সাইফ স্পোর্টিংকে বিদায় করে ফাইনালে আবাহনী
স্বাধীনতা কাপের সেমি-ফাইনালের বৈতরনি পার হয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনের প্রথম সেমি-ফাইনালে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পায় আবাহনী। গোল দুইটি করেন আবাহনীর কোস্টারিকার বিশ্বকাপ খেলা স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস ও নাবিব নেওয়াজ জীবন।
গত বছর এই আসরে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল আবাহনী। আর সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছিল ২০১৬ সালে।
আবাহনীকে ফাইনালে তুলেছেন কোস্টারিকার স্ট্রাইকার কলিনদ্রেস। নিজে একটি করেছেন, অপরটি করতে সহযোগিতা করেছেন।
হারলেও ম্যাচে প্রাধান্য ছিল সাইফের। গোল হজম করার আগ পর্যন্ত তারা একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি। বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণে গিয়ে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল সাইফ। নাইজেরিয়ান এমফন সানডের কাট ব্যাক থেকে অরিক্ষত মারাজ হোসেন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। তার দুর্বল শট গোলরক্ষক প্রীতমকে পরাস্ত করতে পারেনি। ১৪ মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট করে সাইফ। মাঝ মাঠ থেকে নাহিদুলের উঁচু ক্রস এমফন সানডে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সুযোগ তৈরি করে দেন আসরোর গফুরোভাকে। কিন্তু বক্সের ভেতর তিনি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি।
সাইফ স্পোর্টিংয়ের আক্রমণ সামাল দিয়ে আবাহনী ধীরে ধীরে খেলা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। ২৫ মিনিটে গোলও পেয়ে যায়। কলিনদ্রেস প্রায় ২২ গজ দূর থেকে ফ্রি কিকে সাইফের প্রাচীর ভেঙ্গে জালে প্রবেশ করে। গোলরক্ষক মিতুল ঝাঁপিয়ে পড়েও রক্ষা করতে পারেননি। এই কলিনদ্রেস পরে আবার নিয়েছিলেন আরেকটি ফ্রি কিক। এবার তার ফ্রি কিক থেকে জীবন হেড নিয়েছিলেন। কিন্তু জাল খোঁজে পায়নি। এরপর আবারও সাইফ স্পোর্টিংয়ের সুযোগ নষ্ট। আবাহনীর রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে অপির নেওয়া শট সরাসরি আবাহনীর গোলরক্ষক প্রীতমের হাতে জমা হয়। ৬৮ মিনিটে এমফন সানডের থ্রো থেকে মারাজ ফাঁকায় বল পেয়েও গোল করতে পারেননি। সুযোগ মিসের খেসারত দিতে হয় ৮১ মনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে। কলিনদ্রেসের ফ্রি কিক থেকে জীবনের নেওয়া হেড বল তার আপন ঠিকানা খোঁজে পায় ২-০। নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর ফাইনালের টিকিট।
এমপি/এসআইএইচ/