তিন মাস সময় দিয়েছেন পাপন
কেউ যখন বিপদে পড়ে তখন খড়কুটো ধরেও বেঁচে থাকতে চায়। বাংলাদেশর ক্রিকেটও খুব বাজে সময় পার করছে। পরিত্রাণের উপায় পেতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাটিং অর্ডারে। উদ্বোধনী জুটিতে অথবা ওয়ান ডাউনে পরিবর্তন। এমন কি চার-পাঁচ-ছয়েও। এখানেই থেমে থাকা হয়নি। হুট করে নতুন কাউকে দলে ডাকা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে সেরা একাদশে সুযোগ। কিন্তু ফলাফল আসছে না। অশ্বডিম্বই থেকে যাচ্ছে।
বিকেএসপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সামনে তোলা হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি। এ সময় নিউজিল্যান্ড সফরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে কি না বা সেরা একাদশ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে কাকে নামাবে আমি জানি না। আরো অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। ওরা ৩ মাস সময় চেয়েছে, এই সময়ে ওদের বিরক্ত করতে চাই না। ওরা(টিম ম্যানেজমেন্ট) যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায়। এত দিন সময় দেইনি। একটু সময় পাবে না? গত দেড় বছরে তো এমন হয়নি। তামিম, সাকিব, রিয়াদ নেই। মূল তিন খেলোয়াড় নেই। এটার প্রভাব থাকবে না? এখানে তো নতুন তিনজনকে দিতে হবে। দিতে গিয়ে অনেক সময় পরিবর্তন করে। কেন করে জানি না, তবে আমার মনে হয় ভালো কারণেই করে।’
এ সময় বিসিবির পক্ষ থেকে টিম ম্যানেজমেন্টকে কতোটুকু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে? জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘পারফরম্যান্স ভালো থাকলে কিন্তু আপনারা এই প্রশ্নগুলো করতেন না। এখন একটা রূপান্তর ধাপ যাচ্ছে। যদি শান্ত ওপেন করত কিছু বলতেন? লিটন যদি ওপেন করত, কিছু বলতেন না। কেন করেন না। এটা কি নির্বাচকরা বলে দিয়েছেন? এটা অধিনায়কের সঙ্গে আলাপ করেন। একাদশ তো আর অন্য কেউ ঠিক করে না। সাদমান বেশ কয়েকটা ভালো ইনিংস খেলেছে। সাইফ ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করেছে। শান্ত গত টেস্টগুলোতেও ভালো করেছে। এরা মাত্র এসেছে।’
তাদের পক্ষাবলম্বন করে পাপন বলেন, ‘বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সেরা বোলিং মোকাবেলা করেনি, এখন করবে। করোনার আগ মুহূর্তে বলেছিলাম, আগামী একটা বছর খুব খারাপ যাবে। কেন? কারণ আগে আমরা দেশে খেলতাম, এখন বাইরে যাব। আগে যাদের সঙ্গে খুব কম খেলা হতো এখন ওদের সঙ্গে খেলা। কঠিন কঠিন প্রতিপক্ষ। অভিজ্ঞ হওয়ার জন্য তো একটা সময় দিবেন। টিম সেটআপের জন্য তো একটা সময় দিবেন।’
এমপি/এসআইএইচ/