শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রদের চোখে একজন স্কুলশিক্ষক

আমরা যে জায়গায় অবস্থান করি না কেন, স্কুলশিক্ষকদের অবদান ভুলে যাবার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু তাদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ হয়ে ওঠে আনপ্যারালাল অতিমানবীয় একজন। যিনি শুধু শিক্ষাই দেন না, শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো আপন করে নেন, অভিভাবকদের কাছে হয়ে ওঠেন অতি আস্থার কেন্দ্র। ঠিক এরকমই একজন শিক্ষক হ্যানে রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মজিবর রহমান শেখ।

তিনি স্কুল থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১২ সালে। অথচ আজও সেখানে তার অভাব পূরণ করা সম্ভব হয়নি। শুধু সেই স্কুল কেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মতে, মজিবর স্যারের মত শিক্ষক তো এমনিতেই চোখে পড়ে না।

ছাত্রদের চোখে মজিবর স্যার কেমন? এর উত্তর সত্যিই অবিশ্বাস্য। ৩০/৩৫ বছর আগে এসএসসি পাশ করা ছাত্ররা এখনো স্যারের কাছে অতি কৃতজ্ঞ। এখন তারা তাদের সন্তানদের জন্য মজিবর স্যারের মত শিক্ষক খুঁজে ফেরেন। মজিবর স্যারই যেন শিক্ষকতার মানদণ্ড।

শ্রদ্ধেয় মজিবর স্যারকে নিয়ে আর্টিকেল লেখার পর, তার সাবেক ছাত্ররা পিতৃসম স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশ করে যে মতামত দিয়েছেন, সেগুলো সত্যিই অবিস্মরণীয়। সবার সবটুকু মতামত দিতে গেলে, লেখাটা ৩ ফর্মার বই হয়ে যাবে। তাই দুই শতাধিক মতামত থেকে শুধুমাত্র কয়েকজনের মতামতের চুম্বক অংশ দেওয়া হলো এবং তাদের সকলেই ২৫/৩০ বছর আগে এসএসসি পাশ করে স্কুল ছেড়েছিলেন-

মাহমুদ হোসেন রাজিব: আজ মনে পড়ে স্যারের সেই অটল সাহসী পদক্ষেপে চলন যেন মুক্ত এবং অপার সম্ভবনাময় নতুন প্রজন্মের বিকশিত হওয়ার প্রতিকৃতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা উজ্জীবিত করে গোটা জাতির মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি। তার চওড়া বুকের ছাতি গর্বিত হবার অফুরান্ত শক্তি অবিচল আত্মার আন্তরিকতায় ভরপুর আর শিশুর মত হাসি মমের মত মন পাইনি আজও আর একটি। তিনি নির্ভীক, তিনি ইউনিক। মাঝে মাঝে বলি, সময়, স্থান কাল পাত্রে পুরুষ যদি হও, এমনই ব্যাঘ্র তবহে। টাকা সম্পদের মোহ থেকে থেকে দুরে থাকার শিক্ষা পেয়েছি স্যারের কাছ থেকে। সকল অবস্থায় বেঁচে থাকার স্পৃহা পাই স্যারের বিভিন্ন উপদেশ থেকে। কৈশোরের উদ্দিপনায় যৌবনের উন্মাদনয় বিপদগামী হতে মুক্ত হতে পারার কৌশল পেয়েছিলাম স্যারের কাছ হতে।

খুরশিদ আলম: বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে আমি আজও আমার এই মহান স্যারকে স্মরণ করি। আমাকে স্যার শুধু ছাত্র নয়, সন্তানের মতোই ভালোবাসতেন। মজিবর স্যার একালে একজনই হয়। স্যারের ভালোবাসা, শাসন, অনুপ্রেরণা সবসময় মিস করি। ছাত্রদের প্রতি গভীর ভালোবাসা, যত্নের সহিত পড়ানো ও বুঝানোর পদ্ধতি স্যারকে অন্য স্যারদের থেকে আলাদা করেছে। আমি গর্বিত স্যারের মতো একজন শিক্ষক পেয়েছিলাম। তিনি ছিলেন এমন একজন শিক্ষক যার কলমের তুলি দিয়ে অনেক হারিয়ে যাওয়া ছাত্রকে নতুন জীবন দিয়েছেন। এই মহান স্যারের সম্বন্ধে আমি যত লিখি তা সত্যিই কম হয়ে যাবে।

