এশিয়া হকির নতুন রাজা কোরিয়া
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নতুন রাজা হয়েছে কোরিয়া। ফাইনালে তারা জাপানকে শুট আউটে ৪-২ গোলে পরাজিত করেছে। মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচটি নির্ধারতি সময় ৩-৩ গোলে ড্র ছিল। লিগ পর্বেও দুই দলের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র ছিল।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা আগের আসরগুলোতে ভারত ও পাকিস্তান ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। এবার দুই দলের কোনো দল ছিল না ফাইনালে। সেমিতে পাকিস্তান কোরিয়া, ভারত, জাপানের কাছে হার মেনেছিল।
১০ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন কোরিয়ার ৩৭ বছর বয়সি ডিফেন্ডার জ্যাং জং ইয়োন। ২০০৭ ও ২০১১ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুর।
শুট-আউটে কোরিয়ার হয়ে গোল করেছেন লী জুং জুন, জি ও চিওন, ওয়াং তায়েল ও লী হায়ে সিউং। জাপানের হয়ে গোল করেন ওকা রায়োমা ও সারেন তানাকা। রাইকি ফুজিশিমা ও কোসেই কাওয়াবের প্রচেষ্টা আটকে দিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান কোরিয়া গোলরক্ষক কিম জা ইয়োন।
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে যা নান্দিনিক খেলা উপহার দিয়েছিল ভারত, ফাইনালেও সেভাবে শুরু করেছিল তারা। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। সেখানে গোল পেয়ে যায় কোরিয়া। জাপানের আক্রমণ ঠেকিয়ে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ৮ মিনিটে গোলের দেখা পায় কোরিয়া। বামদিক থেকে জ্যাং জি হুনের হিট স্টিকে দিক পরিবর্তন করে জালে পাঠান জিয়ং জুন উ। ১০ ও ১২ মিনিটে দুটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি জাপান।
২৪ মিনিটে কেন নাগায়োশির পেনাল্টি কর্নার গোলে সমতায় আসে জাপান। । ২৯ মিনিটে ওকা রায়োমার ফিল্ড গোলে লিড নেয় জাপান (২-১)।
এই কোয়ার্টারে আরো এক গোল করে জাপান ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ৩-১ গোলে। ইয়োশিকি কিরিশিতার পেনাল্টি কর্নার থেকে পাওয়া গোলে স্কোরলাইন ৩-১ করে জাপান। ৪৪ মিনিটে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি কর্নার রুখে দেন জাপান গোলরক্ষক।
শেষ কোয়ার্টারে কোারিয়া দারুনভাবে খেলায় ফিরে আসে। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও খেলায় সমতা আনে। জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি কর্নার গোলে স্কোরলাইন ৩-২ করে কোরিয়া। এ নিয়ে প্রতিযোগিতার সবগুলো ম্যাচে গোল করেছেন দলটির অন্যতম সেরা এই তারকা। শেষ মুহূর্তে জ্যাং জং ইয়োনের পেনাল্টি কর্নার গোলে ৩-৩ সমতায় এনে ম্যাচে ফিরে আসে কোরিয়া। এরপর শুট আউটে ভাগ্য তাদের দিকে হেলে পড়ে।
এমপি/এসআইএইচ