শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাড়ির পাশে মাঠ থাকার পরও খেলতে পারেন না স্থানীয় খেলোয়াড়রা

সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামে এক সময় ফুটবল-ক্রিকেটসহ নানা ধরনের খেলাধুলা করতেন নানা বয়সী শত শত খেলোয়াড়রা। বছর জুড়েই মাঠে আয়োজন থাকত নানা টুর্নামেন্টের। এই মাঠে জন্ম হয়েছে বড় মাপের শত খেলোয়াড়ের। তবে সময়ের বিবর্তনে আজ সেই মাঠের খেলোয়াড়ের ধস নেমেছে। তার জন্য স্থানীয় খেলোয়াড়রা দায়ি করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে।

ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামটি শহরসহ আশপাশ এলাকার কাছে ষোলঘর খেলার মাঠ নামে পরিচিত। স্থানীয় খেলোয়াড়রা অভিযোগ করে জানান, এই মাঠে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মেলা হয়েছে। মেলার পরে আর যথা সময়ের মধ্যে মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত করা হয়নি। অনুষ্ঠিত মেলার পর মাঠে খেলাধুলার জন্য উপযোগী হতে সময় লাগত বছর খানেকের বেশি। ফলে খেলাধুলার জায়গা না পেয়ে ধীরে ধীরে এই মাঠের খেলোয়াড়রা ঝড়ে পড়েছেন।

তারা আরও জানান, গত কয়েক মাস আগেও প্রায় তিন মাসের জন্য ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়াম মাঠটি ছিল মেলার দখলে। দুই মালিকানার দুই মেয়াদে মেলা ছিল প্রায় আড়াই মাস। এ ছাড়া মেলা নির্মাণ ও ভাঙতে সময় খেয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন। তবে মেলা শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাঠ ইটের খোয়া ও খানাখন্দে ভরা। ফেলে রাখা হয়েছে কাচের ভাঙা বোতল, নির্মাণ সামগ্রী লোহা, জিআই তারসহ বালু-সিমেন্টের ঢালাই। দীর্ঘদিন মাঠটিতে না খেলতে খেলতে ঘাস গজিয়ে বেশ লম্বা হয়েছে। তা ছাড়াও মাঠের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে গর্তগুলো বৃষ্টির পানিতে ভরে গেলে দেখলে মনে হবে যেনো ছোট-বড় ডোবা। এতে খেলার মাঠটি এখন আর খেলাধুলার জন্য একেবারেই উপযোগী নয়। মাঠের দিকে নজরও নেই জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও প্রশাসনের।


ষোলঘর এলাকার স্থানীয় প্লেয়ার আমজাদ হোসেন বলেন, ষোলঘর মাঠে মেলা হওয়ার পর মাঠের মধ্যে বাশের গর্ত, ইটের খোয়া, কাচ ভাঙা, লোহায় ভরা। আমরা কয়েকদিন আগে মাঠে খেলছিলাম, সেই সময় পায়ে লোহা ঢুকছে, ভাঙা কাচে পা কেটেছে। এখন আমাদের এলাকার বাচ্চারাও খেলতে পারে না। এ ছাড়াও মাঠে মেলার ময়লা-আবর্জনা, সার্কাসের খানাখন্দ, টয়লেট, ঢালাই করা অবস্থায় আছে। কেউ না খেলাতে মাঠের ঘাসও অনেক লম্বা হয়ে গেছে। ঈদের পরে এলাকার ছোট-বড় সবাই মাঠে খেলতে এসে নানা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। এই মাঠে মেলা হলে দুই-আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও মাঠ ঠিক করা হয় না। পরে আর কেউ খবরও নেয় না। আমরা বার বার কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানালেও মাঠটা ঠিক করে দেওয়া হয় না।

