সেই রান তাড়া করতে নেমে যথারীতি জিম্বাবুয়ে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়। সাত রানে নেই দুই উইকেট। পরে ১৮ রানে নেই চার উইকেট।

যেখানে ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচে ‘রাজা’ হয়ে উঠা সিকান্দার রাজার উইকেটও। তিন ম্যাচে জিম্বাবুয়ের এটি ছিল সবচেয়ে নাজুক অবস্থা। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ৪৯ রানে হারিয়েছিল চার উইকেট। সেখান থেকে দলকে উতরে নিয়ে গিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা অপরাজিত ১১৭ রানের ইনিংস খেলে। সঙ্গে পেয়েছিলেন অধিনায়ক রেজিস চাকাভাকে (১০২)। এই ম্যাচে চাকাভা নেই। রাজাও আউট। কিন্তু থেকে গিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে সিকান্দার রাজার সঙ্গে হাল ধরে জোড়[ সেঞ্চুরির এক মালিক ইনোসেন্ট কাইয়া (১১০)। তার ছিল আজ আবার ত্রিশতম জন্মদিন।

আজ জিম্বাবুয়ের পরিস্থিতি একটু বেশি নাজুক হলেও টার্গেট ছিল কমই। তাই আরেকটি কার্বন কপির ম্যাচ হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না? কিন্তু তা আর আজ হয়নি। জয় পেতে মরিয়া বাংলাদেশ দলের সামনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরনা একে একে কাবু হতে থাকেন। ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়ের শতরান করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

কিন্তু সেখান থেকে তারা শেষ পর্যন্ত ১৫১ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে এনগারাভা ও নিয়াউচির দশম উইকেট জুটিতে যে কোনো দেশের বিপক্ষে রেকর্ড ৬৮ রান যোগ করলে। ৯.২ ওভার খেলে তারা এই রান যোগ করেন। এ সময় দুই জনে মিলে ৯টি চার ও দুইটি ছক্কা মারেন। নিয়াউচিকে (২৬) মোস্তাফিজ বোল্ড করে চতুর্থ শিকার করলে শেষ হয় তাদের প্রতিরোধ। এনগারাভা ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া ২৪ রান করেন অভিষিক্ত ক্লাইভ মাদেন্দে।

জিম্বাবুয়েকে কব্জা করতে এদিন তামিম ইকবাল তার বোলিং আক্রমণে বেশ পরিবর্তন এনেছিলেন। হাসান মাহমুদের সঙ্গে মিরাজকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। দুই জনেই নিজ নিজ প্রথম ওভারে দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে দেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই তামিম আক্রমণে নিয়ে আসেন অভিষিক্ত এবাদতকে। তিনি দ্বিতীয় ওভারেই আনেন জোড়া আঘাত। ফিরিয়ে দেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও এই ম্যাচর অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই রাজার দুইটি স্ট্যাম্পই ছত্রখান করে দেন এবাদত। যা ছিল দেখার মতোই। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতেই তামিম আক্রমণে নিয়ে আসেন তাইজুলকে। তিনিও প্রথম ওভারেই সাফল্যের মুখ দেখেন।তার শিকারটিও ছিল বেশ বড় ইনোসেন্ট কাইয়া। এরপর তিনি ফিরিয়ে দেন দ্বিতীয় ম্যাচে অভিষেকেই মারমুখি ব্যাটিং করা তানাকা মুনয়োঙ্গাকে।

এই ম্যাচে তামিম ইকবাল মোস্তাফিজকে আক্রমণে আনেন ১৩তম ওভারে। এখানেও তামিম পরিকল্পনা শতভাগ সফল হয়। মোস্তাফিজকে দিয়ে এক ওভার বোলিং করানোর পর বিশ্রাম দেন। আবার যখন একুশতম ওভারে আক্রমণে নিয়ে আসেন, তখন মোস্তাফিজ নিজেকে ফিরে পান পুরানো রূপে। শেষ চার উইকেটই তুলে নেন তিনি। এর মাঝে ছিল আবার জোড়া আঘাতও। এভাবেই রচিত হয় বাংলাদেশের মান বাঁচানো ও চারশতম মাইলফলকের ম্যাচে জয়। মোস্তাফিজ ১৭ রানে নেন চার উইকেট। দুইটি করে উইকেট নেন তাইজুল ৩৪ ও এবাদত ৩৮ রানে। মিরাজ ১৬ ও হাসান মাহমুদ ৩৮ রানে নেন একটি করে উইকেট। ৮১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন আফিফ হোসেন। সিরিজ সেরা হয়েছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতোই সিকান্দার রাজা।

এমপি/এমএমএ/

Header Ad

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে

এ আর রহমান এবং মোহিনী দে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের সংসারের ডিভোর্সের ঘোষণা করেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান। এ আর রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তার সহশিল্পী গিটার বাদক মোহিনী দেও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন।

এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে টেনে নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন ছড়ায় পরকীয়ার কারণে উভয়ের ডিভোর্স হয়। এই গুঞ্জন নিয়ে রহমান কোনও মন্তব্য না করলেও, তার আইনজীবী এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আর এবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে মোহিনী স্পষ্টই জানালেন, রহমান তার কাছে বাবার মতো।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মোহিনী। সঙ্গে লম্বা ক্যাপশন। মোহিনী জানান, ‘খুব অবাক লাগছে, চারিদিকে আমাকে আর রহমানকে নিয়ে যে ধরনের মিথ্যা খবর রটেছে। সংবাদমাধ্যমে পুরো বিষয়টাকে নিয়ে যেভাবে জলঘোলা করা হচ্ছে, তা সত্যি ক্রাইমের পর্যায় পরে।'

মোহিনীর কথায়, ‘আমার জীবনে পিতৃপ্রতিম অনেকেই রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রহমান। আট বছরেরও বেশি সময় তার সঙ্গে কাজ করেছি। অকারণ কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’

মোহিনী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত।

দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রোজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।’

১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।

বিয়ের এত বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর কিন্তু তা হল না।

Header Ad

ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করাই বিশেষ কোনো গোষ্ঠির লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসের চেয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো। তবে এখনও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় কিছু শঙ্কা থেকে গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কেউ পরিচয় জানতে চাইলে উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে। অকারণে কাউকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না। কেউ অবৈধ আদেশ দিলে সেটাও পালন করবেন না।

তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা বেড়ে গেছে। কোনো অবস্থায় মিথ্যা মামলা নেওয়া যাবে না। কেউ যদি মিথ্যা মামলা করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে যাই বলুক না কেন কাজ করে যেতে হবে। কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যার সমালোচনা মোকাবিলা করতে হবে। কী পরিস্থিতির মধ্যে আপনারা কাজ শুরু করেছেন তা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে। কেউ প্রশংসা করুক বা না করুক কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। মব জাস্টিসের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আইনি প্রক্রিয়ায় বের হওয়ার পর পুনরায় অপকর্মে জড়ালে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সব বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। যাদের কাছেই অপরাধের তথ্য থাকে তারা তা দিয়ে অন্যদের সহযোগিতা করবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা তাদের দাবি নিয়ে রাস্তা অবরোধ না করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। কিংবা আমাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে পারে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান। আমরা কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কঠোর হতে চাই না।

তিনি বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ স্থিতিশীল একটি পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

Header Ad

সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ক্রিকেট যেমন নাটকীয়তায় ভরা, তেমনি তাদের দলটির পারফরম্যান্সও চরম অনিশ্চিত।প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ধস দেখেছিল পাকিস্তান। হারে সিরিজ শুরু করা সফরকারী দল অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান পেরিয়েছে ১৯০ বল এবং ১০ উইকেট হাতে রেখেই। বড় ব্যবধানের এই জয় নিশ্চিত করার পথে ৫৩ বলেই ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। যা ফরম্যাটটিতে পাকিস্তানি কোনো ব্যাটারের তৃতীয় দ্রুততম। বাঁ-হাতি এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৬২ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকান সাইম। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন অপরাজিত ৩২ রান।

এর আগে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ক্রেইগ আরবাইনের দলটি। দলীয় ৬ রানে ওপেনার তাদিওয়ানাশি মারিমানি (৪), ২৩ রানে জয়লর্ড গাম্বি (৫) আউট হলে স্বাগতিকরা বিপদে পড়ে যায়। এরপর কয়েকজন ব্যাটার থিতু হলেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন ডিওন মায়ার্স। এ ছাড়া শন উইলিয়ামস ৩১, অধিনায়ক আরবাইনের ১৮ ও সিকান্দার রাজার ১৭ রানই কেবল সম্বল ছিল জিম্বাবুয়ের। ৩২.৩ ওভারে তারা অলআউট হয়ে যায় ১৪৫ রানে। বিপরীতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার আবরার আহমেদ। এ ছাড়া সালমান আগা ৩ এবং সাইম আইয়ুব ও ফয়সাল আকরাম একটি করে শিকার ধরেন।

১৪৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন সাইম। তার সঙ্গে শফিকের ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারেই পাকিস্তান ৭১ রান তোলে। একপ্রান্তে সাইম দ্রুতগতিতে রান তুললেও, শফিক ছিলেন শান্ত-ধীরস্থির। শেষ পর্যন্ত দুজন অপরাজিত থেকেই পাকিস্তানের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান ২৮ নভেম্বর মুখোমুখি হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা