জীবনের সবকিছুই শতভাগ অনিশ্চিত
যেকোনো মার্কেটের সামনে গেলে দেখা যায়, বৃদ্ধ মানুষ, ছিন্নমূল বাচ্চারা সামনে এসে কিছু সাহায্য চায়। মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হলেও একই দৃশ্য দেখা যায়। একবার তাদের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখুন, কতটা অবহেলা অনাদরে তাদের প্রতিটি দিন কাটছে।
আমাদের দিনগুলোও ছিন্নমূল মানুষের মতো কাটতে পারত। এখন হয়ত আমরা ভালো আছি। আবার ভবিষ্যতে কি হবে সেটা কিন্তু আমরা জানি না। অনেক সময় দেখা যায়, প্রথম জীবনে অনেকেই টাকা পয়সার মালিক ছিল কিন্তু শেষ জীবনে অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।
আমাদের আপনজন কিংবা পরিচিতজন যখন অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকে, আমরা দেখতে যাই। সবসময় হাসি ঠাট্টায় মেতে থাকা কিংবা টিপটপ চলাফেরা করা মানুষটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে হয়ত মৃতপ্রায় মানুষের মত পড়ে থাকে, হাতের শিরায় ঢুকানো থাকে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ। দেখে মনে মনে কষ্ট পাই। অনেকেই আবার শুধু সেই সময়টুকু আল্লাহর কথা স্মরণ করেন। মন খারাপ হয় কিন্তু কেবিন থেকে বের হওয়ার পরই আমরা সবকিছু ভুলে যাই। আসলেই আজব প্রাণী আমরা! যত আপনজনই হোক অসুস্থ মানুষের শারীরিক কষ্ট, কোনো সুস্থ মানুষ বুঝতে পারে না।
যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল, তাদের উচিত গরিব অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য সহযোগিতা করা। যারা সুস্থ আছেন, তাদের উচিত সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকা। কারণ সর্বশক্তিমান আল্লাহর দিতে যেমন সময় লাগে না, নিতেও সময় লাগে না।
লেখক:যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক
আরএ/