বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৯ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিলেটের শাহপরান মাজারে হামলা, আহত ৫

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের শাহপরান (রহ.) মাজারে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী।

ওসি জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মাজারে হামলা চালায়। তখন মাজারে ওরস চলছিল। দুর্বৃত্তরা মাজারে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুর্বৃত্তদের আটকাতে গেলে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন আহত হন।

ওসি আরও বলেন এ ঘটনায় কারা জড়িত তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তবে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

Header Ad

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরো ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। বুধবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৭১২ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৩ হাজার ২৫৮ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৪৭ জন নিহত এবং আরও ১৮২ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad

৯ দাবি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

ছবি: সংগৃহীত

উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শেখ বশির উদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অপসারণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ছাত্র প্রতিনিধি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী হাসনাত, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি জাকের হোসেন মনজুর, গ্রিন ইউনিভার্সিটির জানে আলম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের হৃদয় স্বজন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৯টি দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো-

১) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত/নিহত সকল পরিবারকে পুনর্বাসন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমন্বয়হীনতা, অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে সেটা দ্রুত সময়ে নিরসন করতে হবে।

২) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দেশজুড়ে বিস্তৃত সিন্ডিকেট ব্যবস্থার কষাঘাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার মনিটরিংসহ দেশের সকল পর্যায়ে সিন্ডিকেট প্রথা বিলুপ্ত করার জন্য ছাত্রদের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অতিশিগগিরই একটা পেট্রোল টিম গঠন করতে হবে।

৩) উপদেষ্টা পরিষদে কারা যাবে সেটা নির্ধারণে একটা কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটিতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ এবং মাদরাসা প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সকলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগ হবে। কারো ইচ্ছামতো উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার নেই।

৪) গণহত্যার বিচার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ, তথ্যচিত্র যাচাই-বাছাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

৫) সংবিধানের পুনর্লিখন ও সংস্কার করতে হবে।

৬) প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা উন্নত শিক্ষার প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে পড়াশোনা করে। সেক্ষেত্রে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৫ শতাংশ আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।

৭) রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান আছে এমন ব্যক্তি এবং কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একজন বাংলাদেশি কৃষিবিদ বিজ্ঞানীকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে।

৮) সকল সংস্কার কমিশনে জনমত জরিপের মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে, জনসাধারণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।

৯) জনপ্রতিনিধি বিহীন এই সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রাম্য বিচারিক আদালত চালু রাখার জন্য শক্তিশালী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

Header Ad

‘সব শালারা বাটপার’ স্লোগান কি নাহিদকে ইঙ্গিত করে, যা বলছেন জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের উপস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা যে স্লোগান দিয়েছিল সেটা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে এই স্লোগান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করে বলা হয়নি। স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ক্যাম্পাসস্থ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই স্লোগানের ব্যাখ্যা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।

এ সময় রাকিব হাসান নামে এক শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বলেন, বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়াদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি। উল্টো তারা নিজেদের পকেট ভারীসহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কোনভাবেই উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি।

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় হল সাবেক স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই- আপনারা আমাদের ঐক্যের ফাটল ধরাতে পারবেন না। আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।

এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মূলত স্বৈরাচারের দালালরাই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে।

এর আগে গত সোমবার সচিবালয়ের সামনে আবাসন সংকট সমাধানসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে। শিক্ষার্থীদের ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগানটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা দেখা যায়। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তারা উপদেষ্টা নাহিদকে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপদেষ্টা নাহিদকে সমর্থন করে হ্যাশট্যাগে ‘উই আর নাহিদ’ পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরো ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত
৯ দাবি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
‘সব শালারা বাটপার’ স্লোগান কি নাহিদকে ইঙ্গিত করে, যা বলছেন জবি শিক্ষার্থীরা
সংবিধানে গণভোট পুনঃপ্রবর্তনের আহ্বান জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
জেনেভায় আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তার ঘটনায় লেবার কাউন্সেলর দেশে ফেরত, চাকরিচ্যুত লোকাল স্টাফ
লেবাননে হিজবুল্লাহর সাথে সংঘর্ষে ৭ ইসরাইলি সেনা নিহত
১ দফা নিয়ে কারা আমতা-আমতা করেছিল, জানালেন নুর
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে যোগদান না করে ফিরে গেলেন বিভাগীয় প্রধান
এসআইবিএলের নতুন শরিয়া চেয়ারম্যান হলেন মুফতি মাহফুজুল হক
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা বাতিল
আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাধার প্রশ্নে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি: তমা মির্জা
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবককে পুড়িয়ে হত্যা, আটক ২
শেখ হাসিনার ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের আর কোনো সুযোগ নেই: রিজভী
আবারো শীর্ষস্থান ফিরে পেলেন আফ্রিদি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা: উপদেষ্টা ফারুকী
ট্যাক্স কমিয়েও নিত্যপণ্যের দাম কমানো যাচ্ছে না: অর্থ উপদেষ্টা
দর্শকদের জন্য যেসব চমক থাকবে এবারের বিপিএলে
সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী: কর্নেল ইন্তেখাব
হাসপাতালে গিয়ে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা