সেমিফাইনালে কোরিয়া, অপেক্ষায় পাকিস্তান
পাঁচ দলের আসরে শীর্ষে থাকা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। যে এক দল বাদ পড়বে বা বাদ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি সেই দলটি হলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। যে কারণে তৃতীয় ম্যাচ খেলে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়েও সেমিতে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। আজ শনিবার( ১৮ ডিসেম্বর) তারা কোরিয়ার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে।
সবার আগে এবারের আসরের খেলা শেষ করেছে কোরিয়া। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা ভারতের পরই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের শেষ খেলা। বাংলাদেশ দিনের পরের ম্যাচে মাঠে নামবে জাপানের বিপক্ষে। এই ম্যাচে যদি তারা জিততে পারে কিংবা ড্র করে তাহলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশও শামিল হবে সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে।
কোরিয়া ৪ ম্যচের তিনটিতেই ড্র করেছে। ভারতের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর জাপানের সঙ্গে ড্র করেছিল ৩-৩ গোলে। তৃতীয় ম্যাচে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জয়ী হয়েছিল। পাকিস্তান জাপানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ গোলশুন্য ড্র করার পর ভারতের কাছে হেরেছিল ১-৩ গোলে।
মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডি। একবার কোরিয়া এগিয়ে যায়। পরে পাকিস্তান সমতায় ফিরে। আবার পাকিস্তান গোল করে এগিয়ে যায়। কোরিয়া সমতা এনে আবার এগিয়ে যায়। পাকিস্তান আবার সমতা আনে। এভাবে খেলাটি প্রানবন্ত হয়ে উঠেছিল।
ম্যাচে পেনাল্টি কর্ণার হয়েছে ১১টি। পাকিস্তান ৬টি, কোরিয়া ৫টি। পাকিস্তান ২টি সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেয়। কোরিয়া একটি পেনাল্টি কর্ণার থেকে পরে পেনাল্টি স্ট্রোক হলে সেখান থেকে একটি গোল পায়। ম্যাচে এক পর্যায়ে কোরিয়া ৪টি পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগোতে পারেনি।
চার কোয়ার্টারের মাঝে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই দল একটি করে গোল করে। প্রথমে কোরিয়া, পরে পাকিস্তান। শেষ দুই কোয়ার্টারে দুই দল আবার দুটি করে গোল করে। এবার প্রথমে পাকিস্তান গোল করার পর কোরিয়া গোল পরিশোধ করে। পরে কোরিয়া গোল করার পর পাকিস্তান গোল পরিশোধ করে।
কিউ কিম বিউমের ফিল্ড গোলে ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় কোরিয়া। ২৪ মিনিটে আফরাজের ফিল্ড গোলে সমতায় ফিরে পাকিস্তান। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে গোল করে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। এরপর কোরিয়া পরপর চারটি পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ৪২ মিনিটে জি উও চিওনের গোল করে খেলায় আবার সমতায় নিয়ে আসেন। শেষ কোয়ার্টারে পাকিস্তান পরপর দুইটি পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ৫৫ মিনিটে কোরিয়া পেনাল্টি কর্ণার পায়। সেখান থেকে পায় পেনাল্টি স্ট্রোক। জং হিউন গোল করে কোরিয়াকে আবার লিড এনে দেন। খেলা শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে পাকিস্তান আবার পেনাল্টি কর্ণার পায়। সেটিকে কাজে লাগিয়ে ৩-৩ গোলে সমতা আনে দলটি। এরপর আর কোনো দল গোল করতে পারেনি।
এমপি/এসআইএইচ/