বৃষ্টিতে খেলা চালানোয় ক্ষুব্ধ নিগার, জানাবেন ম্যাচ রেফারিকে
ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু বৃষ্টি। কিন্তু আজ সেই বৃষ্টির সঙ্গে দেখা গেছে ক্রিকেটের বন্ধুত্ব! নিউ জিল্যান্ডের ডানেডিনে মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বেশ বৃষ্টির মাঝেই বোলিং করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ঠিক মতো বল গ্রিপ করা সম্ভব হচ্ছিল না। কোনো রকমে বোলিং করে গেছেন।
এই সুযোগ বাংলাদেশের ৮ উইকেটে করা ১৪০ রান নিউ জিল্যান্ড বিনা বাধায় মাত্রও ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। বৃষ্টিতে এক পর্যায়ে সঠিকভাবে বলও দেখা যাচ্ছিল না। এভাবে বৃষ্টির মাঝে না খেলতে ফিল্ড আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সায় দেননি। অগত্যা তাদের খেলা চালিয়ে যেতে হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ দলে।
বিষয়টি ম্যাচ রেফারির নজরে আনা হবে বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেন, ‘স্কোর বোর্ডে যে রান ছিল সেটি ভালোই। দ্বিতীয় ইনিংসের দিকে যদি লক্ষ্য করেন, তখন সেটা ভিন্ন দেখবেন। বৃষ্টি ছিল অনেক বেশি। আবহাওয়াও কিন্তু খেলার উপযোগী ছিল না।
‘আমরা তার মাঝেই খেলেছি। বৃষ্টির কারণে বোলারদের ঠিকমতো বল গ্রিপ করতে খুব সমস্যা পড়তে হয়েছে। এত পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে যে, আউটফিল্ডে আমাদের যারা ফিল্ডিং করেছেন, তাদের বল দেখতেও সমস্যা হচ্ছিল। বোলারদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অবশ্য আমি বলব নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলে গেছে।’
বিষয়টি নিগার সুলতানা ম্যাচ রেফারিকে জানাবেন জানিয়ে বলেন, ‘বৃষ্টির সময় আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমরা এই রকম কন্ডিশনে খেলা চালিয়ে যাব কি না। কিন্তু আম্পায়াররা তাতে সাড়া দেননি। তারা আমাদের খেল চালিয়ে নিতে বলেন। অন দ্য ফিল্ড তেমন কিছু করার থাকে না, অফ দ্য ফিল্ড যতটুকু কাজ করা যায় কথা বলব। আমরা সেটা করব। অবশ্যই আমরা ম্যাচ রেফারিকে জানাব কন্ডিশন এরকম ছিল।’
নিগার সুলতানার এই কথার মিল খুঁজে পাওয়া যায় ধারাভাষ্যকারদের বলা কথার সঙ্গেও। তারাও একই রকম পরিস্থিতি বর্ণনা করেছিলেন ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়।
একদিকে বৃষ্টি, অপরদিকে ভেজা ও পিচ্ছিল আউটফিল্ড। এতে করে নিগার সুলতানা দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে কোনো সময় তারা পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন।
তিনি বলেন, নিরাপদে ম্যাচ শেষ করা নিয়ে আমি শঙ্কায় ছিলাম। বিশ্বকাপে আমাদের আরো ৫টি ম্যাচ খেলতে হবে। খেলোয়াড়রা যদি ভালো থাকে, তাহলে পরের ম্যাচগুলো খেলতে পারবে। সেখানে আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়াই করতে পারব। কিন্তু ইনজুরিতে পড়লে তখন আর করার কিছু থাকবে না।’
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৬ দিন পর ১৪ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে।
এমপি/এমএমএ/