শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাড়ির পাশে মাঠ থাকার পরও খেলতে পারেন না স্থানীয় খেলোয়াড়রা

সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামে এক সময় ফুটবল-ক্রিকেটসহ নানা ধরনের খেলাধুলা করতেন নানা বয়সী শত শত খেলোয়াড়রা। বছর জুড়েই মাঠে আয়োজন থাকত নানা টুর্নামেন্টের। এই মাঠে জন্ম হয়েছে বড় মাপের শত খেলোয়াড়ের। তবে সময়ের বিবর্তনে আজ সেই মাঠের খেলোয়াড়ের ধস নেমেছে। তার জন্য স্থানীয় খেলোয়াড়রা দায়ি করছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে।

ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়ামটি শহরসহ আশপাশ এলাকার কাছে ষোলঘর খেলার মাঠ নামে পরিচিত। স্থানীয় খেলোয়াড়রা অভিযোগ করে জানান, এই মাঠে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মেলা হয়েছে। মেলার পরে আর যথা সময়ের মধ্যে মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত করা হয়নি। অনুষ্ঠিত মেলার পর মাঠে খেলাধুলার জন্য উপযোগী হতে সময় লাগত বছর খানেকের বেশি। ফলে খেলাধুলার জায়গা না পেয়ে ধীরে ধীরে এই মাঠের খেলোয়াড়রা ঝড়ে পড়েছেন।

তারা আরও জানান, গত কয়েক মাস আগেও প্রায় তিন মাসের জন্য ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়াম মাঠটি ছিল মেলার দখলে। দুই মালিকানার দুই মেয়াদে মেলা ছিল প্রায় আড়াই মাস। এ ছাড়া মেলা নির্মাণ ও ভাঙতে সময় খেয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন। তবে মেলা শেষ হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাঠ ইটের খোয়া ও খানাখন্দে ভরা। ফেলে রাখা হয়েছে কাচের ভাঙা বোতল, নির্মাণ সামগ্রী লোহা, জিআই তারসহ বালু-সিমেন্টের ঢালাই। দীর্ঘদিন মাঠটিতে না খেলতে খেলতে ঘাস গজিয়ে বেশ লম্বা হয়েছে। তা ছাড়াও মাঠের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে গর্তগুলো বৃষ্টির পানিতে ভরে গেলে দেখলে মনে হবে যেনো ছোট-বড় ডোবা। এতে খেলার মাঠটি এখন আর খেলাধুলার জন্য একেবারেই উপযোগী নয়। মাঠের দিকে নজরও নেই জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও প্রশাসনের।


ষোলঘর এলাকার স্থানীয় প্লেয়ার আমজাদ হোসেন বলেন, ষোলঘর মাঠে মেলা হওয়ার পর মাঠের মধ্যে বাশের গর্ত, ইটের খোয়া, কাচ ভাঙা, লোহায় ভরা। আমরা কয়েকদিন আগে মাঠে খেলছিলাম, সেই সময় পায়ে লোহা ঢুকছে, ভাঙা কাচে পা কেটেছে। এখন আমাদের এলাকার বাচ্চারাও খেলতে পারে না। এ ছাড়াও মাঠে মেলার ময়লা-আবর্জনা, সার্কাসের খানাখন্দ, টয়লেট, ঢালাই করা অবস্থায় আছে। কেউ না খেলাতে মাঠের ঘাসও অনেক লম্বা হয়ে গেছে। ঈদের পরে এলাকার ছোট-বড় সবাই মাঠে খেলতে এসে নানা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। এই মাঠে মেলা হলে দুই-আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও মাঠ ঠিক করা হয় না। পরে আর কেউ খবরও নেয় না। আমরা বার বার কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানালেও মাঠটা ঠিক করে দেওয়া হয় না।

