মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অথচ তাইজুল অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেছিলেন!

অনেকেরই হয়তো চোখ কপালে উঠবে একদিনের ক্রিকেটে তাইজুল ইসলাম বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেছিলেন জেনে! আসলেইতো তাই। তাইজুল ইসলামের শরীরে সাইনবোর্ড লাগানো তিনি টেস্ট বোলার। হ্যাটট্টিকতো দূরের কথা, তিনি যে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, এটাও হয়তো অনেকে বেমালুম ভুলে গেছেন।

২০১৪ সালে তার যখন সাদা পোষাকের ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল, একই বছর একদিনের ক্রিকেটেও পথ চলা শুরু হয়। সাদা পোষাকে প্রতিপক্ষ ছিল উইন্ডিজ। জ্যামাইকার কিংস্টনে অভিষেকে তাইজুল পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ১৩৫ রানে। ম্যাচে উইন্ডিজ জয়ী হয়েছিল ১০ উইকেটে। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে আর সেভাবে বোলিং করার সুযোগ মিলেনি। তিন মাস পর একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকে তার প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। পাঁচ ম্যাচের সেই সিরিজে বাংলাদেশ জিতেছিল সব ম্যাচ। তাইজুল খেলেছিলেন সিরিজের শেষ ম্যাচ। টেস্টের মতো এখানেও তিনি নিজের অভিষেককে বর্ণিল করে তুলেছিলেন। টেস্টের পাঁচ উইকেট যেমন ছিল অভিষেকের মাইলফলক, তেমনি একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকে হ্যাটট্রিক ছিল অনেক বড় প্রাপ্তি। কারণ তার আগে আর কেউ এমন নজির স্থাপন করতে পারেননি।

ম্যাচে তাইজুলের হ্যাটট্রিক ছিল দুই ওভার মিলে। দুই ওভারেই তিনি জোড়ায় জোড়ায় উইকেট নেন। প্রথমে নিজের ষষ্ট ওভারের প্রথম ও শেষ বলে নেন উইকেট। প্রথমে আউট করেন সুলোমুন মিরেকে এলবিডব্লিউ আউট করে, পরে পানইয়াঙ্গারাকে বোল্ড করে। পরের ওভারের প্রথম বলেই তিনি আউট করেছিলেন জন নিম্বুকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। পরের বলে টেন্ডাই চাতারাকে বোল্ড করে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে ডুকে পড়েন ইতিহাসের পাতায়। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে সুযোগ পেয়ে এভাবেই কাজে লাগিয়েছিলেন তাইজুল। কিন্তু তারপরও একদিনের ক্রিকেটে তার আসন পাকাপোক্ত হয়নি।

 

অভিষেকে এমন নজর কাড়া নৈপুণ্য দেখানোর পর তিনি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু শুধামাত্র নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১০ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে উইকেট শূণ্য ছিলেন। হ্যাটট্রিক করার পর যখন তিনি দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার সুযোগ পান চার ম্যাচ পর, সেখানে উইকেট না পাওয়ার পর তার সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে যে আরও লম্বা বিরতি পড়ার কথাই। হয়েছেও তাই। সেই লম্বা বিরতিটা ছিল অনেক বড়ই। ঘরের মাঠে একে একে তিনি খেলার সুযোগ পাননি পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের কোনো ম্যাচ। এসব কটিই সিরিজই বাংলাদেশ জিতেছিল। আবার সুযোগ পান আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে। কিন্তু এবারও তিনি ভালো করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে এক উইকেট পেলেও পরের ম্যাচে থাকেন উইকেট শূণ্য। ব্যস এভাবেই চলতে থাকে তার একদিনের ক্রিকেটের পথ চলা। কখনো কোনো ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়লে বা ব্যক্তিগত কারণে না খেললে মনে পড়ে তাইজুলের কথা। দলে ডাক পান। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে মিলে সেরা একাদশে সুযোগ।

