ম্যাচ যখন কার্বন কপি!
বিশ্বে এখন চরম মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। সর্বত্রই কেমন একটা অস্থিরতা। বাংলাদেশও এর ব্যতীক্রম নয়। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের দাম বাড়তি, রিজার্ভ কমে আসা, বিদুৎ সংকট- এ রকম আরও অনেক কিছু। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রিকেটেও মন্দা ভাব। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে তো আগে থেকেই ছিল। একমাত্র গর্বের ধন ছিল ওয়ানডে ক্রিকেট। সেখানেও হানা দিয়েছে মন্দা ভাব। জিম্বাবুয়ের মতো পুচকে দলের কাছেও পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ ধরাশায়ী।
বাংলাদেশ যে খুব বাজে খেলে এভাবে কাবু হয়েছে, তা কিন্তু নয়। প্রথম ম্যাচে দুই উইকেটে ৩০৩ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করেও রেহাই পায়নি। এমন কি লড়াইও করতে পারেনি। দুইটি ম্যাচেই হার পাঁচ উইকেটে। প্রথম ম্যাচে বল বাকি ছিল ১০টি। দ্বিতীয় ম্যাচে সে সংখ্যা ছিল ১৫টি।
দুইটি ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের জয়ে অনেক সাদৃশ্য আছে। যাকে বলা যায় ‘কার্বন কপি’। এটি শুরু হয়েছে টস জয় দিয়ে শুরু, শেষ হয়েছে ম্যাচ জয় দিয়ে। এই দুই ম্যাচের মাঝখানে একটি শব্দ যোগ করা যায় ‘আবারও’। জিম্বাবুয়ে আবারও টস জিতে। আবারও নেয় রান চেজ করার সিদ্ধান্ত। আবারও রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে। প্রথম ম্যাচে ছয় রানে হারিয়েছিল দুই উইকেট। এই ম্যাচে ১৩ রানে হারায় দুই উইকেট। আবারও পরে দাঁড়িয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। প্রথম ম্যাচে জুটি হয়েছিল চতুর্থ উইকেট, দ্বিতীয় ম্যাচে পঞ্চম উইকেট জুটিতে। প্রথম ম্যাচে জুটিতে রান এসেছিল রেকর্ড ১৯২ রান। দ্বিতীয় ম্যাচেও রেকর্ড ২০১ রান। আবারও জোড়া সেঞ্চুরি করেন ব্যাটসম্যানদ্বয়। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইনোসেন্ট কাইয়া (১১০) ও সিকান্দার রাজা (১৩৫*)। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন অধিনায়ক রেজিস চাকাভা (১০২) ও সিকান্দার রাজা (১১৭*)। আবারও সিকান্দার রাজা সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। আবারও তিনি ম্যাচ সেরা হন। দুই ম্যাচেই সিকান্দার রাজা জীবন পান। প্রথম ম্যাচে তিনি জীবন পেয়েছিলেন ৪৩ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ রানে। প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ১০ বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচ এই ম্যাচ ১৫ বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটে। প্রথম ম্যাচে জয় এসেছে ওভার বাউন্ডারিতে, দ্বিতীয় ম্যাচে বাউন্ডারিতে।
ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছেও কার্বন কপি ছিল। মিল ছিল দুই ম্যাচই তারা হেরেছে!
এসএন