সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

শিক্ষার অহংকার ও আমাদের মানবিক বিপর্যয়!

২০৩০ সালে উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যে দিকগুলোর উন্নতি অপরিহার্য তার মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা অন্যতম। মানসম্মত শিক্ষা ব্যতীত একটি দেশের সামগ্রিক উন্নতি বাধাগ্রস্থ হয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রযন্ত্রের উদ্যোগ ও আন্তরিকতা বিবেচ্য। আর এজন্যই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র বা সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলের ১৭ টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো মানসম্মত শিক্ষা। এই সময়ের মধ্যে যদি সমগ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা না যায় তাহলে বাকি ইস্যু গুলোর উন্নতি টেকসই হবেনা।

শিক্ষাকে একমুখীকরণ, সংস্কার সাধন এবং সর্বজনীন করার মধ্য দিয়েই এই রাস্তা তৈরি হতে পারে। কিন্তু বিগত দুই দশক ধরে শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান নানা উদ্যোগ, পোষ্টমর্টেম, পরিবর্তন, পরিবর্ধন পরিমার্জন সংকোচন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে যা কাক্ষিত মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্যকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করেনি করেছে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ।

সবশেষ ২০২২ সালে এস,এস,সির ফলাফল প্রমাণ করে সরকার শিক্ষায় হাইব্রিড অর্জনের কোন রাস্তা আর বাকি রাখেনি। মান অর্জনের জায়গায় আমরা শুধু কিছু সংখ্যার উন্নতি দেখে অভ্যস্ত হয়েছি। আর এটাকে আমরা মনে করেছি শিক্ষার উন্নতি, প্রকৃত উন্নতি। তবে শিক্ষার উন্নতি সবসময় ধান গাছের মত দৃশ্যমান হয় না এটা কখনও কখনও ওল গাছের মতও হয়। আমাদের শিক্ষার উন্নতি ধান-গমের মত দৃশ্যমান কিন্তু সেটা কতটুকু টেকসই আমরা কি ভেবেছি কখনো? শিক্ষায় সংস্কৃতিতে, কাঙ্খিত সমাজ পরিবর্তনের প্রতিফলন আসে শিক্ষার মধ্য দিয়ে আর এটাই শিক্ষার চূড়ান্ত রূপ।

শিক্ষার এই সংখ্যা তাত্বিক বিশ্লেষণ প্রমাণ করে আমরা স্থায়ীভাবে কেরানি তৈরির জন্য কতটা উদগ্রীব। ব্রিটিশ পাকিস্থান এমনকি বাংলাদেশ পর্বে এসেও সরকারের অনুগত কর্মচারী শ্রেণি, কেরানি তৈরি করা ছাড়া শিক্ষায় মৌলিক পরিবর্তনের কোনো অনুসঙ্গ যোগ করতে পারিনি। ঔপনিবেশিক আমলের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে হাল আমলের শিক্ষাব্যবস্থার আসলে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই।

সনদ সর্বস্ব শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সুশীল সমাজের চিৎকার বহুদিনের। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় যে ছাত্র নকল করিল আর যে ছাত্র মুখস্থ করিয়া মগজে ভরিয়া খাতার উপর বমি করিল, সেই বা কম কি করিল! পড়া মুখস্থ কর, পরীক্ষা দাও, ভালো চাকরি পাও, বিলাসী জীবন কাটাও, এখন পর্যন্ত আমরা শিক্ষার এই সংকীর্ণ ধারণায় আটকে আছি। আত্মশক্তি অর্জনই যে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সেই চিন্তা থেকে আমরা আজ বহুদূরে। শিক্ষা যে প্রদীপ শিখা, পরশ পাথর এবং এই তত্বদিয়ে বৃহৎ পরিসরে পরিবর্তন, বিপ্লব আনা সম্ভব, রাষ্ট্র, সমাজ দেশ, জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে উঠিয়ে আনা সম্ভব সেই চিন্তা এখন সুদূর পরাহত। পৃথিবীর বহুদেশ শিক্ষা দিয়ে সেই পরিবর্তন এনছেন এখনো আনছেন। বলা হচ্ছে একুশ শতকে শিক্ষায় রাষ্ট্রের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রধান অস্ত্র। রেনেঁসাস মানুষ তৈরির মূল হাতিয়ার শিক্ষা, এই চেতনা আজ নির্বাসিত। প্রকৃত শিক্ষার উদ্দেশ্য থেকে আমাদের দূরত্ব যোজন যোজন। একজন শিক্ষিত মানুষ নিজের পাশাপশি জাতি, সমাজ নিজের বিশ্বাসকে এগিয়ে নেয়, মানবতার জন্য বেদনা অনুভব করবে এমন প্রবণতা এখানে অনুপস্থিত। শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার অহংকার তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি সমাজের মানবিক, নৈতিক, উন্নতি না হয়ে ঘটেছে উল্টো বিপর্যয়। শিক্ষায় বিনিয়োগের কোনো সুফল আসেনি।