তাইজুলের এবারের সুযোগও ছিল সে রকমই। সাকিব আল হাসান না খেলাতে তার দলে ডাক পড়ে। তিনি এমনই ডাক পান যে বিসিবি থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তা জানানোর প্রয়োজনও মনে করা হয়নি। তিনি যে দলে আছেন তা হয়তো অনেকেই জানতেন না। অঘোষিত থাকলেও প্রথম দুই ম্যাচে তার সুযোগ মিলেনি। অবশ্য সুযোগ পাওয়ার কথাও নয়। যেখানে মিরাজ-নাসুমের মতো বোলাররা আছেন। কিন্তু শেষ ম্যাচে গিয়ে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। চার স্পিনার খেলানোর ‘তথ্য’ থেকে চতুর্থ বোলার হিসেবে তিনি একাদশে ঢুকে পড়েন। তারপর দেখার ভেল্কি। যা ছিল অভিষেকের পর প্রথম। প্রথম বলেই উইকেট। এরপর আরো পাঁচ উইকেট। ১০ ওভারে ২৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট। তার শিকার ছিলেন একে একে ব্রান্ডন কিং, শাই হোপ, রভম্যান পাওয়েল, কেমো পল ও অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। কেমো পল ছাড়া বাকি চারজনই ব্যাটসম্যান। এই ম্যাচের আগে তিনি ৯ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট। এখন তার উইকেট সংখ্যা ১০ ম্যাচে ১৭টি। তবে এ কথা সত্য এমন নজর কাড়া বোলিংয়ের পর তাইজুলের পরের ম্যাচ খেলা নিয়েতো শঙ্কা আছেই, দলে সুযোগ পান কি না কে জানে। সাকিব আসলেই তিনি মাইনাস!

তাইজুলের এমন বোলিংয়ে তামিম ইকবাল ছিলেন মুগ্ধ। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণি মঞ্চে তিনি বলেন, ‘তাইজুলের কথা আমাকে আলাদা করে বলতেই হবে। গোটা সফরে সে দলের সঙ্গে ছিল। কিন্তু কোনো ম্যাচ (একদিনের ম্যাচ) খেলার সুযোগ পায়নি। অনুশীলনে নিয়মিত এসেছে। কিন্তু যখন সে সুযোগ পেলো, তখন সেটিকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে।’ ২০২০ সালের ৫ মার্চ সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ একদিনের ম্যাচ খেলার পর আবার খেলার সুযোগ পাওয়াতে তাইজুল নিজেকে ‘ভাগ্যবান’ মনে করছেন। তিনি বলেন, আমি খুবই ভাগ্যবান যে আজকে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। সুযোগ পাওয়ার জন্য আমি অনুশীলনে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম। কারণ দলে সাকিব, নাসুম ছাড়াও আরও অনেক বাঁহাতি স্পিনার আছে। তাই সুযোগ পেয়ে আমি খুবই খুশি যে তা কাজে লাগাতে পেরেছি।’ দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেলেও ভালো করতে পারবেন কি, না তা নিয়ে কোনো চাপ ছিল না বলে পুরস্কার বিতরণি মঞ্চে জানান তাইজুল। তিনি বলেন, ‘আমার মাঝে কোনো চাপ কাজ করেনি। আমি আমার বেসিক মেনে উইকেট টু উইককেট বল করে গেছি এবং তা কাজে লেগেছে।’

/এএস

Header Ad

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে

ছবি: সংগৃহীত

ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বর্তমানে সিএমপি কোতয়ালি থানায় রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে তাকে।

এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

Header Ad

মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশের বাজারে মুরগীর বাচ্চার অতিরিক্ত দাম স্থিতিশীল করে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এক গণ বিবৃতি দেয় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) এর সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতার পকেট থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। অথচ পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০-১১০ টাকায় বিক্রি করছে।

তিনি দাবি মতে, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০-১২টি কর্পোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

এ অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও জানানো হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে–

১. ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

২. কর্পোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিক ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা এবং বিশেষ প্রণোদনা চালু করতে হবে।

৪. সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে ডিম, মুরগি এবং পোল্ট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

নতুন এই দাম আজ (২৬ নভেম্বর) থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাজুস। গতকাল (২৫ নভেম্বর) সোমবার রাতে সংগঠনটি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২৪ নভেম্বর থেকে। আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল।

আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এ ছাড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল। এছাড়া, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