বন্যার্তদের জন্য টাঙ্গাইলে ৫ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ করল সেচ্ছাসেবী সংগঠন
ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
বন্যার্তের পাশে দাঁড়াতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অনলাইন (ফেসবুক) ভিত্তিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের নানা শ্রেণি পেশাজীবিদের সম্মিলিত উদ্যোগে গঠিত ‘ভূঞাপুর দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা কমিটি’ পাঁচ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ করেছেন সম্মিলিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে পানিবন্দি জেলার মধ্যে নোয়াখালী উদ্দেশ্যে রওনা দেবে সেচ্ছাসেবীর একটি টিম। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ জেলার দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে। গত ২২ আগস্ট থেকে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ৩১ তারিখ পর্যন্ত এ অর্থ সংগ্রহ করেন সেচ্ছাসেবীরা।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, আলু, তেল, পেয়াজ, লাইট, সাবান, সুজি, মশার কয়েল, গুড়ো দুধ, ওষধ, মোমবাতি, চিড়া, গুড়, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও শিশু খাবার ইত্যাদি। এসব মিলিয়ে বানভাসিদের মধ্যে ৪০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগদ টাকা প্রদান করবে সেচ্ছাসেবীরা।
উপজেলার মানবতার সেবায় ভূঞাপুর ফাউন্ডেশন, ইবরাহীম খাঁ’র আলোকিত ভূঞাপুর, ঘুড়ি ফাউন্ডেশন, যমুনাপাড়ের জনগণ, প্রতিভা ছাত্র ও যুব সংগঠন, আল হেরা এসোসিয়েশন, শুশুয়া হিলফুল ফুযল যুব সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো বানভাসি মানুষদের জন্য অনুদান সংগ্রহ শুরু করে।
মানবতার সেবায় ভূঞাপুর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাইমুর রাহাত রায়হান বলেন- ‘দেশে আকস্মিক বন্যার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ভূঞাপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একত্রিত হয়ে সাধারণ ছাত্র ও ব্যবসায়ী সমাজের সাথে সমন্বয় করে বানভাসী মানুষের জন্য সম্মিলিতভাবে ত্রাণ সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, পরে এনিয়ে আমরা সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। এতে ব্যাপক সাড়া আসে। কয়েকদিনে সকলে মিলে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ হয়। এ উদ্যোগে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আমাদের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ মহোদয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন- ছাত্র সমাজ ও স্বেচ্ছাসেবীরা আমার কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা জানালে তাদের এ কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করি। যা থেকে বড় একটি অংকের অর্থ সংগ্রহ করা হয়। পরে উর্ধতনদের পরামর্শ মোতাবেক নোয়াখালীর দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন- বানভাসি মানুষদের পাঁশে দাঁড়াতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা খুব উৎসাহ নিয়ে মানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছেন। এমন উদ্যোগে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তাদের এই সহায়তা কার্যক্রমে নোয়াখালীর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সব রকমের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিসহ বেশ কয়েকটি জেলায় লাখ লাখ মানুষ আকস্মিকভাবে পানিবন্দি হয়ে নানা ভোগান্তি ও মানবেতর জীবনযাপন করছে।