আগের তুলনায় আমাদের দেশে এখন মেধাবীর সংখ্যা অনেক বেশি। ২০০১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে শুধু এ প্লাস পেয়েছে ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০৯ জন। মেধাবী মানুষে ভরে গেছে দেশ, নেই আলোকিত মানুষ; অথচ শিক্ষা তৈরি করে আলোকিত মানুষ, রেনেঁসাস মানুষ।
অ্যারিষ্টটল, প্লেটো, কিংবা ইমানুয়েল কান্ট, হেগেল, জেরেমি বেস্থাম থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ কিংবা আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞানীরা শিক্ষার এই দৃশ্যমান উন্নতির কথা বলেননি। আত্বিক উন্নতির পাশাপাশি প্রয়োজনের শিক্ষাও দরকার, কিন্তু প্রথম বিষয়টিকে উপেক্ষা করে নয়। একটু পরিসংখ্যান দেখলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

২০০১ সালে প্রথম গ্রেডিং পদ্ধতির মধ্যদিয়ে দেশে পরীক্ষা ব্যবস্থায় নতুন এক পুনর্জাগরণের আভাস আমরা দেখতে পায় এবং সে বছর সারা দেশে যেভাবে জি,পি,এ’র উত্থান আমরা দেখি। সে ধারা এখনও অব্যহত আছে পুর্বের চেয়ে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে। ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে মেধাবী না বাড়লেও বেড়েছে এ প্লাস এর সংখ্যা। গ্রেডিং পদ্ধতির প্রারম্ভে ২০০১ সালে যেখানে সারাদেশে মোট ৭৬ জন এ প্লাস পায়, সেখানে ২০০২ সালে এসে জ্যামিতিক হারে এই সংখ্যা বেড়ে ৩২৭ এ দাঁড়ায়।

২০০৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৮৯, ২০০৪ সালে ৮৫৯৭, ২০০৫ সালে ১৫৬৩১, ২০০৬ সালে ২৪ ৩৮৪, ২০০৭ সালে ২৫৭৩২, ২০০৮ সালে ৪১৯১৭, ২০০৯ সালে ৪৫৯৩৪, ২০১০ সালে ৫২১৩৪, ২০১১ সালে ৬২২৮৮, ২০১২ সালে ৮২২১২, ২০১৩ সালে ৯১২২৬, ২০১৪ সালে ১৪২২৭৬, ২০১৫ সালে ১১১৯০১, ২০১৬ সালে ১০৯৭৬১, ২০১৭ সালে ১০৮৭৬১, ২০১৮ সালে ১১০৬২৯, ২০১৯ সালে ১০৫৫৯৪, ২০২০ সালে ১৩৫৮৯৮, ২০২১ সালে ১৮৩৩৪০ এবং এভাবে চলতে চলতে সর্বশেষ ২০২২ সালে এসে সেটা দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০০২ জন। প্রায় ২০ লাখের অধিক ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিয়ে ১৮ লাখ ৮১ ৬০০ জন শিক্ষার্থী পাস করে, পক্ষান্তরে ফেলের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ জন। দুই দশকের ব্যবধানে দেশে জ্যামিতিক হারে শুধু মেধাবীর সংখ্যা বাড়েনি; পাসের হার ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। সবমিলিয়ে ২২ বার দেশে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষায় কথিত এ প্লাস ধারীর মোট সংখ্যা ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০৯ জন।