আনোয়ার সাদাত: স্যারের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। উনি শুধু আমার স্যারই ছিলেন না, বন্ধুও ছিলেন বটে। আমি ভাগ্যবান মজিবর স্যারকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম।

আতিক জামান: স্যারের কাছে আমার কখনো কোনো টাইম ছিল না। কখনো সকালে কখনো সন্ধায়। স্যার ভীষণ ভালবাসত আমাকে। স্যারের আদরমাখা শাসন আর ভালবাসা ভীষন মিস করি।

শাহজালাল: আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় স্যার। ইচ্ছে করে স্যারের পায়ে চুমু খেতে। আমি গর্বিত স্যারের মতো একজন শিক্ষক পেয়েছিলাম। আমি গণিতে কাঁচা ছিলাম। নবম শ্রেণির আগে যখন স্যারের কাছে পড়া শুরু করলাম, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অবাক হলাম আমি। একজন শিক্ষক কীভাবে দক্ষ করে তুলতে পারেন তার ছাত্রকে। আমি যখন নবম থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম তখন গণিতে ১০০ পেয়েছিলাম।

মাসুদ রানা: স্যার আমাকে তার সন্তানের মত দেখতেন। স্যার শুধু পড়াতেন না, পড়ানোর সময় যতবার আজান হতো ততবার সঙ্গে করে মসজিদে নিয়ে যেতেন নামাজের জন্য। অঙ্কের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাটাও স্যারের কাছ থেকে পেয়েছি। আল্লাহ স্যারকে নেক হায়াত দান করুন।

নূর-এ-আলম বাদল: স্যারের অসংখ্য ছাত্রের মাঝে আমি তার নিকট বিশেষ স্নেহভাজন ছিলাম,যেটা কখনো ভুলতে পারব না।

শফিকুল ইসলাম: আমি খুব ভাগ্যবান এমন একজন স্যারের ছাত্র ছিলাম। আমরা ছয় ভাই বোনের মধ্যে পাঁচ জন স্যারের সান্নিধ্য পেয়েছি।

মিজানুর রহমান: দক্ষ মানুষ গরার কারিগর ছিলেন আমাদের মজিবর স্যার।মহান আল্লাহর দরবারে স্যারের জন্য অনেক অনেক দোয়া শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল।

জিকরুল হক: স্যারের অবদানের কথা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না । যতই বলি কম বলা হবে। তাই লিখে শান্তি পাচ্ছি না, মনও ভরছে না । শুধু প্রাণ খুলে আল্লাহর কাছে স্যারের সকল প্রকার মঙ্গলের জন্য দোয়া করছি।

শহিদুল ইসলাম: একজন শিক্ষক যখন একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ব্র্যান্ড হয়ে ওঠেন তখন কী আর তাকে কোন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা যায়? খুলনা বিভাগে আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে কি না আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে জানা নেই যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একজন শিক্ষকের বিজ্ঞাপনে চলেছে। তার জ্ঞানের দীপ্তি এতই ব্যাপক ছিল যে, একজন ‘মজিবর স্যার’ ছাপিয়ে গিয়েছেন একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্যার একজন মহান কামার ছিলেন, তিনি জানতেন একখণ্ড লোহাকে কীভাবে হাতিয়ার করা যায়।উনি ছিলেনএকজন শৈল্পিক স্বর্ণকার, উনি জানতেন কীভাবে সোনাকে ডিজাইন করতে হয়। উনি ছিলেন একজন মহান রেস্টোরার, উনি জানতেন কীভাবে নস্ট হয়ে যাওয়া, রঙ জ্বলে যাওয়া মহামুল্যবান শিল্পকর্মকে স্বরূপে ফিরিয়ে আনতে হয়।

আশরাফুল রনি: যে ভাষায় স্যারের প্রশংসা করি না কেন তা কমই মনে হবে। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় এই ভেবে যে, এ রকম একটা মহান স্যারের সান্নিধ্যে অনেক সময় কাটিয়েছি। স্যারের হাতের ঘুশি একটা অন্যরকম ব্যাপার ছিল। এত এত স্মৃতি যা লিখে শেষ করা যাবে না।

আনিসুর রহমান: স্যারের মতো শিক্ষক এখন লাখে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। বিজ্ঞানের একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। এত সহজভাবে অঙ্ক বোঝাতে পারতেন সত্যিই অবিশ্বাস্য। স্যারের কারণেই সম্মানের সঙ্গে কিছু করে খেতে পারছি। এখনো স্যারের সেই ট্রেডমার্ক ঘুসি মিস করি। ছাত্রদের জন্য সব সময় নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। সকল অভিভাবক স্যারের উপর ভরসা করত।

গোলাম কিবরিয়া সুমন: মানুষ গড়ার একজন দক্ষ কারিগর আমাদের প্রিয় মজিবর স্যার। তার মতো একজন মহান শিক্ষকের ছাত্র হতে পেরে আমি গর্বিত।

লতিফা হেলেন হীরা: প্রকৃতপক্ষে স্যার তার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের সন্তানের মতো করে দেখতেন। স্যারের অঙ্ক করানোর ধরনই ছিল অন্যরকম। পাঁচ দিস্তা কাগজ দিয়ে খাতা বানাতাম। কম কাগজের খাতা স্যার একদমই পছন্দ করতেন না। অঙ্ক যদি একটু ভুল হতো সেটা আমাকে পাঁচ বার করতে হতো, আর কোনো দিন যেন আমার অঙ্ক ভুল না হয়। উৎপাদকে বিশ্লেষণ এমনভাবে করাতেন মনে হতো যেন আরও আরও অঙ্ক করি। আশ্চর্য বিষয় এখনো যদি উৎপাদক আমাকে করতে দেওয়া হয় আমার ইনশাআল্লাহ কোথাও ভুল হবে না। এটা নিশ্চয়ই স্যারের কৃতিত্ব। আর পাঁচ দিস্তা কাগজ পাঁচ দিনেই শেষ। স্যারের কাছে আমি অবশ্যই কৃতজ্ঞ। স্যারের প্রচেষ্টার জন্য আমি নিশ্চয়ই ভালো রেজাল্ট করেছিলাম।

কেএম ওলিউর রহমান: সত্যিই স্যার অনেক মহান। আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে স্যার কোেনাদিন বেতন চাইতেন না।

আবু বকর সিদ্দীকি: বর্তমান সমাজে একজন মজিবর স্যারের বড্ড অভাব । মুখ দেখে ছাত্রদের মনে ভাষা পড়ার মত স্যারদের আজকাল আর পাওয়া যায় না। শাসনের সঙ্গে সঙ্গে স্যারদের মায়া মমতাগুলোও যেন ডিজিটালাইজেশনের মধ্যে হারিয়ে গেছে। কিরে মুখ শুকনো কেন, সকালে খেয়ে আসিসনি-এ রকম কথা ডিজিটাল যুগের স্যারেরা বলে কিনা আমি জানি না। পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতেন। বলতেন যেতে হবে অনেক দূর।

শাহজাহান আলী: স্যারের ভালোবাসা, শাসন, অনুপ্রেরণা সবসময় মিস করি। স্যারের সঙ্গে দেখা হলেই ভালোবেসে কাছে টেনে হাতে আলতো করে হাসি মুখে ‘ঘুষি’ মেরে কেমন আছিস বল, কথাটা আজ ও মনে পড়ে।

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি ফেসবুকে ফ্রেশের একটি বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে। যেখানে একটি স্কুলের একজন শিক্ষককে নিয়ে কিছু বলতে বলা হয়েছিল? সেই বিজ্ঞাপনের মতামতেও দেখলাম, শ্রদ্ধেয় মজিবর স্যারকে নিয়ে শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেছে। ভাবা যায়! শিক্ষার্থীরা মজিবর স্যারকে কতটা ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। এই হচ্ছেন মজিবর স্যার, যিনি সবসময় হৃদয় দিয়ে অনুভব করতেন তার ছাত্রদের, যেন ছাত্রদের জন্যই জীবন।

লেখক: যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি