বিওএ সভাপতির লক্ষ্য ক্রীড়াঙ্গণকে উপরের দিকে নিয়ে যাওয়া
বাংলাদেশ অলিম্পিক ভবন আজ ছিল উৎসবমূখর। নতুন সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটি আজই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আগের সেনা প্রধান অবসরে যাওয়ার পর নতুন সেনা প্রধান হয়ে আসেন জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন। তিনি সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এদিকে কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আজ ছিল দায়িত্ব গ্রহণ। নতুন কমিটির সবাই একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন।
সভা শেষে সভাপতি সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন। যেখানে তিনি এই পদে দায়িত্বপালনকালে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। আন্তর্জাতিক গেমসগুলোতে পদকের সংখ্যা বাড়াতে চান।
তিনি বলেন, ‘আমি অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি। স্বভাবতই আমি অলিম্পিক নিয়েই ভাবব। আমরা অর্জনে বিশ্বাস করি। লক্ষ্য থাকতে হবে অনেক দূর। আজকে যদি আমি চাঁদে যাওয়ার চিন্তা করি, আজ হয়তো পারব না। কিন্তু লক্ষ্য থাকা ভাল। আমার লক্ষ্য থাকতে হবে যুগোপযোগী চ্যালেঞ্জিং। তবে এত বেশি চ্যালেঞ্জিং নয় যে কালকেই আমি অলিম্পিকে ১০০ মিটারে স্বর্ণ জিতব। সেটা আবার বেশি হয়ে যাবে। আমরা তা পারব না। অলিম্পিকে ভাল করার জন্য সাফ গেমস ও এশিয়ান গেমসে ভাল করতে হবে। এগুলো বড় জায়গায় যাওয়ার একটি পদক্ষেপ মাত্র’
নতুন সভপতি প্রথম দিন থেকেই একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে চান। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল যে পরিমান টাকা ফুটবলে বিনিয়োগ করে, ক্রিকেটে তা করে না। আমাদের যেসব সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, সেসব জায়গায় আমরা বেশি করে বিনিয়োগ করব। আমরা বিভিন্ন গেমসে লক্ষ্য রাখছি যে পদকের সংখ্যা বাড়াতে পারি, সেটাই হবে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন। খুব শিগগিরই সভা করে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নেব। সেটাই হবে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন। বিষয়টি এমন যে আমরা কিছু অর্জন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়াবান্ধব। এ কথা সবাবই জানেন। নতুন সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর এই আগ্রহকে কাজে লাগাতে চান। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানান। একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী ও মুবিজবর্ষে তাকে এই পদে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, 'এই দায়িত্ব পাওয়া খুবই সৌভাগ্যের বিষয়। এ জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি যে আস্থা আমার উপর রেখেছেন আমি তার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করব। বিওএ সভাপতি বলেন, ‘আমি ও শাহেদ ভাই দীর্ঘক্ষণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি খেলাধুলাকে খুবই ভালবাসেন। তাই আমি গ্যারান্টি দিতে পারি। উনি স্বপ্রণোদিত হয়ে বলেছেন, তোমাদের কী কী লাগবে? তিনি আমাদের তাই দিবেন। আমি ইতোমধ্যে একটি চিঠি সই করছি এবং উনাকে পাঠাচ্ছি। উনি আমাদের সহায়তা করবেন। উনার যেহেতু আশির্বাদ রয়েছে, আমাদের ইচ্ছাও আছে। ইনশাল্লাহ আমরা কিছু করতে পারব বলে বিশ্বাস রয়েছ।’
নতুন সভাপতি নিজেও একজন ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এইটুকু বলতে পারি, খুলনায় প্রথম বিভাগ ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। আমি ক্যাডেট কলেজ থেকে শুরু করে অনেক খেলাধূলা করেছি। আমি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। সব সময় ফোকাস থাকবে, আমি আমার সেরাটা দিতে চেষ্টা করব।’
এমএমএ/