শাহ আছদ আলী পীর স্পোটিং ক্লাবের ক্যাপ্টেন মো.মুমিনূর রহমান পীর শান্ত বলেন, সুনামগঞ্জ শহরের ভিতরে সরকারি কোনো মাঠ নেই যে মাঠে আমরা খেলোয়াড়রা ১২ মাস খেলাধুলা করব। এটাও সুনামগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার মাঠ (ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থা), এই মাঠে যদি ক্রীড়া সংস্থা নিয়মিত খেলার সুযোগ-সুবিধা করে না দেয় তাহলে এসব এলাকা থেকে কোনো খেলোয়াড় তৈরি হবে না, খেলাধুলা ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশেষ করে আমাদের তরুণরা যখন খেলা থেকে বঞ্চিত হবে তখন তরুণরা নেশাগ্রস্ত হবে বা বাজে আড্ডায় তাদের ভবিষ্যত নষ্ট করবে। মাঠে নিয়মিত খেলাধুলার সুযোগ ও মাঠটি যাতে অতিসত্ত্বর সংস্কার করে খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায় তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সচেতন মহল মনে করেন, শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণীদের নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীর চর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকা খুবই জরুরি। খেলাধুলা শুধু বড় বড় ক্লাবে কিংবা জাতীয় দলে স্থান পাওয়া কিংবা প্রতিযোগিতায় নেমে পদক পাওয়ার জন্য নয়। বরং দেহ-মনের সুস্থ-স্বাভাবিক বিকাশের জন্য শিশু-কিশোর-তরুণদের তাতে অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সরকার থেকে যদি খেলাধুলার জন্য মাঠের সুযোগ-সুবিধা না করে দেওয়া হয় তাহলে শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-তরুণ ও তরুণীদের মোবাইল আসক্ত, বাজে নেশা, রোগবালাই থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। খেলার মাঠ সামাজিকীকরণ বাড়ায় ও উদারচিত্ত হৃদয়ের মানুষ গড়তে সহায়তা করে।

ষোলঘর স্টেডিয়ামে সকাল বিকেল খেলাধুলা করে বড় হয়েছেন সাবেক খেলোয়ার সুয়েব মিয়া আতিক, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ষোলঘর মাঠটা আমাদের সময়ে খেলার জন্য উপযোগী ছিল কিন্তু বর্তমানে মেলার জন্য মাঠে আর খেলাধুলার পরিবেশ নেই। আমরা চাই মেলা এমন একটা জায়গায় হোক যেখানে বসতঘর বা স্কুল থাকে না। বসতঘর বা স্কুল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে যেনো মেলার আয়োজন করায় হয়। নয়তো আমাদের পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই আমাদের বাচ্চাদের খেলাধুলার অসুবিধা হয়। আমাদের বাচ্চারা নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীর চর্চা কার্যক্রমের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত থাকা উচিত। নয়তো দেহ-মনের সুস্থ-স্বাভাবিক থাকবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কিশোর অপরাধ ও কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব দেখা যায়, তার পেছনে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার অভাব বলে মনে করেন সচেতন মহল। তারা মনে করেন এখনই খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে নেশার হাত থেকে রক্ষা করা এবং শরীর সুস্থ, মন ভালো,মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

শহরের আরেক সাবেক খেলোয়াড় ক্বারী আমজাদ আহমেদে বলেন, ছোট বেলা আমাদের ষোলঘর, বনানিপাড়া, বলাকা, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের প্রচুর ছেলেরা এই মাঠে খেলত। তখন খেলার মধ্যে বাধা বিঘœ ছিল না। এখন বড় হলাম মাঠেও সীমানা অনুযায়ী দেয়াল দেওয়া হয়েছে। তবে এই দেয়াল হওয়ার পর একমাত্র গেইট। কিন্তু গেইটের কথিত দাড়োয়ান আক্কাছ বাচ্চারা যখন বিকালে মাঠে আসে সে গেইট খুলে না। গেইট বন্ধ থাকায় বাচ্চারা মাঠে ঢুকতে পারে না। আশপাশ এলাকায় কোনো মাঠ না থাকায় বাচ্চারা গেইটের উপর দিয়ে মাঠে ঢুকে খেলতে চাইলে কথিত দাড়োয়ান আক্কাছ বাচ্চাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার।

দুই দফা মেলার কারণে মাঠের বেহাল দশার বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনার থেকে আমি ইনফরমেশন জানলাম খোঁজ নিয়ে দেখব।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