মেধাবী শিক্ষাথীতে ভরে গেছে দেশ, শূন্যতা রয়েছে ফলাফলে। শিক্ষার্থীদের শুধু শুধু নাম্বার দেওয়ার প্রবণতা, খাতামূল্যয়নে শৈথিল্য প্রদর্শন, শিক্ষা ব্যবস্থায় সৃজনশীলতার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এমন কা-ের মূল কারণ। উদ্দেশ্যহীনভাবে এভাবে সনদ দেওয়ার প্রবণতা শিক্ষা ব্যবস্থায় বহুমাত্রিক সমস্যা তৈরী করেছে এর মধ্যে বেকারত্ব অন্যতম। শুধু শুধু পাশ করিয়ে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধবংশের পায়তারা চলছে অনেকদিন ধরেই তা না হলে এই নাম্বার দেওয়ার কোন উদ্দেশ্য আছে কি না সেটা বোধগম্য নয়। দক্ষিন আফ্রিকায় পরিচালিত এক গবেষণা বলছে পুরো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ তৈরি অথবা অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়ার প্রবণতা যথেষ্ট। এজন্য শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের প্রয়োজন হয় না। টি, আই,বি, এডুকেশন ওয়াচসহ বেশ কয়েকটি বিদেশি দাতা গোষ্ঠীর গবেষণা বলছে দেশে অশিক্ষিত বেকারের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অধিক। আর এই সংখ্যা ২৬ লাখের অধিক। প্রতিবছর মোট এই সংখ্যার সঙ্গে আরও যোগ হচ্ছে নতুন শ্রমশক্তি। যারা শিক্ষিত হয়ে নতুন চাকরির শ্রম বাজারে ঢুকে সমস্যা তৈরি করছে। শুধু পাশ করালেই সমাধান আসে না নাগরিকদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সংবিধান প্রদত্ত নাগরিকের এই অধিকার নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা আছে কি না সেটা ভাববার বিষয়। শুধু পাশ করালে সংকট আরও বাড়ে যা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। আমরা ৯০ দশকের কোেো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখি ১৯৯০ সালের ৪ বোর্ড মিলিয়ে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ৩১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ৬৯ শতাংশ ফেল করে। বলা চলে চার লাখের মতো শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ লাখই ফেল করে। শিক্ষার মান সে সময়ে ভালো না হলেও খারাপ ছিল না। থাকলেও এতটা বিতর্কিত ছিল না। আজকের বাস্তবতায় ২০২২ সালে প্রায় ২০ লাখের অধিক পরীক্ষা দিয়ে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ অধিক পাস করাটা আশ্চর্য্যের বটে। ফেল করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ । ৯০ দশকের তুলনায় পুরোপুরি উল্টো চিত্র দেখি আমরা। আর এখানেই আছে যত সমস্যা। ২০২২ সালে পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী স্কুল ফাইনাল দেয়নি, পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

উদ্দেশ্যহীনভাবে অবিবেচকের মতো পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রবণতা, গণতন্ত্রের মতো মানের চেয়ে সংখ্যাকে সমাধান মনে করার অপচেষ্টাই এমন এ প্লাস জোয়ারের জন্য দায়ী। ৮৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক গণিত ও ইংরেজির শিক্ষক সংকট। আর এসব কারণ শিক্ষার জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এই পাশ করা তথ্য আর সংখ্যার উন্নতি ক্রমাগত আমাদের পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, ঘটেছে আমাদের মানবিক বিপর্যয়। সংখ্যাতত্বে শিক্ষার অহংকার বেড়েছে পাশাপাশি বেড়েছে অনিশ্চয়তা আর দুঃচিন্তা। রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা আর শিক্ষাকে পণ্য করার ফলে এই প্রবণতা এখন সর্বগ্রাসী। সামনের দিকে রাষ্ট্রের তথাকথিত এই শিক্ষা সামগ্রিক উন্নতি আরও বেশি বাধাগ্রস্ত করবে এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না । নতুন প্রজন্মের বি,সি,এস মুখিতা বিশেষ করে প্রশাসক তৈরি, কেরানি তৈরির নীলনকশা ছাড়া এই শিক্ষাব্যবস্থায় অন্যকিছু আছে কি না সেটা প্রশ্নবিদ্ধ! শিক্ষার উন্নতির গ্রাফ এখন নিম্নগামী। এই রাষ্ট্র মেধাবী জন্ম দিয়েছে নাকি আমরা পরিকল্পিত ভাবে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছি। শিক্ষায় মানবিক উন্নতির যে স্বপ্ন আমরা দেখি সেটা অধরা। শিক্ষায় যেভাবে আমাদের অহংকার বেড়েছে সেভাবে মানসিকতার উন্নতি আসেনি। আসলে সত্যিকার অর্থেই এই দেশ একদিন সোনার দেশে পরিণত হত। কল্যাণকর, গণতান্ত্রিক, মানবিক রাষ্ট্র তৈরির সম্ভাবনা শিক্ষাব্যবস্থায় রাখার প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি। ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে শিক্ষা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষায় জমে থাকা সকল সমস্যা সমাধানের কথা বলা হলেও সেটা হয়নি।

আগামীতে সেটার সম্ভাবনা কতটুকু সেটা বিবেচ্য বটে। অতি সাম্প্রতিক কালে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ কয়েকজন শিক্ষাবিদ শিক্ষা সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশের কথা বলেছেন। তারা জোর দিয়ে বলেছেন শিক্ষাকে উন্নত যুগোপযোগী করতে সর্বপ্রথম শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, শিক্ষায় বাজেট বৃদ্ধি করে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ছাড়া এই মুহূর্তে আসলে দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শিক্ষাকে পণ্য করা জন্য রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষণীয়। রয়েছে সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খখলার অভাব।

পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আকাশটাকে যতটা কাছে মনে হয় আসলে আকাশটা ততটা কাছে নয়। তাই শিক্ষিত হয়ে অনেক সার্টিফিকেট জোগাড় করলেই জ্ঞানী হয়না, এর জন্য বাস্তব বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে জানতে হবে। পুঁথিগত বিদ্যা আমাদেরকে বাক্সে বন্দী করে, নিজেকে সমাজে মেলে ধরা, সমাজ সংস্কারক কাজে নিয়োজিত করা প্রকৃত জ্ঞানী ছাড়া কোনো দিন সম্ভবপর নয়। আর জ্ঞানী ব্যক্তি অবশ্যই শিক্ষিত, যেমন শিক্ষিত অন্যদিকে বাস্তববুদ্ধি সম্পর্কে অবগত।

জ্ঞানী ব্যক্তি পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আকাশটাকে সত্যি কাছে করে দিয়েছেন মানবকল্যাণে। সেই শিক্ষা নেই আমাদের তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষিত হয়ে সমাজের কেরানি হওয়া, জ্ঞানের মাধ্যমে সমাজ সংস্কার, বিজ্ঞানের সাধনায় নিয়োজিত রাখা এখন কল্পনাপ্রসূত। অন্যকে জানেন শিক্ষিত, নিজেকে জানেন জ্ঞানী। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কাজে লাগে না এই মন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসের বিলোপ সাধন করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি পোড়ামাটির নীতির দিকে।

তথাকথিত বিনয়, অহংকার ইত্যাদি দিয়ে শিক্ষিত ও প্রজ্ঞাবানদের আলাদা করা খুবই ভ্রান্ত। এটাও কোন চিন্তা না করে প্রচলিত পপুলিস্ট ধারণা আউড়ে যাবার মত হয়। কারণ, যাকে বিনয় বলা হয়, যাকে অহংকার বলা হয় তা সামাজিক কনটেক্সটের উপর নির্ভর করে। এমন ঊষর পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কি?

এ প্রসঙ্গে চিন্তাবিদ আহমদ ছফা বেশ দামি একটা কথা বলেছেন শিক্ষা বিষয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন বড় বড় স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যার চেয়ে অহংকার শেখে বেশি। শিক্ষার আলো মানুষের মনুষ্যত্ব, মানব প্রেম, বিবেককে জাগ্রত করে । আর যারা শিক্ষিত হয়েও অহংকারী হই বুঝতে হবে তারা শিক্ষা অর্জন করেছে শুধু অবস্থার উন্নয়নের জন্য। আর্থিক দৈন্যতা ঘোঁচানোর জন্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ, আলোকায়নের জন্য নয় আর যদি তা না হয় তাহলে এই বঙ্গদেশে শিক্ষা ব্যর্থতার অপর নাম। শিক্ষা এখানে কোনোদিনই হয়ে উঠবে না অস্ত্র যা দিয়ে রাষ্ট্রের সকল পরিবর্তন আনয়ন করা সম্ভব। এই রাষ্ট্রে শিক্ষা হয়ে উঠছে পণ্য যা দিয়ে পরিবর্তনের চেষ্টা চলবে কিন্তু তা কখনই হয়ে উঠবে না। শিক্ষার অহংকার আর মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে এখন সেটাই হচ্ছে।

লেখক: গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষা গবেষক, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।
সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ঝঊউচ) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র বাংলামোটর, ঢাকা

 

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া ও মুরাদনগরে পৃথক দুইটি ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

জানাযায়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে সোমবার দুপুরে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুইজন বড়হরিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পয়ালগছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বিপ্লব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হালকা মেঘের মধ্যে শিশুরা মাঠে ঘুড়ি উড়াতে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ বজ্রপাত হলে দুই ছাত্র মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত কিশোর দুজন হলেন পয়ালগাছা গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন(১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে দু স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে একজন। হাসপাতাল থেকে নিহত দুজনের লাশ স্বজনরা বাড়িয়ে নিয়ে যান।

অপরদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে জমির ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের মৃত বীরচরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬৪) ও আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসীম উদ্দীন ভুইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে পাশাপাশি জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। পরে তাদেরকে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে দেখে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বর্তমানে দুজনের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে আছে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে তারা ঘটনাটি জানতে পারেন। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা