রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মধ্যাঞ্চলের জয় কেড়ে নিল পূর্বাঞ্চল

ক্রিকেট মানে অনিশ্চয়তার খেলা। তিন কাঠির খেলায় কখন কি ঘটে যায় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। যেকোনো সময় বদলাতে পারে রং। পরিবর্তন আসে দৃশ্যপটে। এমনি ঘটনা ঘটেছে মিরপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ও ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের ম্যাচে। নিশ্চিত জেতা ম্যাচ দক্ষিণাঞ্চলের। সেই ম্যাচ তারা জিততে পারেনি। যেনো মুখের খাবার কেড়ে নেওয়া হলো। হার মেনেছে ১০ রানে। এই হারের ফলে চার দলের ফাইনালে উঠার লড়াই জমে উঠল। জিতলে মধ্যাঞ্চলের ফাইনাল নিশ্চিত হতো। এখন শেষ রাউন্ডে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে ম্যাচের পর নির্ধারিত হবে ভাগ্য।

পূর্বাঞ্চলের এটি ছিল প্রথম জয়। প্রথম ম্যাচে তারা হেরেছিল বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের কাছে। পরের ম্যাচ তারা খেলবে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে।

১৯৯ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে করেছিল ৮৭ রান। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন সেই রানকে নিয়ে যান ১৪৫ পর্যন্ত। জয় থেকে দূরে ৫৪ রানে। অথচ সেই ম্যাচ জিততে পারেনি মধ্যাঞ্চল। মিঠুন-সৌম্য জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর হুড়মুড় করে পড়তে থাকে উইকেট। মাত্র ৪৩ রান যোগ করতেই হারায় ৯ উইকেট। ১৮৮ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন নাঈম হাসান। ৪৮ রানে তুলে নেন ৬ উইকেট। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে দলের ব্যর্থতার মাঝেও ব্যাট হাতে তিনি করেছিলেন ৬৮ রান। প্রথম ইনিংসে ৭০ রানে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছিলেন অপরাজিত ৪০ রান। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।

শেষ দিনে মধ্যাঞ্চলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১২ রান। হাতে ৯ উইকেট। মিঠুন ৪২ ও সৌম্য ৩৩ রান নিয়ে খেলতে নামেন। এই জুটি নির্ভরতার সাথে খেলে দলকে বড় জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মিঠুন ৭৭ ও সৌম্য ৯২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। হাফ সেঞ্চুরি করার পরও দুজনে এগিয়ে যেতে থাকেন। তারা যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল আর কোনো উইকেটই পড়বে না। কিন্তু নাঈম হাসান তখন অন্য অংক কষছিলেন। ১ রানের ব্যবধানে দুজনকে তিনি আউট করেন। জুটিতে আসে ১২০ রান। প্রথমে সৌম্য ৭৩ রানে, পরে মিঠুন ৬০ রানে ফিরে যান। মিঠুনের ৯৮ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছয়।

সৌম্যর ১৩৯ বলের ইনিংসে ১১টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা ছিল। ১ রানের ব্যবধানে দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও মধ্যাঞ্চলের জয় নিয়ে শঙ্কা ছিল না। কারণ তখনও হাতে ৭ উইকেট। রান প্রয়োজন ৫৩ রান। খুব বেশি দূরে নয় জয়। কিন্তু তাইবুর (৪) ও অনিককে(১) ফিরিয়ে দিয়ে ম্যচে উত্তেজনা নিয়ে আসেন নাঈম । সেই উত্তেজনায় বারুদ মিশিয়ে দেন তানভীর। তিনি দলপতি শুভাগত হোম (৪) ও আবু হায়দারকে (০) ফিরিয়ে দেন। অপরদিকে নাঈম আবারো আঘাত হেনে ফিরিয়ে দেন মৃত্যঞ্জয় চৌধুরীকে (১)। দলের রান ৮ উইকেটে ১৬৯। তখনও মধ্যাঞ্চলের জয়ের সম্ভাবনা ছিল। কারণ উইকেটে ছিলেন চারে নামে সালমান। এ সময় তিনি রবিউলকে নিয়ে নবম উইকেট জুটিতে দাঁড়িয়ে যান। ধীরে ধীরে জয়ের দিকে ছুটতে থাকেন তারা। কিন্তু এখানেও আঘাত হানেন সেই নাঈম। তিনি ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফিরিয়ে দেন সালমানকে। এরপর আর মধ্যাঞ্চলের জয় কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ ব্যাটসম্যান রবিউলকে (১৪) আউট করে তানভীর পূর্বাঞ্চলেকে জয়ের আনন্দে মাতিয়ে তুলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল বনাম ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল:
পূর্বাঞ্চল: ২৪৫ ও ১৮০।

মধ্যাঞ্চল: ২২৭/১০, ও ১৮৮/১০, (আগের দিনের ৮৭/১) ওভারও ৫৯.১ ( সৌম্য ৭৩, মোহাম্মদ মিঠুন ৬০, সালমান ১৯, রবিউল ১৪, নাঈম ৪৮/৬, তানভীর ৩/৫৩)।
মিজানুর ১২, এনামুল ১/৩৮)

এমপি/এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক