ডোমিঙ্গোর দৃষ্টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
উইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাজে ভাবে হেরে বাংলাদেশ দল যে চাপে ছিল, তা কেটে গেছে দুর্দান্ত নৈপুন্য দেখিয়ে একদিনের সিরিজ জয়ের মাধ্যমে। আজ শেষ ম্যাচ জিতলেই হোয়াইটওয়াশ। কিন্তু কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর ভাবনার রাজ্যে ভীড় করে আছে অক্টেবারে অস্ট্রেলিয়া অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই আসরে কিভাবে ভালো করা যায় সেই চিন্তা এখনই বেশ ভালোভাবে ডুকে গেছে তার।
টেস্ট ক্রিকেটের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও বাংলাদেশের জন্য এক চাপের নাম। হারকে নিত্য সঙ্গী করেই তারা খেলতে নামে। বাংলাদেশের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কেটেছে খুবই দুর্বিসহ ভাবে। কোনো রকমে মূল পর্বে উঠতে পারলেও সেখানে গিয়ে জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে বাংলাদেশ খেলে আসলেও পরিসংখ্যান খুবই হতাশজনক। এখন পর্যন্ত মূল পর্বে জয় একটি। তাও ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে। এ ছাড়া প্রাথমিকপর্বে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ছয়টি। এবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সেই দুঃসময় কাটাতে চান ডোমিঙ্গো।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) তৃতীয় একদিনের ম্যাচকে সামনে রেখে গায়ানাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও ১৫ মাস বাকি আছে। এই সময়ের মাঝে আমরা অনেক ম্যাচ খেলব। তাই আপাতত আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে মনযোগ দিতে চাই।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশে যে ম্যাচ জিততে পারে না তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডোমিঙ্গো আগামী আসরে লড়াই করতে চান। ম্যাচ জিততে চান জানিয়ে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা কখনও কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি (২০০৭ সালের পর হবে)। আগামী বিশ্বকাপে আমরা চেষ্টা করবো লড়াই করতে। কয়েকটি ম্যাচ জিততে। ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১৬ অক্টোবর।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ ভালো করতে না পারার কারণ হিসেবে ডোমিঙ্গো আবিষ্কার করেছেন ‘চাপ’। এই চাপ আসে মিডিয়া ও দর্শকদের কাছ থেকে। এগুলো সামলানোর পরামর্শ দেন তিনি ক্রিকেটারদের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রিকেট খুবই জনপ্রিয়। যে কারণে এখানে সবার চাওয়া বেশি। এই চাওয়া থেকে চাপ তৈরি হয়। মিডিয়ার চাপ। মানুষের চাপ। এই সামলতে হবে। মনযোগ ধরে রাখতে হবে। নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে। ভালো খেলতে হবে। এগুতে হবে সামনে।
এমপি/এএস