শাহ আছদ আলী পীর স্পোটিং ক্লাবের ক্যাপ্টেন মো.মুমিনূর রহমান পীর শান্ত বলেন, সুনামগঞ্জ শহরের ভিতরে সরকারি কোনো মাঠ নেই যে মাঠে আমরা খেলোয়াড়রা ১২ মাস খেলাধুলা করব। এটাও সুনামগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার মাঠ (ষোলঘর ক্রীড়া সংস্থা), এই মাঠে যদি ক্রীড়া সংস্থা নিয়মিত খেলার সুযোগ-সুবিধা করে না দেয় তাহলে এসব এলাকা থেকে কোনো খেলোয়াড় তৈরি হবে না, খেলাধুলা ধ্বংস হয়ে যাবে। বিশেষ করে আমাদের তরুণরা যখন খেলা থেকে বঞ্চিত হবে তখন তরুণরা নেশাগ্রস্ত হবে বা বাজে আড্ডায় তাদের ভবিষ্যত নষ্ট করবে। মাঠে নিয়মিত খেলাধুলার সুযোগ ও মাঠটি যাতে অতিসত্ত্বর সংস্কার করে খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায় তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সচেতন মহল মনে করেন, শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণীদের নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীর চর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকা খুবই জরুরি। খেলাধুলা শুধু বড় বড় ক্লাবে কিংবা জাতীয় দলে স্থান পাওয়া কিংবা প্রতিযোগিতায় নেমে পদক পাওয়ার জন্য নয়। বরং দেহ-মনের সুস্থ-স্বাভাবিক বিকাশের জন্য শিশু-কিশোর-তরুণদের তাতে অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সরকার থেকে যদি খেলাধুলার জন্য মাঠের সুযোগ-সুবিধা না করে দেওয়া হয় তাহলে শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-তরুণ ও তরুণীদের মোবাইল আসক্ত, বাজে নেশা, রোগবালাই থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। খেলার মাঠ সামাজিকীকরণ বাড়ায় ও উদারচিত্ত হৃদয়ের মানুষ গড়তে সহায়তা করে।

ষোলঘর স্টেডিয়ামে সকাল বিকেল খেলাধুলা করে বড় হয়েছেন সাবেক খেলোয়ার সুয়েব মিয়া আতিক, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ষোলঘর মাঠটা আমাদের সময়ে খেলার জন্য উপযোগী ছিল কিন্তু বর্তমানে মেলার জন্য মাঠে আর খেলাধুলার পরিবেশ নেই। আমরা চাই মেলা এমন একটা জায়গায় হোক যেখানে বসতঘর বা স্কুল থাকে না। বসতঘর বা স্কুল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে যেনো মেলার আয়োজন করায় হয়। নয়তো আমাদের পরিবেশের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই আমাদের বাচ্চাদের খেলাধুলার অসুবিধা হয়। আমাদের বাচ্চারা নিয়মিত খেলাধুলা ও শরীর চর্চা কার্যক্রমের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত থাকা উচিত। নয়তো দেহ-মনের সুস্থ-স্বাভাবিক থাকবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কিশোর অপরাধ ও কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব দেখা যায়, তার পেছনে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার অভাব বলে মনে করেন সচেতন মহল। তারা মনে করেন এখনই খেলাধুলার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে নেশার হাত থেকে রক্ষা করা এবং শরীর সুস্থ, মন ভালো,মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

শহরের আরেক সাবেক খেলোয়াড় ক্বারী আমজাদ আহমেদে বলেন, ছোট বেলা আমাদের ষোলঘর, বনানিপাড়া, বলাকা, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের প্রচুর ছেলেরা এই মাঠে খেলত। তখন খেলার মধ্যে বাধা বিঘœ ছিল না। এখন বড় হলাম মাঠেও সীমানা অনুযায়ী দেয়াল দেওয়া হয়েছে। তবে এই দেয়াল হওয়ার পর একমাত্র গেইট। কিন্তু গেইটের কথিত দাড়োয়ান আক্কাছ বাচ্চারা যখন বিকালে মাঠে আসে সে গেইট খুলে না। গেইট বন্ধ থাকায় বাচ্চারা মাঠে ঢুকতে পারে না। আশপাশ এলাকায় কোনো মাঠ না থাকায় বাচ্চারা গেইটের উপর দিয়ে মাঠে ঢুকে খেলতে চাইলে কথিত দাড়োয়ান আক্কাছ বাচ্চাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার।

দুই দফা মেলার কারণে মাঠের বেহাল দশার বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনার থেকে আমি ইনফরমেশন জানলাম খোঁজ নিয়ে দেখব।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

সময় টিভির পাঁচ সাংবাদিকের বরখাস্তের জন্য সরকারকে দায়ী করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এর জন্য একমাত্র সিটি গ্রুপই দায়ী।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূসের প্রেস সচিব বলেন, বারবার আমরা বলেছি, আমরা কোনো সংবাদমাধ্যমের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করি না। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা কোনো সাংবাদিককে নিয়োগ বা বরখাস্তের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছেন বা কোনো সংবাদ প্রকাশ বা বন্ধ করতে চাপ দিয়েছেন, আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এর আগেও ‘আমদের সময় সময় পত্রিকা এবং বৈশাখী টিভির ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নিয়েছি।

শফিকুল আলম আরও বলেন, আমাদের সরকার ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে মানে এই নয় যে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্দেশ মেনে চলি। যদি আমরা তা করতাম, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সময় টিভিতে গিয়ে প্রতিবাদ করতে হতো না। তারা আমাদের কাছে তাদের দাবি জানাত এবং আমরা তা সিটি গ্রুপকে কার্যকর করতে বলতাম।

বিবৃতিতে শফিকুল আলমের অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক নেতা সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপ প্রয়োগ করে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে মিল রেখে সাংবাদিকদের নিয়োগ দিতে বাধ্য করছেন।

তিনি বলেন, সময় টিভি সাংবাদিকদের বরখাস্ত করার পরিবর্তে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে পারত যে, তারা শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে কোনো সাংবাদিককে বরখাস্ত করবে না। কিন্তু তারা সেই পথে না গিয়ে সাংবাদিকদের বরখাস্ত করে নিজেদের ভুক্তভোগী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতেও বিভিন্ন অধিকার সংগঠন ও অ্যাডভোকেসি গ্রুপ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের মালিকপক্ষ সেই চাপ মোকাবিলা করে। অথচ সিটি গ্রুপ এ ক্ষেত্রে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে।

সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতের ঘটনায় সিটি গ্রুপের ভূমিকা উপেক্ষা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এই সমালোচকরা শেখ হাসিনার একনায়কত্বের সময় সময় টিভির ‘সাংবাদিকতা’ নিয়ে কথা বলেননি। বরং তারা মিথ্যা তুলনা করে বর্তমান পরিস্থিতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন।”

Header Ad
Header Ad

জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের হাইমচরে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সম্প্রতি সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। নিহত সাতজনের একজন, মাগুরার সজীবুল ইসলামের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তার বাবা দাউদ মোল্লা মারা গেছেন।

গত সোমবার ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে দাউদ মোল্লা এক মুহূর্তের জন্য শান্ত হতে পারেননি। কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে গতকাল রাত পৌনে ১২টায় বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সজীবুলের মামা আহাদ সরদার দাউদ মোল্লার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, আজ সজীবুলের বিয়ের পাঁচ মাস পূর্ণ হলো। স্বপ্ন ছিল পদোন্নতি পেলে বড় জাহাজে চাকরি করবে। সব শেষ হয়ে গেল।

পাঁচ বছর ধরে জাহাজের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছিলেন সজীবুল ইসলাম। সম্প্রতি জাহাজের চাকরিতে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। মাঝের এই সময়টায় বসে না থেকে সপ্তাহ দুয়েক আগে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে গ্রিজার পদে চাকরি নেন।

সজীবুল ইসলামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, জাহাজে হত্যার শিকার সজীবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সংবাদ রাতেই জানতে পেরেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাগুরার মহম্মদপুর ও নড়াইল সীমান্তবর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের বহু মানুষ জাহাজে চাকরি করেন। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এমভি সুলতান সানজানা নামের লাইটার জাহাজডুবির ঘটনায় মহম্মদপুরের পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের চারজন নিহত হন।

সোমবার এমভি আল-বাখেরা নামের ওই জাহাজ থেকে মোট সাতজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজনকে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়। দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর বাইরে গুরুতর আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঁদপুরের হাইমচরের ঈশানবালা খালের মুখ এলাকায় মেঘনা নদীর একটি ডুবোচরে এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজটি নোঙর করা ছিল। গত সোমবার বেলা তিনটার দিকে নৌ পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, জাহাজের কর্মীদের ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। কারও মাথায় গভীর আঘাত, কারও গলা কাটা, শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। এই হত্যাকাণ্ড শুধু ওই সাতজনের জীবন কেড়ে নেয়নি, তাদের স্বজনদেরও চরম শোক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সজীবুলের বাবার মৃত্যুর ঘটনা হৃদয়বিদারক বাস্তবতার আরেকটি অধ্যায় যোগ করেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়ে বুধবার মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আরও তিনটি মন্ত্রণালয়ের মতো পুড়ে ছাই হয়ে যায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও। ফলে সেখানে এখন দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা অসাধ্য।

জানা গেছে, আপাতত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ অন্য কর্মকর্তারা আপাতত যাবতীয় দাপ্তরিক কাজ করবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদসহ অন্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

তাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন কাল। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কিছু প্রতিষ্ঠানে দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ষষ্ঠ তলায় কনফারেন্স কক্ষ, নবম তলায় মিনি সভা কক্ষ ও শূন্য থাকা পরিচালক কক্ষ এবং সপ্তম তলায় কিছু কক্ষও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাময়িক ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে। এছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনে ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করবেন বলে জানা গেছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু
ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন
সংস্কারবিহীন নির্বাচন সম্ভব নয়: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
পানির ট্যাংকে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না আ’লীগ নেত্রী  
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০
ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ থেকে
দাঁড়িয়ে থাকা করমিনে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৩ জনের
জাহাজে ৭ খুন: অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকেরা  
জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর
৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!
আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী