মেসি-নেইমার নেই, পিএসজির এমবাপে আছে
বিশ্বের সেরা আক্রমণ ভাগ এখন ফ্রান্সের পিএসজির। যে দলে নেইমার-মেসি-এমবাপের মতো স্ট্রাইকার থাকেন, তাদের তো সেরা বলাই যায়। তবে এই ত্রি-রত্নকে একত্রে খুব কমই পান কোচ পচেত্তিনো। ইনজুরিতে নেইমারের অনুপস্থিতিই এর মূল কারণ। মাঝে মাঝে থাকেন না মেসিও। থাকেন শুধুই এমবাপে। তখন এই এমবাপেই হয়ে উঠেন একাই একশ। বুঝতে দেন না মেসি-নেইমারের অভাব।
ফরাসি কাপে তার হাত ধরেই শুভ সূচনা করেছে পিএসজি। এমবাপের জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ফরাসি ফুটবলে পঞ্চম স্তরের দল ফিগনিসিকে। অপর গোলটি করেন মাউরো ইকার্দি। পিএসজির তিন গোলের দুটিই ছিল পেনাল্টি থেকে। দুটি পেনাল্টিই আদায় করেছিলেন এমবাপে।
মেসি-নেইমারে আড়ালে পড়ে যাননি পিএসজির ঘরের ছেলে এমবাপে। অথচ নেইমারের পর মেসি আসার পর তার দল ছাড়া নিয়েই গুঞ্জন উঠে ছিল ব্যাপক। শেষ পর্যন্ত এমবাপে আর পিএসজি ছাড়েনি। সেই এমবাপেই এখন নিয়মিত খেলে দলের হাল ধরেছেন।
ফরাসি কাপে পিএসজি চ্যাম্পিয়ন ১৪ বারের। শেষ ৩২-এ জায়গা করে নিতে তাদের তেমন কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। ১৬ মিনিটে এমবাপের গোলের আগে ইকার্দির দুটি সুযোগ নষ্ট হয়। একটি অবশ্য গোল হলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়েছিল।
এমবাপের প্রথম গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। বক্সের ভেতর তিনি নিজেই ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। পরে নিজেই নেন স্পট কিক। ৩১ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলটিও ছিল পেনাল্টি থেকে। এবারও এমবাপে ফাউলের শিকার হন। এবার আর তিনি শট নেননি। ইকার্দি নিশানা ভেদ করেন। এই গোলের আগে ইকার্দির ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি। পিএসজির তৃতীয় গোলটি ছিল দ্বিতীয়ার্ধের ৬ ও খেলার ৫১ মিনিটে। এমবাপে গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন।
এমপি/এসএ/